শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর চিঠি দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নরেন্দ্র মোদি বরাবর ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় এ চিঠি দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
চিঠিতে বলা হয়, ভারতের জনগণকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করে, যখন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ লুট করে। শুরু থেকেই ভারত বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্য হিসেবে দেখতে চেয়েছিল, যা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। উপরন্তু ভারত তার নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট রুট ও করিডর ব্যবহার করেছে।
এসব কিছুর ওপরে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অননুমোদিতভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করেছে—এটি একটি অনৈতিক কাজ, যা আপনার দেশের জন্য লজ্জাজনক বলেও চিঠিতে বলা হয়।
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এটার বাস্তবায়ন পুরোপুরিভাবে নির্ভর করবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপর।
আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সর্বজনীন পেনশন অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নির্বাচন মানেই কালোটাকার ছড়াছড়ি। বিশেষ প্রেক্ষাপটের অন্তর্বর্তী সরকার কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এটি নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লজিস্টিকের জন্য সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা নির্বাচন হবে না বললেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।
ঋণ খেলাপিরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটি নির্বাচন দিতে চায় সরকার। এটা করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইপি পেনশন স্কিম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আদালতের স্টে অর্ডার। মহিউদ্দিন খান আলমগীর তো এই ঋণখেলাপি ইস্যু নিয়েই পাঁচ বছর পার করে দিয়েছিলেন।
আগামী নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহার রোধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কালোটাকা নিয়ন্ত্রণে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-টাকার উৎস ও প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, টাকার উৎস আগের চেয়ে অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আগে ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক-সব একই ব্যক্তি হতেন। এখন সেই অবস্থা নেই। মোটামুটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন বা ভোট কেনার মতো কাজে উৎসাহ দেন, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কিছুই করতে পারব না।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কোনো ব্যক্তি বা দলের কেউ বললেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কিমে চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না। এটি কেন হচ্ছে এবং মানুষের অনীহা কোথায় সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।
কোম্পানীগঞ্জের পর এবার টার্গেট জাফলং, হচ্ছে পাথর লুট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটের পর এবার জাফলংয়েও চলছে পাথর লুট। গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে এই অপকর্ম করছে পাথরখেকোরা। দিনের বেলাতেও পাথর লুটের চেষ্টা করছে তারা।
জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে এরইমধ্যে বড় বড় পাথর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে পর্যটন কেন্দ্রটি যেমন সৌন্দর্য হারাচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পরিবেশ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন পর্যটকরা।
তবে প্রশাসনের দাবি, পাথর লুট ঠেকাতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরেক পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর প্রকাশ্য লুটপাটে অনেকটা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট সাদাপাথরে ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে দুদকের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে লুটপাটের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন তারা। দুদকের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
কোনো ব্যক্তি বা দলের বক্তব্যে নির্বাচন বন্ধ হবে না : অর্থ উপদেষ্টা

কারো ব্যক্তিগত মত বা কোনো দলের কথায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন অ্যাপ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উপযুক্ত লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ কিছু বললেই নির্বাচন থেমে যাবে না। নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।
নির্বাচন মানেই কালোটাকার ছড়াছড়ি। বিশেষ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জন্য কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এটি নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন।’
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই স্কিমে এখনো চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ অনেক পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না।
এটা কেন হচ্ছে এবং মানুষের আগ্রহ না থাকার কারণগুলো অনুসন্ধান করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্কিমে যদি কোনো ভুল বা সমস্যা থাকে, তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের এই পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা জোরদার করার কথা বলেন তিনি।’
মন্তব্য