ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:৩৫
অনলাইন ডেস্ক
দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) রেহানা পারভীনকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রেহানা পারভীনই দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হলেন।


সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 


২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুই বিভাগে ভাগ করা হয়। একটি ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ’ এবং অপরটি ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ’।


১৯৭১ সাল থেকে অবিভক্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩ জন সিনিয়র সচিব/সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই ভাগ হওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ পর্যন্ত ৭ জন সিনিয়র সচিব/সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের কেউই নারী ছিলেন না।


গত ২৩ জুলাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক) সিদ্দিক জুবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই দিন তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৬ বছর ধরে চুল খাচ্ছিল কিশোরী, পেট থেকে বের হলো ২ কেজি ‘চুলের গোলা’

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩৮
    অনলাইন ডেস্ক
    ৬ বছর ধরে চুল খাচ্ছিল কিশোরী, পেট থেকে বের হলো ২ কেজি ‘চুলের গোলা’

    দীর্ঘ ছয় বছর ধরে নিজেরই চুল খেয়ে আসছিল এক কিশোরী। আর সেসব চুল জমা হচ্ছিল তার পাকস্থলিতে। এর ফলে ক্ষুধামান্দাসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয় সে। পরবর্তীতে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে ২ কেজি ওজনের একটি ‘চুলের গোলা’ অপসারণ করেছে চিকিৎসকেরা। 

    গত জুলাই মাসে আশ্চর্য এই ঘটনাটি ঘটেছে চীনের হুবেই প্রদেশে। 

    রোববার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সাউথ মর্নিং চায়না পোস্ট। 

    প্রতিবেদনে বলা বলা হয়েছে, জুলাই মাসে মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের ১৫ বছর বয়সি নিনি তার মায়ের সঙ্গে হুবেই প্রদেশের উহান শিশু হাসপাতালে যায়। নিনিকে তার মা তীব্র পেট ব্যথার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল কারণ পেট ব্যাথার কারণে সে খেতে পারছিল না এবং খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। 

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হুবেই ডেইলি জানিয়েছে, মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ ছিল। তার উচ্চতা ১.৬ মিটার হলেও ওজন ছিল মাত্র ৩৫ কেজি। এছাড়া, ছয় মাস ধরে তার ঋতুস্রাব হয়নি। এমনকি তার গুরুতর রক্তাল্পতাও ধরা পড়েছিল বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। 

    মেয়েটির মা ডাক্তারদের জানিয়েছেন, নিনি ছয় বছর ধরে নিজের চুল নিজেই খাচ্ছে।

    চিকিৎসকেরা নিনির পাকস্থলিতে চুল ও খাবারে খাবারের অবশিষ্টাংশ দিয়ে তৈরি একটি ‘চুলের গোলা’ আবিষ্কার করেন, যা তার প্রায় পুরো পেট জুড়ে চিলি। গত ১৪ জুলাই, নিনির পেট থেকে চুল অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান তার পেট স্বাভাবিকের দ্বিগুণ ফুলে আছে। 

    অপারেশনের পাঁচ দিন পর নিনি খাবার খেতে শুরু করেন। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ৫ আগস্ট শারীরিক পরীক্ষার জন্য সে আবার হাসপাতালে আসে। তার ফলোআপ পরীক্ষার পর ডাক্তারা জানান, সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জবলেন, ‘যদি শিশুরা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চুল এবং কাচের মতো অখাদ্য জিনিস খায় এবং থামাতে না পারে, তাহলে বাবা-মায়েদের ‘‘ট্রাইকোফ্যাগিয়া’’ নামক একটি অবস্থার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ১০০ ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মাসিক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন

      অনলাইন ডেস্ক
      ৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২৩
      অনলাইন ডেস্ক
      ১০০ ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মাসিক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন
      সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের লোগো

      জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী তিন মাসে আন্দোলনে গুরুতর আহত ২৭২ জনকে চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন ১০০ জন আহত ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে গত ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত মাসিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৫ জন আহত শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনতে কাজ করছে।


      বর্তমানে বিভিন্ন কুরিয়ার ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন।


      জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করতে ৭ আগস্ট থেকে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে যান সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এর মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অন্যতম।


      ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর—প্রথম তিন মাসে ২৭২ জন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০ জন আহত ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে মাসিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৫ জন আহত শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কুরিয়ার ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় আহত ব্যক্তিদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


      কুষ্টিয়ার বাসিন্দা সারোয়ার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হন। সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের তাৎক্ষণিক সহায়তায় তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পেরেছেন। ফরিদপুরের বাসিন্দা গাড়িচালক সুজন মোল্লা মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি এই ফাউন্ডেশনের মাসিক সহায়তা দিয়ে নিজের চিকিৎসা ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটাচ্ছেন। পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া ডেলিভারিম্যান মিঠুন এই ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পরিবারের দৈনন্দিন খরচ চালাতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।


      গাজীপুরের গোপীবাগ রেলগেট এলাকার বাসিন্দা জুয়েল জানান, সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের সহায়তা দিয়ে নিজের মেয়ের চিকিৎসা ও বাড়ির খরচ মেটাচ্ছেন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসিন্দা তামজিদ হোসেন জনি ৫ আগস্ট পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি জানান, এই ফাউন্ডেশনের মাসিক সহায়তা তাঁর চিকিৎসা ও পরিবারের খরচে কাজে আসছে এবং তিনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন।


      এমজিএইচ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রী সুহানা লুৎফা আহমেদের নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। তারা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, নারীর ক্ষমতায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাতব্য কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


      জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সহচেয়ারম্যান আনিস আহমেদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের কাছে আমি চিরঋণী, ওরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করলে আমি দেশে ফিরতে পারতাম না। আগামী প্রজন্ম যেন তাদের মৌলিক অধিকার সচেতন হয়, জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়—এটাই আমাদের একমাত্র নিয়ত।’ তিনি জানান, তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছ থেকে ২৭২ জন আহত ব্যক্তির একটি তালিকা পান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বাকি ২৬৮ জনকে চিকিৎসায় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে ১০০ জনকে যোগাযোগের মধ্যে রেখেছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে আইটি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, এআই ইত্যাদি বিষয় পড়াতে চায় সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ফোরামের নতুন কমিটি

        অনলাইন ডেস্ক
        ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩৭
        অনলাইন ডেস্ক
        ২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ফোরামের নতুন কমিটি

        ২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ফোরামের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।


        সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় ফোরাম সদস্যদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এই দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোট ৩৭ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।


        ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী এই ফোরামের সদস্যরা পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফোরাম সদস্যদের পেশাগত উন্নয়ন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          উত্তরায় বিধ্বস্ত হওয়া এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের বিস্তারিত

          অনলাইন ডেস্ক
          ২২ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫৯
          অনলাইন ডেস্ক
          উত্তরায় বিধ্বস্ত হওয়া এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের বিস্তারিত

          উত্তরায় দুপুর একটার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল বলে জানা গেছে।


          ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১৬৪ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

          ঢাকা মেডিকেলের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তথ্য মতে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ হওয়া নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।


          আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের মোতায়েন করা হয়েছে।


          এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য-


          ইঞ্জিন : এই বিমানে একটি ডব্লিউপি-১৩এফ (WP-13F) আফটারবার্নিং টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে।

          সর্বোচ্চ গতি : এটি প্রায় ২,৪৭০ কিমি/ঘণ্টা বা ২.২ ম্যাক (Mach 2.2) গতিতে উড়তে সক্ষম।

          রেঞ্জ: এর ফেরি রেঞ্জ (ফেরত যাওয়ার ক্ষমতাসহ) প্রায় ২,০০০ কি.মি.।


          অস্ত্র: এফ-৭ বিজিআই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে; পিএল-৫ (PL-5) / পিএল-৯ (PL-9) ইনফ্রারেড গাইডেড মিসাইল। ৩০ মিমি কামান। ফ্রি-ফল বোমা। রকেট পড। এটি লেজার গাইডেড বোমা (যেমন: Mk 81, Mk 82-এর জন্য TEBER গাইডেন্স কিট), জিপিএস গাইডেড বোমা এবং ৩০০০০ পাউন্ড পর্যন্ত সাসপেন্ডেড আরমামেন্ট বহন করতে পারে।

          রাডার: এতে কেএলজে-৬এফ (KLJ-6F) পালস ডপলার রাডার ব্যবহার করা হয়, যা ৮০ কিমি+ রেঞ্জ কাভার করে এবং ট্র‍্যাক হোয়াইল স্ক্যান (TWS) ও বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) মোড রয়েছে বলে কিছু অনানুষ্ঠানিক সূত্রে দাবি করা হয়। এটি ইনফ্রারেড মিসাইলকে স্লেভ করতে পারে।

          ককপিট: এফ-৭ বিজিআই-এর ককপিট আধুনিক ‘গ্লাস ককপিট’, যেখানে মাল্টিফাংশন ডিসপ্লে (MFD) এবং হ্যান্ডস অন থ্রটল অ্যান্ড স্টিক (HOTAS) সিস্টেম রয়েছে।

          dhakapost

          বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব: এফ-৭ বিজিআই বিমান বাংলাদেশের আকাশসীমা রক্ষা, সীমান্ত টহল এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাতে প্রায় ৩৬টি এফ-৭ সিরিজের বিমান রয়েছে, যার একটি বড় অংশই বিজিআই মডেলের। বাংলাদেশ নিজস্বভাবে এই বিমানগুলোর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে, যা এর অপারেশনাল খরচ কমাতে এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।


          সীমাবদ্ধতা: যদিও এফ-৭ বিজিআই একটি মধ্যম মানের যুদ্ধবিমান এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য কার্যকর, তবে আধুনিক যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

          সীমিত বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষমতা : আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর তুলনায় এর বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষমতা সীমিত, যা দীর্ঘ পরিসরে শত্রুর মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে একটি দুর্বলতা।


          এক ইঞ্জিন: এটি একটি মাত্র ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা দীর্ঘ অপারেশনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

          স্টেলথ প্রযুক্তির অভাব: এতে স্টেলথ প্রযুক্তির অভাব রয়েছে, ফলে এটি আধুনিক ৪.৫ বা ৫ম প্রজন্মের ফাইটার বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে, কারণ এই বিমানগুলো রাডারে সহজে ধরা পড়ে না।


          সব মিলিয়ে, এফ-৭ বিজিআই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য একটি কার্যকর এবং খরচ-সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে দেশের প্রতিরক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে। তবে ভবিষ্যতের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আরও উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নজর রয়েছে।


          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত