১০০ ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মাসিক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী তিন মাসে আন্দোলনে গুরুতর আহত ২৭২ জনকে চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন ১০০ জন আহত ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে গত ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত মাসিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৫ জন আহত শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনতে কাজ করছে।
বর্তমানে বিভিন্ন কুরিয়ার ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করতে ৭ আগস্ট থেকে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে যান সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এর মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অন্যতম।
ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর—প্রথম তিন মাসে ২৭২ জন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০ জন আহত ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে মাসিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৫ জন আহত শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কুরিয়ার ও অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় আহত ব্যক্তিদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার বাসিন্দা সারোয়ার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হন। সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের তাৎক্ষণিক সহায়তায় তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পেরেছেন। ফরিদপুরের বাসিন্দা গাড়িচালক সুজন মোল্লা মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি এই ফাউন্ডেশনের মাসিক সহায়তা দিয়ে নিজের চিকিৎসা ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটাচ্ছেন। পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া ডেলিভারিম্যান মিঠুন এই ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পরিবারের দৈনন্দিন খরচ চালাতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।
গাজীপুরের গোপীবাগ রেলগেট এলাকার বাসিন্দা জুয়েল জানান, সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনের সহায়তা দিয়ে নিজের মেয়ের চিকিৎসা ও বাড়ির খরচ মেটাচ্ছেন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসিন্দা তামজিদ হোসেন জনি ৫ আগস্ট পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি জানান, এই ফাউন্ডেশনের মাসিক সহায়তা তাঁর চিকিৎসা ও পরিবারের খরচে কাজে আসছে এবং তিনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন।
এমজিএইচ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রী সুহানা লুৎফা আহমেদের নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। তারা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, নারীর ক্ষমতায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাতব্য কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সহচেয়ারম্যান আনিস আহমেদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের কাছে আমি চিরঋণী, ওরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করলে আমি দেশে ফিরতে পারতাম না। আগামী প্রজন্ম যেন তাদের মৌলিক অধিকার সচেতন হয়, জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়—এটাই আমাদের একমাত্র নিয়ত।’ তিনি জানান, তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছ থেকে ২৭২ জন আহত ব্যক্তির একটি তালিকা পান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বাকি ২৬৮ জনকে চিকিৎসায় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে ১০০ জনকে যোগাযোগের মধ্যে রেখেছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে আইটি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, এআই ইত্যাদি বিষয় পড়াতে চায় সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন।
২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ফোরামের নতুন কমিটি

২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ফোরামের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় ফোরাম সদস্যদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এই দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোট ৩৭ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী এই ফোরামের সদস্যরা পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফোরাম সদস্যদের পেশাগত উন্নয়ন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
উত্তরায় বিধ্বস্ত হওয়া এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের বিস্তারিত

উত্তরায় দুপুর একটার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১৬৪ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ঢাকা মেডিকেলের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তথ্য মতে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ হওয়া নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের মোতায়েন করা হয়েছে।
এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য-
ইঞ্জিন : এই বিমানে একটি ডব্লিউপি-১৩এফ (WP-13F) আফটারবার্নিং টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে।
সর্বোচ্চ গতি : এটি প্রায় ২,৪৭০ কিমি/ঘণ্টা বা ২.২ ম্যাক (Mach 2.2) গতিতে উড়তে সক্ষম।
রেঞ্জ: এর ফেরি রেঞ্জ (ফেরত যাওয়ার ক্ষমতাসহ) প্রায় ২,০০০ কি.মি.।
অস্ত্র: এফ-৭ বিজিআই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে; পিএল-৫ (PL-5) / পিএল-৯ (PL-9) ইনফ্রারেড গাইডেড মিসাইল। ৩০ মিমি কামান। ফ্রি-ফল বোমা। রকেট পড। এটি লেজার গাইডেড বোমা (যেমন: Mk 81, Mk 82-এর জন্য TEBER গাইডেন্স কিট), জিপিএস গাইডেড বোমা এবং ৩০০০০ পাউন্ড পর্যন্ত সাসপেন্ডেড আরমামেন্ট বহন করতে পারে।
রাডার: এতে কেএলজে-৬এফ (KLJ-6F) পালস ডপলার রাডার ব্যবহার করা হয়, যা ৮০ কিমি+ রেঞ্জ কাভার করে এবং ট্র্যাক হোয়াইল স্ক্যান (TWS) ও বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) মোড রয়েছে বলে কিছু অনানুষ্ঠানিক সূত্রে দাবি করা হয়। এটি ইনফ্রারেড মিসাইলকে স্লেভ করতে পারে।
ককপিট: এফ-৭ বিজিআই-এর ককপিট আধুনিক ‘গ্লাস ককপিট’, যেখানে মাল্টিফাংশন ডিসপ্লে (MFD) এবং হ্যান্ডস অন থ্রটল অ্যান্ড স্টিক (HOTAS) সিস্টেম রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব: এফ-৭ বিজিআই বিমান বাংলাদেশের আকাশসীমা রক্ষা, সীমান্ত টহল এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাতে প্রায় ৩৬টি এফ-৭ সিরিজের বিমান রয়েছে, যার একটি বড় অংশই বিজিআই মডেলের। বাংলাদেশ নিজস্বভাবে এই বিমানগুলোর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে, যা এর অপারেশনাল খরচ কমাতে এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
সীমাবদ্ধতা: যদিও এফ-৭ বিজিআই একটি মধ্যম মানের যুদ্ধবিমান এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য কার্যকর, তবে আধুনিক যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সীমিত বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষমতা : আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর তুলনায় এর বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষমতা সীমিত, যা দীর্ঘ পরিসরে শত্রুর মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে একটি দুর্বলতা।
এক ইঞ্জিন: এটি একটি মাত্র ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা দীর্ঘ অপারেশনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
স্টেলথ প্রযুক্তির অভাব: এতে স্টেলথ প্রযুক্তির অভাব রয়েছে, ফলে এটি আধুনিক ৪.৫ বা ৫ম প্রজন্মের ফাইটার বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে, কারণ এই বিমানগুলো রাডারে সহজে ধরা পড়ে না।
সব মিলিয়ে, এফ-৭ বিজিআই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য একটি কার্যকর এবং খরচ-সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে দেশের প্রতিরক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে। তবে ভবিষ্যতের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আরও উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নজর রয়েছে।
অতিরিক্ত মাদক সেবনে মারা গেলেন জনপ্রিয় পর্ন তারকা কাইলি

জনপ্রিয় মার্কিন পর্ন অভিনেত্রী কাইলি পেজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। পুলিশ ধারণা করছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর এনডিটিভির
কাইলি পেজের আসল নাম কাইলি পাইলান্ট। নেটফ্লিক্সের একটি রিয়্যালিটি শো-এর প্রতিযোগীও ছিলেন তিনি। তাকে গত ২৫ জুন লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাসভবন থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তার মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে তদন্তকারীদের ধারণা, অতিরিক্ত মাদকসেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে কাইলির।
ঘটনাস্থলে ফেন্টানিল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। কাইলির সঙ্গে কোনো ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তদন্তকারীরা।
এদিকে কাইলির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে প্রযোজনা সংস্থা ব্রাজার্স সহ একাধিক পর্নো সংস্থা। ব্রাজার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাইলি তার হাসি, দয়ার জন্য আমাদের মনে থেকে যাবেন। এই কঠিন সময়ে আমরা কাইলির পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং ভক্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
কাইলির জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার তুলসায়। ২০১৬ সালে তিনি নীল ছবির দুনিয়ায় নাম লেখান। এরপর ভিক্সেন মিডিয়া গ্রুপ এবং ব্রাজার্সের জন্য ২০০টিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তিন বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে আজ রাতে

ঢাকার শাহজালালসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আজ (সোমবার) মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের ইজারা নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ছাড়া বাকি দুটি বিমানবন্দর হলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর।
তিনি জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানের ইজারার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাদের আর নবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে না এবং আগামীতে নতুনভাবে এসব স্থাপনা ব্যবহারের জন্য নতুন নীতিমালার আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আজ রাতেই বন্ধ হচ্ছে সেগুলো হলো— এরোস ট্রেডিং, মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ, মাহবুবা ট্রেডার্স, নাহার কনস্ট্রাকশন, এভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, এ ফাইভ রোডওয়ে লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট কার সার্ভিসেস কোম্পানি, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, অথৈ এন্টারপ্রাইজ, ওল্ফ করপোরেশন, আড়িয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন এবং ডিপার্টমেন্ট এস কনসালটিং।
এছাড়া চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী প্রান্তিক ভবনের দ্বিতীয় তলার বহির্গমন এলাকায় অবস্থিত ফ্যালকন এজেন্সি এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ বহির্গমন এলাকায় থাকা ফ্যালকন এয়ারপোর্ট সার্ভিস টিমের কার্যক্রমও আজ রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকেও চূড়ান্তভাবে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ২৯ জুন বেবিচক থেকে ইজারা গ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পাশাপাশি ৩০ জুন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশও জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব প্রতিষ্ঠানকে অপসারণ করতে হবে এবং নতুন করে ইজারা নবায়নের জন্য কোনো আবেদন বিবেচনায় আনা হবে না।
বেবিচক বলছে, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় আরও আধুনিকতা, জবাবদিহিতা এবং যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে এসব স্থানে নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে একই ইজারায় কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও যাত্রীসেবা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। এসব বিবেচনায় নিয়ে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত, বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় নিয়ন্ত্রিত ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিশ্চিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও নতুন করে শৃঙ্খলা আনতে চায় কর্তৃপক্ষ। রাত থেকেই শুরু হচ্ছে সেই বাস্তবায়ন।
মন্তব্য