ভুঁড়ি কমাতে যেসব খাবার খাবেন
- খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর।
- আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
- ঝাল খাবার খান, পেটের মেদ কমে যাবে।
- কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খান।
চায়ের সঙ্গে নিয়মিত ধূমপান করলে শরীরে কী কী হয়?
কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করেন চা, কেউবা খান বিড়ি বা সিগারেট। তবে এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা চা-সিগারেট একসঙ্গে খান, যা স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট, সঙ্গে গরম চা-কে ‘ডেডলি কম্বো’ বলা হয়।
চুলের কালো রং ধরে রাখতে চাইলে যেসব খাবার খাবেন
চুল পাকা বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশ। তবুও কেউ কেউ চুলের কালো রং আরও কিছুদিন ধরে রাখতে চায়। সুখবর হলো, কিছু খাবার আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে। অর্থাৎ, সেসব খাবার নিয়মিত খেলে আপনার চুলের কালো রং দীর্ঘদিন বজায় থাকবে। চুলের রঙ মেলানিন দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা মেলানোসাইট নামক কোষ দ্বারা উৎপাদিত একটি রঙ্গক।
এই ঈদে স্যামসাং মোবাইলের সাথে সুজুকি বাইক জেতার সুযোগ

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘দ্য গ্র্যান্ড ইনভাইট’ নিয়ে এসেছে স্যামসাং, যেখানে থাকছে দারুণ সব উপহার ও অফার।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকরা নির্বাচিত স্যামসাং ডিভাইসের উপর সর্বোচ্চ ৯৬,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ডিল এবং আকর্ষণীয় পুরস্কার জয়ের সুযোগ—যেমন: স্যামসাং টিভি, রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এমনকি নতুন সুজুকি মোটরসাইকেল (সুজুকি জিক্সার এস এফ বা সুজুকি এক্সেস ১২৫) জেতার সম্ভাবনা। গ্রাহকদের আরও নিশ্চিন্ত রাখতে, স্যামসাং নির্দিষ্ট কিছু মডেলে প্রথম দুই বছরে ফ্রি ওয়ারেন্টি দিচ্ছে।
ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিস - এমএক্স ডিভিশনের হেড অব প্রোডাক্ট এন্ড মারকম সৈয়দ মো. বদরুল আরিফীন বলেন,
আরও পড়ুন
“এই ঈদ-উল-আযহায় আমাদের গ্রাহকদের ঈদ উদযাপন আরও বিশেষ করে তুলতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমাদের প্রযুক্তি পণ্যের মাধ্যমে সবাই যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন।”
এই অফারগুলো নতুন গ্যালাক্সি এ৫৬ সহ বিভিন্ন নতুন স্যামসাং ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য।
গ্রাহকরা যে কোন নির্ধারিত স্যামসাং আউটলেট থেকে ডিভাইস ক্রয়ের পর, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাবে, যেখানে কেনা পণ্যের সাথে প্রাপ্ত অফার বা পুরস্কারের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে।
হিট স্ট্রোক কি ও তার প্রতিকার

মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালি প্রসারিত করে অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয় শরীর। ঘামের মাধ্যমেও তাপ কমায় শরীর। তবে প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হতে পারে হিট স্ট্রোক। শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণক্ষমতাও তখন নষ্ট হয়ে যায়।
হিট স্ট্রোক কি?
হিট স্ট্রোক হচ্ছে যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স বা তার চেয়ে বেশি হয় এবং একইসাথে মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা-যেমন অবচেতন হওয়া, অর্ধচেতন হওয়া কিংবা অজ্ঞান হওয়া। কারও এই অবস্থা সৃষ্টি হলে তাকে আমরা হিট স্ট্রোক বলি।
হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেশী কাদের?
সাধারণত দীর্ঘ সময় বাইরে কিংবা গরম পরিবেশে যারা কাজ করে থাকেন যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক,খেতমজুর ইত্যাদি, তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। কেউ দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে আছে-তারও হিট স্ট্রোক হতে পারে। এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।
হিট স্ট্রোক কিভাবে হয়?
একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রন্ত। যখন আমাদের শরীর বেশি গরম হয়ে যায় তখন এক পর্যায়ে দেখা যায় আর শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে না।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কি কি?
হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীরের কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:-
-তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়
-মাথা ব্যথা হয়
-দুর্বল লাগে
-ঝিমুনি
-বমি বমি ভাব হয়।
-এছাড়াও চামড়ার রং লালচে হয়ে যায়
-অনেক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে -খিঁচুনি হতে পারে
-হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যায়
হিট স্ট্রোক হলে করণীয় কী?
যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বিষয়টিকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ জন হিট স্ট্রোক রোগীর মধ্যে ৩০ জন রোগী মারা যাচ্ছে। কারও হিট স্ট্রোক হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। তবে হিট স্ট্রোক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির আগে রোগীর জন্য প্রাথমিকভাবে যা করণীয় তা হচ্ছে:
-রোগীকে অপেক্ষাকৃত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে
-ফ্যান ছেড়ে দিয়ে বা বাতাস করতে হবে।
-ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।
-মুখে যদি রোগী খেতে পারে সেক্ষেত্রে প্রচুর পানি বা খাবার স্যালাইন পান করাতে হবে।
-কাঁধে-বগলে অথবা কুঁচকিতে বরফ দিতে হবে
তারপর যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
-হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক স্যালাইন দেয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হিট স্ট্রোক থেকে প্রতিরোধের উপায়:
গরমের দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচা যায়
● ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, হালকা রঙের সুতির কাপড় হলে ভালো
● যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন
● রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করুন
● প্রচুর পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করতে হবে
● রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করবেন না।
● গ্রীষ্মকালে তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও হাসপাতালে ভর্তি করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া গেলে বেশির ভাগ হিট স্ট্রোকের রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
লেখক: ডা. মো ফরিদ উদ্দিন, এমবিবিএস , সিসিডি (বারডেম), এমএসসি (ইউকে), ফেলোশিপ ইন ডায়বেটিস (ভারত)।
মন্তব্য