পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ হলেন ১১২ জন বিচারক

জুডিসিয়াল সার্ভিসের ১১২ জনকে যুগ্ম জেলা জজ পদ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জুডিসিয়াল সার্ভিসের বিচারকদের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ/বদলি করা হলো।
এই ১২২ জন বিচারককে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-এর অফিস প্রধানের মনোনীত বিচারকের কাছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বা প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মস্থলে অবিলম্বে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে রিট

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ রিট দায়ের করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু বর্তমানে অত্যধিক দামের কারণে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ইলিশ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। অন্যদিকে দেশের মধ্যবিত্তরা ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে ইলিশের দাম গড়ে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা কেজি। সবচেয়ে সুস্বাদু পদ্মা নদীর ইলিশের দাম গড়ে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা কেজি ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরচেয়ে বেশি। কিন্তু পদ্মা থেকে সীমিত ইলিশ পাওয়া যায় এবং বাজারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না বরং যেসব ইলিশ পাওয়া সেগুলো মূলত অন্য নদী বা সমুদ্রের ইলিশ।
নোটিশে বলা হয়, দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও দুঃখজনক বিষয় এই যে, দেশের বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে সেগুলো মূলত পদ্মার ইলিশ। এমনিতেই পদ্মা থেকে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়। পদ্মার ইলিশগুলো ভারতে রপ্তানির ফলে দেশের বাজারগুলোতে পদ্মার ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার যদি বিদেশিদের ইলিশের স্বাদ উপভোগ করাতে চায়, সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ‘ইলিশ উৎসব’ আয়োজন করতে পারে। যেখানে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাদেশে ভ্রমণ করে ইলিশের স্বাদ উপভোগ করার। এমনকি আসন্ন দুর্গাপূজায় ভারতীয়দের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে, বাংলাদেশ ভ্রমণ করে ইলিশের স্বাদ উপভোগ করার।
উল্লেখ্য, পর্যটন কর্পোরেশন আইন (বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অর্ডার) এর ধারা ৫ অনুযায়ী, পর্যটনের উন্নয়ন, বিকাশ ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করাসহ পর্যটনের সকল প্রকার উৎকর্ষ সাধনের দায়িত্ব পর্যটন কর্পোরেশনের।
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরও ইলিশ রপ্তানি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
স্বামীকে মুক্ত করতে বাদী সেজে আদালতে স্ত্রী, বিচারকের কাছে ধরা

স্বামীকে জামিনে মুক্ত করতে আদালতে নিজেকে বাদী পরিচয় দিয়ে বিচারকের কাছে ধরা পড়লেন রুখসানা আক্তার নামে এক নারী। এ ঘটনায় তার নামে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে। ওই আদালতের বিচারক সহকারী জজ কাজিপুর মো. লোকমান হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রুখসানা কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাব্বির হোসেন জানান, জহিরুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না দিয়ে রুখসানা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘটনায় দেনমোহর ও খোরপোষ দাবি করে প্রথম স্ত্রী রুবিনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিচারক লোকমান হাকিম আসামি জহিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার রুখসানা আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে মামলার বাদী রুবিনা হিসেবে পরিচয় দেন এবং আপোষ মীমাংসার কথা বলে তার কারাবন্দী স্বামীকে জামিনে মুক্ত করার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান তিনি।
শুনানিকালে বিচারক সহকারী জজ (পারিবারিক আদালতের জজ) মো. লোকমান হাকিম বাদীর স্বাক্ষরের সঙ্গে মামলার কাগজ ও অন্যান্য নথির স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখেন। এ অবস্থায় স্বাক্ষরে গড়মিল দেখা দেওয়ায় তাকে ও তার কথিত দেবরকে জেরা করে বেশ কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য পান। পরে স্থানীয় সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জহিরুলের দুই শিশু সন্তানকে আদালতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হন যে তিনি মামলার বাদী রুবিনা নন। তার প্রকৃত না রুখসানা আক্তার।
বিচারক মো. লোকমান হাকিম পরে আসামি জহিরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং রুখসানা আক্তারের নামে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় বেঞ্চ সহকারী সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজিপুর আমলি আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে এ মামলার আইনজীবীদের কাছে ঘটনার ব্যাখা চাইলে, তারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন।
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না ৪২ জন

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষা আগামী শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় ৪২ জন অংশ নিতে পারবেন না। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এবার বার কাউন্সিলে ১৪ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী রাজধানীর ১৩টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তবে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সংগঠিত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪২ জন পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষার ৫টি কেন্দ্রে সংগঠিত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এরপর অভিযুক্তরা নোটিশের জবাব জমা দেয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সভায় পর্যালোচনা করা হয়।
তবে, অভিযুক্তদের জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় এনরোলমেন্ট কমিটি তাদের প্রত্যেককে বার কাউন্সিলের পরবর্তী একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় (এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হওয়া ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে ওই পাঁচ কেন্দ্রের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হয়। পাশাপাশি এছাড়া ঘটনায় উস্কানিদাতা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

‘সংবিধানবিরোধী বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ড. এ কে আবদুল মোমেনের থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ।
বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার।
আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটটি আগামীকাল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ।
নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ, সংবিধানে বলা হয়েছে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এ অবস্থায় নোটিশপ্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মন্তব্য