ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

অনলাইন ডেস্ক
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৬
অনলাইন ডেস্ক
সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে  রিট

সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী এ রিট আবেদন দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


এদিকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রের সাদা পাথর উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বুধবার মধ্যরাতে ভোলাগঞ্জ সড়কের প্রবেশমুখে অভিযান চালায় তারা। আমদানির প্রমাণপত্র যাচাই করে বৈধ পাথরবাহী ট্রাকগুলো যেতে দেয়া হচ্ছে। যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাকে করে আনা এসব পাথরের আমদানির প্রমাণপত্র পরীক্ষা করে দেখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।


তবে চালকরা অভিযোগ করেন, তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করা হচ্ছে। তারা দাবি করেন, ক্রাশার মিলে অভিযান চালানো উচিত।


পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু সিলেটের দৃষ্টিনন্দন সাদা পাথর ও প্রকৃতিকন্যা জাফলং। স্থান ‍দুটির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য পাথরগুলো লুট হয়ে গেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে দেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।


এক বছর ধরে সরিয়ে ফেলা প্রাকৃতিক সম্পদের বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা হলেও এর মাধ্যমে ভূপ্রকৃতির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাছে অসহায় প্রশাসনের আত্মসমর্পণের কারণে এতবড় কেলেঙ্কারি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারক ও পরিবেশবিদরা।


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গছে, এ দুটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মুখে মুখে ছিল সিলেটের দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ সাদা পাথর চুরির ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে বেশ সরগরম। ঐকমত্যের ভিত্তিতে পাথর চুরির ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের তুলাধুনা করছেন পর্যটকরা। তাদের অভিমত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি রাজনৈতিক দলের নেতাদের দানবীয় লুটপাটের কারণে এখন মরুভূমিতে রূপ নিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল হবে কি না, রায় ২ সেপ্টেম্বর

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৪৯
    অনলাইন ডেস্ক
    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল হবে কি না, রায় ২ সেপ্টেম্বর

    বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।


    বুধবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।


    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।


    এ বছরের ২০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দেন। এরপর ২৩ এপ্রিল অনুচ্ছেদটির বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।


    এর আগে, মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে গত ২৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সেই বেঞ্চটি ভেঙে যায়। এরপর নতুন বেঞ্চ নির্ধারণের আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।


    গত বছরের ২৫ আগস্ট ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এডভোকেট শিশির মনির। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চান—বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।


    বর্তমানে প্রযোজ্য (সংশোধিত) সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে।’ কিন্তু ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, ‘বিচারকর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্বে নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’


    বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলাবিধির ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব রয়েছে- যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    মন্তব্য

    আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:১৫
    অনলাইন ডেস্ক
    আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ছয় আন্দোলনকারীর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


    বুধবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল–২–এর অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।


    ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এবং পাটোয়ারী এম মাহাদী হাসান।


    প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।


    এর আগে গত ৭ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে এক সপ্তাহের সময় চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আবেদন মঞ্জুর করে আজকের দিন (১৩ আগস্ট) ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-২।


    এ মামলায় মোট আসামি ১৬ জন, এর মধ্যে আট আসামি গ্রেপ্তার আছেন। আজ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন, কামরুল হাসান ও শেখ আবজালুল হক এবং ওই থানার সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।


    সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহাসহ এ মামলার আট আসামি পলাতক। পলাতক এই আট আসামির পক্ষে দুজনকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জেড আই খান পান্না

      শেখ হাসিনার আইনজীবী হতে আবেদন, ট্রাইব্যুনালের নাকচ

      অনলাইন ডেস্ক
      ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২১
      অনলাইন ডেস্ক
      শেখ হাসিনার আইনজীবী হতে আবেদন, ট্রাইব্যুনালের নাকচ

      জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে আইনজীবী হতে আবেদন করেছেন আলোচিত-সমালোচিত আইনজীবী জেড আই খান পান্না।


      মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তার পক্ষে আইনজীবী নাজনীন নাহার ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদনটি দাখিল করেন।


      আরও পড়ুনরাজাকারদের ফাঁসি দিয়েছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না: হাসিনার হুঙ্কাখায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে বিক্ষোভ মিছিল



      গত ২৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পিপি আইনজীবী আমির হোসেনকে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তিনি এরই মধ্যে কয়েকদিন শেখ হাসিনার পক্ষে শুনানি করেছেন। এ কারণে ট্রাইব্যুনাল জেড আই পান্নার আবেদন আমলে নেননি।


      আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে এসে তার এমন আবেদনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে বিক্ষোভ মিছিল

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:১৯
        অনলাইন ডেস্ক
        খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে বিক্ষোভ মিছিল

        সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আইনজীবীরা।


        মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।


        এ সময় কিছু আইনজীবী বলেন, খায়রুল হক ছিলেন স্বৈরাচার হাসিনার কারিগর। তার একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। এ দেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান আর হবে না।


        এর আগে সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।


        সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।


        এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে এখন মায়াকান্না দেখাতে এসেছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যখন দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন।


        পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৭ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত