ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ভারতের মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ, মহাকাশেই ধ্বংস রকেট

অনলাইন ডেস্ক
১৮ মে, ২০২৫ ১১:১৬
অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ, মহাকাশেই ধ্বংস রকেট

মহাকাশে ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠানোর জন্য ইসরোর রকেট রওনা দিয়েছিল।

কিন্তু মাঝপথে গিয়ে রকেট থেকে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে নামানো যায়নি।

যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অভিযান মাঝপথে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন ভারতের এই মহাকাশ সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিকে মিশনের ব্যর্থতার পর মহাকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে রকেটটিকে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৯ নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি৬১ মহাকাশযান। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল।

কিন্তু মিশনের তৃতীয় ধাপে গিয়ে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ফলে তা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় কর্মকর্তারা।

এদিকে ইসরোর পক্ষ থেকে এই অভিযানের উৎক্ষেপণের সময় থেকে সমগ্র মিশনটি সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে সেখানেই স্বীকার করে নেন সংস্থার প্রধান ভি নারায়ণান। পরে ইসরো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে জানায়, “আজ ১০১তম মিশন শুরু করা হয়েছিল। পিএসএলভি-সি৬১ দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।

কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণের কারণে এই মিশন শেষ করা গেল না।”

সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরোর ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ১ হাজার ৬৯৬ কেজি।

৫২৪ কিলোমিটারের কক্ষপথে (সান-সিংক্রোনাস পোলার অরবিট) এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে নামানোর কথা ছিল।

কিন্তু অভিযানের তৃতীয় ধাপে যে মোটরটি ব্যবহার করা হয়, ২০৩ সেকেন্ডের মাথায় সেটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে।

২০১৭ সাল থেকে পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযানের উৎক্ষেপণ করে আসছে ইসরো। এখনও পর্যন্ত এই রকেট ৬৩টি উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হয়েছে।

তার মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তিনটি মিশন। কী কারণে এই গোলযোগ ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারেরা।

ইতোমধ্যে একটি ব্যর্থতা বিশ্লেষণ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে মিশনের ব্যর্থতার পর মহাকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে রকেটটিকে। সেটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতেই এসে পড়বে।

তবে তা থেকে যাতে কোনও বিপদ না-ঘটে, ইসরো তা নিশ্চিত করছে বলেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    গাজায় নির্বিচারে হত্যা: ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করলো স্পেন

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৭ মে, ২০২৫ ১৮:২৭
    অনলাইন ডেস্ক

    ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ অভিহিত করে দখলদার দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে স্পেন।

    স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, “আমি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ইসরায়েল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র। এর সঙ্গে আমরা আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখছি না। (ইসরায়েলের সঙ্গে) কোনও বাণিজ্য হবে না।”

    বুধবার রাজধানী মাদ্রিদে স্পেনের পার্লামেন্টে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কাতালান পার্লামেন্ট সদস্য গ্যাব্রিয়েল রুফিয়ানের সমালোচনার জবাবে এই তথ্য জানান সানচেজ। 

    গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আগে থেকেই ইসরায়েলের বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি। তবে এটিই তার সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ ও সরাসরি বক্তব্য।

    স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পেনের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের প্রেক্ষাপটে এটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ‘আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী’

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৭ মে, ২০২৫ ১৬:২৫
      অনলাইন ডেস্ক
      ‘আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী’
      ছবি : সংগৃহীত

      পাকিস্তানে অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে খুব একটা বাণিজ্য করে না, অথচ তাদের দারুণ সম্ভাবনা আছে।

      ট্রাম্প বলেছেন, পাকিস্তানিরা ব্রিলিয়ান্ট (মেধাবী) এবং অসাধারণ সব পণ্য তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, আমি সেখানে অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছি— যা আপনারা বিশ্বাসই করবেন না।

      ‘আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী’

      ট্রাম্প বলেন, তারা ব্রিলিয়ান্ট মানুষ। তারা অসাধারণ সব জিনিস তৈরি করে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে খুব কম বাণিজ্য করি।

      আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী। আমি যুদ্ধ থামিয়েছি, যা পারমাণবিক যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারত। তারা খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এখন সবাই খুশি।

      পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে দারুণ আলোচনা করেছি। জানেন তো, এটা দু’পক্ষের ব্যাপার। ভারতের সঙ্গে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, আর পাকিস্তানের সঙ্গেও আমি বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তারা খুব আগ্রহী।

      ট্রাম্প জানান, তিনি তার টিমকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্য শুরু করতে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        দিল্লি থেকে ৪০ রোহিঙ্গাকে ধরে সাগরে 'ছেড়ে দিলো' ভারত

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৬ মে, ২০২৫ ২২:১০
        অনলাইন ডেস্ক
        দিল্লি থেকে ৪০ রোহিঙ্গাকে ধরে সাগরে 'ছেড়ে দিলো' ভারত

        রাজধানী দিল্লি থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৪০ জনকে ধরে নিয়ে তাদের বঙ্গোপসাগরের পাশের আন্দামান সাগরে নিয়ে ফেলে দিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে।

        তারা বলেছে, ভারত সরকার সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

        রোহিঙ্গারা বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে দশ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ২২ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পান।

        তবে ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। দেশটির সরকার দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে। আইনগতভাবে ভারতে কেউ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে পারেন না। তাই সব রোহিঙ্গাকে দেশটি অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করে।

        মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করেছে।

        এরমধ্যে গত সপ্তাহের একটি ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গত ৬ মে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে পুলিশ বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে। এরমধ্যে ৪০ জনকে চোখ বেঁধে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মাইল দূরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

        সেখানে তাদের ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়। জাহাজটি আন্দামান সাগরের কাছে মিয়ানমারের তানিনথারি অঞ্চলের দিকে যাত্রা করে।

        ওই জাহাজে থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তানিনথারির কাছে পৌঁছানোর পর তাদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় এবং সাগরে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করা হয়। ওই সময় তাদের মিয়ানমারের একটি দ্বীপে সাঁতরে চলে যেতে নির্দেশ দেয় ভারতীয় সেনারা।

        ভারতের মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) জানিয়েছে, যাদের পানিতে ফেলা হয়েছিল তাদের মধ্যে কিশোর, বয়স্ক এবং ক্যানসার রোগীও ছিলেন।

        তবে ভাগ্য ভালো থাকায় ওই ৪০ রোহিঙ্গার সবাই জীবিত অবস্থায় তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌ সেনারা তাদের মারধর ও অন্যান্য নির্যাতন করেছে।

        মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, “নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাগরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা অত্যান্ত ভয়াক। আমি এই ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করছি এবং ভারত সরকারকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

        ভারত গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও ৭৮ জনকে পুশ ইন করে। যাদের গুজরাট থেকে ধরে এনে সুন্দরবনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে গিয়েছিল। ১০ মে এসব মানুষকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ। তারা জানিয়েছেন, তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি তাদের না খাইয়ে রাখা হয়েছিল।

        সূত্র: দ্য মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইসরায়েল ‘গণহত্যাকারী’, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৫ মে, ২০২৫ ১২:৩৩
          অনলাইন ডেস্ক
          ইসরায়েল ‘গণহত্যাকারী’, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের

          ইসরায়েলকে প্রথমবারের মতো ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে স্পেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

          বুধবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে স্পেনের কাতালান রাজ্যের এমপি গ্যাব্রিয়েল রাফিয়ান ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য সানচেজের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি।

          সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় নিজ বক্তব্যে সানচেজ বলেন, “আমি এখানে একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জনাব রাফিয়ান— একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখছি না। (ইসরায়েরের সঙ্গে) কোনো বাণিজ্য হবে না।”

          এমপি গ্যাব্রিয়েল রাফিয়ান স্পেনের বামপন্থি রাজনৈতিক দল সুমার পার্টির একজন নেতা। এই দলটির সঙ্গে জোট রয়েছে সানচেজের নেতৃত্বাধীন স্প্যানিশ সোস্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির। স্পেনের বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াজ সুমার পার্টির শীর্ষ নেতা।

          সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে স্পেন। তবে বুধবারেই এই তথ্য প্রথম জনসমক্ষে আনলেন সানচেজ।

          এদিকে ইসরায়েলি বিভিন্ন সংবাদামাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের বুধবারের মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে কর্মরত স্পেনের রাষ্ট্রদূত আনা সলোমনকে তলব করে কড়া বার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

          প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫২ হাজার ৯০০ এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ জন।

          ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

          জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক।

          যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

          জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও যুদ্ধবন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

          তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

          সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত