কুলাউড়ায় বিপুল পরিমাণ এসকপ কোডিনসহ আটক-১

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুর এলাকা থেকে ৪৬ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ এসকপ কোডিনসহ এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বেরিরগাও সঞ্জয়পুর গ্রামের আজম আলীর ছেলে।
সোমবার (১১ই আগষ্ট) সকাল ১০ টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আবুল কালাম আজাদ এবং র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জিয়া লতিফুলের নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে ৪৬ বোতল কোডিন ফসফেটসহ আবুল হোসেন বাবুল (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আটককৃত আবুল হোসেন বাবুলের বাড়ি থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভারতীয় LABORATE কর্তৃক প্রস্তুতকৃত 'ESKUP' নামীয় ৪৬ বোতল এসকপ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বোতলে ১০০ মি:লি করে মোট ৪৬০০ মিলি তরল পদার্থ ছিল।
মৌলভীবাজারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সনের (সংশোধিত ২০২০) ৩৬ (১) ১৪ (খ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
রড বোঝাই ট্রাক লুট, নোয়াখালীতে যুবদল কর্মিসহ গ্রেপ্তার-২

নোয়াখালীর কবিরহাটে ডাকাতি হওয়া একটি ট্রাক ও রডসহ যুবদল কর্মি সোলেমান সুজন (৩৫) এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা- ফেনী মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাবুর্চি বাজার এলাকা থেকে রডসহ ট্রাক ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যুবদল কর্মি সোলেমান সুজন সুন্দলপুর গ্রামের নীরা মিয়া বাড়ির হাফিজুর রহমান ওরফে আনন্দ মাষ্টারের ছেলে ও আবু ছয়েদ (৩৭) কবিরহাট পৌরসভার উত্তর ঘোষবাগ গাড়িওলাগো বাড়ির ওমর আলীর ছেলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ফেনী মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাবুর্চি বাজার এলাকায় রডবোঝাই একটি ট্রাকের গতিপথ রোধ করে চালক ও হেলপারকে বেঁধে ট্রাকটি নিয়ে নোয়াখালীর কবিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ডাকাত দল। ওই সময় টহলরত পুলিশ চালক ও হেলপারকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ট্রাক ডাকাতির ঘটনা জানান। পরে মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাকের অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রডবোঝাই ট্রাকসহ ডাকাত দলের দুইজনকে আটক করে।
সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.হানিফ বলেন, সুজন যুবদলের কোনো পদে নেই। আগে সে ছাত্রলীগ করত। ৫ আগস্টের পর নিজেকে যুবদলের কমিয়-সমর্থক হিসেবে পরিচয় দেয়।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মঞ্জুরুল আহমদ বলেন, রাতে সন্দেহভাজন একজনসহ মোট তিনজনকে ট্রাকসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রডসহ ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ার মাছ ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝিকে নিজ বাড়ি থেকে হাত-পা, চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে জেলার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার মাছ ঘাটে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও জেলেরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝিকে তাঁর নিজ বসত ঘর থেকে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তুলে নেয় বলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মিজান মাঝি সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও একজন মৎস্য ব্যবসয়ী।
মানববন্ধনে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম ইউসুফ, ফখরুল মাঝি, ব্যবসায়ী আকবর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সৈকত ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পলাশ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তাগন বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝি বিএনপির রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সুবর্ণচর ও হাতিয়া অঞ্চলের একজন বড় সফল ও সৎ মৎস্য ব্যবসায়ী। এই অঞ্চলের মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর যথেষ্ট দান-অনুদান রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোন ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা অথবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোন অভিযোগ নেই। থানায় কোন মামলা নেই। অথচ গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টায় মিজান মাঝি ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে তাঁকে হাত-পা, চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। পরে শুক্রবার দুপুরে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে তাঁকে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কিছু অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। অবিলম্বে আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
মিজান মাঝির ছেলে শাহাদাত হোসেন রুবেল বলেন, তাঁর বাবা চরবাটা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইতিপূর্বে তারঁ বাবার বিরুদ্ধে চরজব্বর থানা অথবা অন্য কোথাও কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। অথচ রাজনীতি ও ব্যবসায়িক কারণে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে কিছু লোক শত্রুতা করে কোস্টগার্ডকে দিয়ে তাঁর বাবাকে তুলে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসান।
তিনি বলেন, তাঁর বাবা মিজান মাঝিকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় নিয়ে গেলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর না করে অস্ত্র উদ্ধারের নামে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জড়ান। তাঁর বাবার মুক্তির দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে চাইলে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ করে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়। তার পরও মৎস্য ব্যবসায় ও সাধারণ মানুষ তাঁর বাবার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও তাঁরা অভিলম্বে মিজান মাঝির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
এদিকে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকতা লেঃ কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম-উল-হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরপে মিজান ডাকাতকে আটকের পর হাতিযার বাংলা বাজার তার মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ ও ৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং ২৯টি হাত বোমা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়ায় মামলা করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি দোকান ও ১টি কারখানা

নোয়াখালীর সেনবাগে ১১টি দোকান ও গোডাউনসহ ১টি কাঠের আসবাবপত্র তৈরীর কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সেবারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১২টার দিকে সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১২টি দোকান ও একটি কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রোববার সকাল সাতটায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ কমপক্ষে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সেনবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো.সাব্বির হোসেন বলেন, পাঁচটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকান্ডে ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভায় ‘সংস্কার’ এর নামে মানুষকে আটকে রাখা-এডভোকেট ময়ুন

মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(১লা আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার পৌরসভার কনফারেন্স হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়া এবং সভা উপস্থাপনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন জীবন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি'র আহ্ববায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. আলী রাকিব, বড়লেখার সভাপতি আব্দুল বাছিত, কুলাউড়ার সভাপতি এমদাদ হোসেন, কমলগঞ্জের সভাপতি কাবিল হোসেন, রাজনগরের সভাপতি মো. ছালিক মিয়া, জুড়ীর সভাপতি আমির হোসেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সভাপতি ছুরুক আলী, বড়লেখা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ, শ্রীমঙ্গল পৌর মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কৃপেন্দ্র সরকার কিরণ, যুগ্ম সম্পাদক বেলাল তালুকদার এবং মৌলভীবাজার পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুস শুকুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দল সবচেয়ে অবহেলিত সংগঠন হলেও বিগত হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়াসহ সংগঠনের অন্তত ১৫-২০ জন ত্যাগী নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থান ও ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের সময় মৎস্যজীবী দলের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের দিয়েই জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের কমিটিগুলো গঠন করতে হবে। দলে কোন দালাল, ভুঁইফোড় কিংবা সুবিধাবাদী দোসরদের ঠাঁই দেওয়া যাবে না। কারণ এরা আন্দোলনের সময় গা ঢাকা দেয়, অথচ সুযোগ আসলে সময়মত সামনে আসে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “বর্তমান সরকার কথিত ‘সংস্কার’ নামের এক জালে জনগণকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে, সময়ক্ষেপণ করে জনগণের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—এই ধরনের তালবাহানা আর চলবে না। অবিলম্বে সরকারের উচিত হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করে দেয়া।
মন্তব্য