ভুয়া টেন্ডার ও বিল প্রস্তুত
গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুদক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া টেন্ডার ও বিল প্রস্তুতপূর্বক নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে সরকারি উন্নয়ন তহবিল ও সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব তহবিল থেকে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্তৃক মামলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ আশিকুর রহমান এজাহারটি দায়ের করেন।
এজহারে বলা হয়েছে , আসামি (১) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম , সাবেক মেয়র, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (২) মোঃমোতালিব হোসেন (৬০), ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ,কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর; (৩) শামীম হোসাইন (৪১), পিতাঃ ইমাইতুলস্নাহ হোসেন (৪) মোঃ আশরাফুল আলম রানা ওরফে রবিন (৫) মোঃ শহিদুল ইসলাম (৬) প্লটু চাকমা (৭) মোঃ মোকলেছুর রহমান (মুকুল) (৫৩), সার্ভেয়ার (চুক্তিভিত্তিক), অঞ্চল-৬, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ব্যক্তিগন অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরনের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে অভিনব উপায়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, কোনাবাড়ি শাখা, গাজীপুর-এ "গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন" নামীয় ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ২,৬০,২৪,৯৯৫.৫০ (দুই কোটি ষাট লক্ষ চব্বিশ হাজার নয়শত পঁচানব্বই টাকা পঞ্চাশ পয়সা) টাকা আত্মসাত করতঃ দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
সাতক্ষীরায় শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে বিদ্যালয় থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেওয়ার ঘটনায় বল্লী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসলাম কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে বল্লী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই দিন দুপুরে বিদ্যালয়ের ফটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা জড়িত বিএনপি –ছাত্রদল নেতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, “শিক্ষকের দেওয়া মামলায় সোমবার রাতে বল্লী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট শিক্ষক শফিকুর রহমান অবস্থান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা ও ইউপি সদস্যসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নোবিপ্রবি সহকারী প্রভোস্টদের ‘গায়েবি’ প্রশাসন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোর প্রশাসনিক কাঠামোতে সহকারী প্রভোস্টদের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচটি হল রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ছাত্রী ও দুটি ছাত্রদের জন্য। প্রতিটি হলে একজন প্রভোস্ট এবং সম্মিলিতভাবে ৫০ জন সহকারী প্রভোস্ট দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, হলগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে এই সহকারী প্রভোস্টরা নিয়োজিত হন। তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে রুম বরাদ্দ, আবাসিক তালিকা প্রস্তুত, আবাসন–সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডাইনিং ব্যবস্থার তদারকি, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা। এ লক্ষ্যে প্রতি মাসে সহকারী প্রভোস্টদের সম্মানী বাবদ প্রশাসনের খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
প্রতি মাসে এই ৫০ জন প্রভোস্টের সম্মানী বাবদ প্রায় ১.৭৫ লক্ষ টাকা খরচ হলেও, শিক্ষার্থীরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এই অব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি হলে রুটিন ভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করা থাকলেও তা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। গুটিকয়েক সহকারী প্রভোস্ট ছাড়া বাকিদের দেখা মেলে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ পাওয়ার পর এখনো হলে পরিদর্শনে পর্যন্ত আসেননি।
হল প্রশাসনের এই উদাসীনতা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, "আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দরখাস্ত স্বাক্ষরের জন্য হল অফিসে জমা দেওয়ার পর প্রায় চার মাস লেগেছে। বারবার যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। প্রভোস্টরা শুধু আশ্বাস দেন, কিন্তু কাজে কোনো গতি নেই।"
২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, "হলের কোনো সমস্যা নিয়ে সহকারী প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত সাড়া দেন না। জরুরি সময়ে তাদের পাওয়া যায় না, যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে।"
আরেক শিক্ষার্থী মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন হল নানা সমস্যায় জর্জরিত, “আমরা উনাদেরকে বেশিরভাগ সময়েই নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে দেখিনা। যেকারনে হলের ডাইনিং ও পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন সমস্যাগুলো যেমন কতৃপক্ষ এড্রেস করতে ব্যর্থ হন, শিক্ষার্থীরা সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সমাধান পান না।”
তবে শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেছেন, কিছু হল প্রশাসন তুলনামূলকভাবে বেশি সক্রিয় এবং পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন—যা একটি আশার আলো দেখায়।
এদিকে প্রতি বছর সহকারী প্রভোস্টদের পেছনে সম্মানী বাবদ ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রতি মাসে এই খাতে খরচ হয় প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, যা বছরে দাঁড়ায় ২১ লক্ষ টাকা। এত টাকা খরচ করেও শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় নিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সহকারী প্রভোস্টদের নিয়মিত হলে উপস্থিত থাকা এবং দায়িত্ব পালন করা জরুরি, কারণ এতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে, তেমনি বাড়বে প্রশাসনের প্রতি তাদের আস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শুধু নিয়োগ আর সম্মানি দিয়ে দায়িত্ব শেষ হয় না, এই পদগুলোর ফলপ্রসূতা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি মাসে উল্লেখযোগ্য অর্থ ব্যয় করেও যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি শুধু শিক্ষার্থীদের হতাশ করে না, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।”
এই বিষয়ে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “প্রভোস্ট বডি সংস্কারের কাজ চলছে। কতজন সদস্য প্রয়োজন তা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। এরপর সেই অনুযায়ী কমিটিগুলোকে নতুন করে সাজানো হবে। প্রভোস্ট বডি সংস্কারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং কাজে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অগ
এক্সিম ব্যাংকের ‘৮৫৮ কোটি আত্মসাৎ’: সাবেক চেয়ারম্যান সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ এ মামলা করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলায় আসামি তালিকায় আরও রয়েছেন- ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ এর প্রোপ্রাইটর মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূইয়া।
এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।
এজাহারে দুদক বলেছে, ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের বিষয়টি থাকলেও আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো পাঠানো এবং বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মত ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ অগাস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।
উল্লেখ্য নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবিরও সাবেক চেয়ারম্যান।
নোয়াখালীতে যুবদল কর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদলের এক কর্মির গুলিতে জামায়াতের ২কর্মি গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। এর আগে, গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকানের সামনে তারা গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা দুজনই গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সদস্য এবং একই এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে ও জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার ১৫ আগস্ট বিকেলে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মি রাসেলের সাথে বিএনপির কর্মি মানিকের বাকবিতন্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মি মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মিদের ধরতে পুনরায় তল্লাশী চালায় তারা।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো.জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মি মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মিদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মি সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদল কর্মি মহসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমনের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাবো।
ওসি লিটন দেওয়ান আরও বলেন, স্কুলের ভবনের ছাদের ওপরে উঠে, ভালো ভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিল খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠক বসে মিটমাট করে দেয়। যাতে আর কোন সমস্যা না হয়। কিন্ত বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিদ্ধি হয়েছে একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সাথে কথা বলতে পারি নি।
মন্তব্য