ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নোবিপ্রবি সহকারী প্রভোস্টদের ‘গায়েবি’ প্রশাসন

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৩৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নোবিপ্রবি সহকারী প্রভোস্টদের ‘গায়েবি’ প্রশাসন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোর প্রশাসনিক কাঠামোতে সহকারী প্রভোস্টদের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচটি হল রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ছাত্রী ও দুটি ছাত্রদের জন্য। প্রতিটি হলে একজন প্রভোস্ট এবং সম্মিলিতভাবে ৫০ জন সহকারী প্রভোস্ট দায়িত্ব পালন করছেন। 


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, হলগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে এই সহকারী প্রভোস্টরা নিয়োজিত হন। তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে রুম বরাদ্দ, আবাসিক তালিকা প্রস্তুত, আবাসন–সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডাইনিং ব্যবস্থার তদারকি, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা। এ লক্ষ্যে প্রতি মাসে সহকারী প্রভোস্টদের সম্মানী বাবদ প্রশাসনের খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। 


প্রতি মাসে এই ৫০ জন প্রভোস্টের সম্মানী বাবদ প্রায় ১.৭৫ লক্ষ টাকা খরচ হলেও, শিক্ষার্থীরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এই অব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। 


সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি হলে রুটিন ভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করা থাকলেও তা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। গুটিকয়েক সহকারী প্রভোস্ট ছাড়া বাকিদের দেখা মেলে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ পাওয়ার পর এখনো হলে পরিদর্শনে পর্যন্ত আসেননি।


হল প্রশাসনের এই উদাসীনতা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, "আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দরখাস্ত স্বাক্ষরের জন্য হল অফিসে জমা দেওয়ার পর প্রায় চার মাস লেগেছে। বারবার যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। প্রভোস্টরা শুধু আশ্বাস দেন, কিন্তু কাজে কোনো গতি নেই।" 


২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, "হলের কোনো সমস্যা নিয়ে সহকারী প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত সাড়া দেন না। জরুরি সময়ে তাদের পাওয়া যায় না, যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে।"


আরেক শিক্ষার্থী মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন হল নানা সমস্যায় জর্জরিত, “আমরা উনাদেরকে বেশিরভাগ সময়েই নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে দেখিনা। যেকারনে হলের ডাইনিং ও পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন সমস্যাগুলো যেমন কতৃপক্ষ এড্রেস করতে ব্যর্থ হন, শিক্ষার্থীরা সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সমাধান পান না।”


তবে শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেছেন, কিছু হল প্রশাসন তুলনামূলকভাবে বেশি সক্রিয় এবং পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন—যা একটি আশার আলো দেখায়।


এদিকে প্রতি বছর সহকারী প্রভোস্টদের পেছনে সম্মানী বাবদ ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রতি মাসে এই খাতে খরচ হয় প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, যা বছরে দাঁড়ায় ২১ লক্ষ টাকা। এত টাকা খরচ করেও শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় নিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সহকারী প্রভোস্টদের নিয়মিত হলে উপস্থিত থাকা এবং দায়িত্ব পালন করা জরুরি, কারণ এতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে, তেমনি বাড়বে প্রশাসনের প্রতি তাদের আস্থা।


বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শুধু নিয়োগ আর সম্মানি দিয়ে দায়িত্ব শেষ হয় না, এই পদগুলোর ফলপ্রসূতা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি মাসে উল্লেখযোগ্য অর্থ ব্যয় করেও যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি শুধু শিক্ষার্থীদের হতাশ করে না, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।”


এই বিষয়ে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “প্রভোস্ট বডি সংস্কারের কাজ চলছে। কতজন সদস্য প্রয়োজন তা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। এরপর সেই অনুযায়ী কমিটিগুলোকে নতুন করে সাজানো হবে। প্রভোস্ট বডি সংস্কারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং কাজে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অগ

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    এক্সিম ব্যাংকের ‘৮৫৮ কোটি আত্মসাৎ’: সাবেক চেয়ারম্যান সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    এক্সিম ব্যাংকের ‘৮৫৮ কোটি আত্মসাৎ’: সাবেক চেয়ারম্যান সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

    দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ এ মামলা করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছেন।


    তার বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলায় আসামি তালিকায় আরও রয়েছেন- ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ এর প্রোপ্রাইটর মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূইয়া।


    এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।


    এজাহারে দুদক বলেছে, ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের বিষয়টি থাকলেও আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো পাঠানো এবং বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।


    তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


    ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মত ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ অগাস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।


    উল্লেখ্য নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবিরও সাবেক চেয়ারম্যান।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নোয়াখালীতে যুবদল কর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ

      জেলা প্রতিনিধি
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৩
      জেলা প্রতিনিধি
      নোয়াখালীতে যুবদল কর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ

      নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদলের এক কর্মির গুলিতে জামায়াতের ২কর্মি গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


      সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। এর আগে, গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকানের সামনে তারা গুলিবিদ্ধ হন।  


      গুলিবিদ্ধরা হলেন, মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা দুজনই গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সদস্য এবং একই এলাকার বাসিন্দা।  


      খোঁজ নিয়ে ও জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার ১৫ আগস্ট বিকেলে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মি রাসেলের সাথে বিএনপির কর্মি মানিকের বাকবিতন্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মি মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মিদের ধরতে পুনরায় তল্লাশী চালায় তারা।


      বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো.জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মি মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মিদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মি সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।


      এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদল কর্মি মহসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।


      যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমনের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাবো।


      ওসি লিটন দেওয়ান আরও বলেন, স্কুলের ভবনের ছাদের ওপরে উঠে, ভালো ভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিল খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠক বসে মিটমাট করে দেয়। যাতে আর কোন সমস্যা না হয়। কিন্ত বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিদ্ধি হয়েছে একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সাথে কথা বলতে পারি নি।  

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৩৫
        অনলাইন ডেস্ক
        ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান

        ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


        রবিবার এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।


        তিনি জানান, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশীয় কোম্পানিকে ওয়াকিটকি কেনার জন্য কাজ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ওই কোম্পানি একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সনদ ব্যবহার করেছে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এ প্রসঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। 


        দুদকের প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির কেনা ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। বিস্তারিত যাচাইয়ের উদ্দেশে প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। রেকর্ডপত্রগুলো পর্যালোচনা শেষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে অভিযানিক দল।


        নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে পল্লবী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

          জেলা প্রতিনিধি
          ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ৭:৪১
          জেলা প্রতিনিধি
          শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

          ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরায় স্কুলে ঢুকে সহকারী এক শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 


          রোববার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেন।


          মারধরের শিকার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অভিযোগে বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, বল্লী গ্রামের শাহিনুর রহমান, হাজীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ, রাশেদুজ্জামান লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ, বাঁশসহকারে স্থানীয় জনতা নিয়ে স্কুলের অফিসকক্ষে ঢুকে। তারা আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে এবং কিছু মানুষ দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে ধরে জনসম্মুখে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে বল্লী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিয়ে আটকে বেধম মারধর করে। স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে তারা স্কুলে এসে বলে, আমি আবার এই স্কুলে গেলে আমাকে হত্যা ও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেয়।  


          ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিএনপির কিছু নেতাকে আমার অফিস কক্ষে বসে থাকতে দেখি। তারা শনিবার বন্ধের দিন এক ছাত্রীকে ৩৭ মিনিট শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়িয়েছেন জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে কামরুজ্জামান সবুজ শিক্ষক শফিককে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। তারপর ১০-১২ জন তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে কিল-ঘুসি মারতে মারতে এখান থেকে নিয়ে যায়। থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। 


          এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা সবুজকে মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। এছাড়া বিএনপি নেতা মন্টু এই বিষয়ে কিছু বলতে আগ্রহী নন বলে জানান। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। 

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত