ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

জেলা প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ৭:৪১
জেলা প্রতিনিধি
শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরায় স্কুলে ঢুকে সহকারী এক শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 


রোববার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেন।


মারধরের শিকার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অভিযোগে বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, বল্লী গ্রামের শাহিনুর রহমান, হাজীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ, রাশেদুজ্জামান লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ, বাঁশসহকারে স্থানীয় জনতা নিয়ে স্কুলের অফিসকক্ষে ঢুকে। তারা আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে এবং কিছু মানুষ দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে ধরে জনসম্মুখে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে বল্লী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিয়ে আটকে বেধম মারধর করে। স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে তারা স্কুলে এসে বলে, আমি আবার এই স্কুলে গেলে আমাকে হত্যা ও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেয়।  


ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিএনপির কিছু নেতাকে আমার অফিস কক্ষে বসে থাকতে দেখি। তারা শনিবার বন্ধের দিন এক ছাত্রীকে ৩৭ মিনিট শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়িয়েছেন জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে কামরুজ্জামান সবুজ শিক্ষক শফিককে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। তারপর ১০-১২ জন তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে কিল-ঘুসি মারতে মারতে এখান থেকে নিয়ে যায়। থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। 


এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা সবুজকে মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। এছাড়া বিএনপি নেতা মন্টু এই বিষয়ে কিছু বলতে আগ্রহী নন বলে জানান। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    এস আলমের চেয়ারম্যান মাসুদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১:২১
    অনলাইন ডেস্ক
    এস আলমের চেয়ারম্যান মাসুদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    অনুমোদন ছাড়াই ৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


    রোববার (১৭ আগস্ট) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আফরোজা খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।


    মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আকিজ উদ্দীন, লা-অ্যারিস্টোক্রেসি রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমে নওরোজ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, ব্যাংকের কাজীর দেউড়ি মহিলা শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দা নাজমা মালেকা, একই শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক হুমাইয়ারা সাঈদা খানম, জেড আর জে সার্ভের স্বত্বাধিকারী শফিকুল করিম, মিশকাত ট্রেড সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মিশকাত আহমেদ, আরিফ হাসনাইন রাবার সাপ্লায়ায়ের মালিক আরিফ হাসনাইন, নুর ট্রেডার্সের মালিক জসিম উদ্দিন, মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জুয়েল মিয়া, রিমঝিম শাড়ি হাউজের স্বত্বাধিকারী জুয়েল, আগমন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এরশাদ সিকদার, এম এইচ এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুল হক, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী যিশু বণিক, মেসার্স আল মদিনা স্টিলের মালিক মো. আলমগীর, হক মেরিন ফিশের মালিক মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ শাহ আলম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইকবাল।


    মামলায় ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে ‘মেসার্স লা-অ্যারিস্টোক্রেসি’-এর ঋণ হিসেবে বিভিন্ন সময় ৭৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮৪ টাকা নেওয়ার পর তা পরিশোধ না করে পরে টাকাগুলো নগদ, পে-অর্ডার ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।


    দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২), (৩) ধারা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় দুদক আইন, ২০০৪-এর ১৯(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      আপনাদের মেয়ে আর নেই, মধ্যরাতে শাশুড়িকে ফোনে জানিয়ে লাপাত্তা জামাই

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৮
      অনলাইন ডেস্ক
      আপনাদের মেয়ে আর নেই, মধ্যরাতে শাশুড়িকে ফোনে জানিয়ে লাপাত্তা জামাই

      রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫) নামে চার সন্তানের এক জননীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছেন। তিনি পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৫৮৩ অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন।


      নিহতের পরিবার ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) কেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান। অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন এবং তার মা অনেক আগেই মারা গেছেন।


      বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বামী পলাতক।


      নিহতের ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে কেয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে, স্বীকার করেন কেয়া মারা গেছেন। পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত পালিয়ে যান। পরে তারা বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।


      নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিফাত খুবই বদমেজাজি ছিল। সন্তানদের সামনে খারাপ আচরণ ও মারধর করত। সে নিজে কিছু করে না। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের বলি হয়েছে কেয়া। 


      তিনি বলেন, কেয়ার চার সন্তান রয়েছে- এক মেয়ে ও তিন ছেলে। বড় মেয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। কয়েকদিন আগে কেয়া বলেছিল, সে আর পারছে না, সংসার করতে পারবে না। আমরা তাকে বোঝিয়ে আটকিয়েছি। ভুল করেছি। আজ তার খেসারত মেয়েটিই দিয়ে গেলো।


      রফিকুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ছোট ছোট নাতি-নাতনীদের কি হবে? আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। গলায় দাগও দেখেছি। সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যাবে এমনটা সম্ভব নয়। সিফাত কেন পালাবে?


      মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাত রোমান জানান, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবরে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আছে এবং সেখানে সুরতহাল করা হবে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও পুলিশি তদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য স্পষ্ট হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ৩৫ বছর ধরে রাকসু'র ফান্ডে জমা টাকা কোথায়?

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৩
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ৩৫ বছর ধরে রাকসু'র ফান্ডে জমা টাকা কোথায়?

        রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন না হলেও, নিয়মিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে হল সংসদ বাবদ ৩০ টাকা এবং রাকসু বাবদ ১৫ টাকা করে ফি নেওয়া হয়েছিল। আসন্ন রাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের অনেকের অনেকের কাছে প্রশ্ন রাকসু ফান্ডে হওয়া টাকা কোথায়?


        ফান্ডে জমা থাকা অর্থের বিষয়ে রাকসু ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান জানান, "ছাত্র সংসদ ফান্ডের ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বর্তমানে এফডিআর করা আছে। এছাড়া, ২০১২-১৩ সেশনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪৯ লক্ষ টাকা রাকসু ফান্ড থেকে লোন নিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২১ সালে সেসময়কার প্রশাসন একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন বাবদ ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিল।"


        নির্বাচন আয়োজনের ব্যয় কি রাকসু ফান্ড থেকে নির্বাহ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাকসু কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, "রাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্য এখনো এ বিষয়ে আমাদেরকে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। নির্বাচনের জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা কোনো বরাদ্দ দেবে, নাকি রাকসুর নিজস্ব ফান্ড থেকেই খরচ করা হবে সেটি আরো কিছুদিন পরে জানাতে পারবো। তবে কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ রাকসু ফান্ড থেকে করা হচ্ছে।"


        হল সংসদ ফান্ড নিয়ে অস্পষ্টতা 


        রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে হল সংসদ ফি বাবদ ৩০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হয়। রাকসু ফান্ডের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলেও হল সংসদ ফি-এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। 


        বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শারমিন হামিদ এ বিষয়ে বলেন, "হল সংসদ ফান্ড আমাদের আছে; কিন্তু ফান্ডের অবস্থা ভালো না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি ৭-৮ মাস হলো, আমি জেনেছি এই ফান্ড থেকে প্রতি মাসের পত্রিকার বিলসহ শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু খরচ করা হয়ে থাকে। হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে আমি নিজেও ক্লিয়ার না, কারণ এত বছতে তো অনেক টাকা থাকার কথা ছিল। আগে কি হয়েছে তা আমি জানি না; কিন্তু আমি যেদিন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি সেদিন থেকে হল সংসদ ফান্ডের হিসাব যদি চাওয়া হয়, আমি দিতে পারবো।"


        মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছামিউল সরকারকে হল সংসদের ফি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "আমি যতদূর জেনেছি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে হল সংসদ ফি নেওয়া হয়, সেখান থেকে প্রতি মাসে আবাসিক হলের যে পত্রিকা বিল আসে, সেটি প্রদান করা হয়ে থাকে।"


        রাকসু ও হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব জানান, "রাকসু ফান্ডের অর্থের বিষয়ে আমি অনেকদিন আগেই বলে দিয়েছিলাম যেন এই ইনফরমেশনটুকু গণমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে দেওয়া হয়। আর, হল সংসদ ফান্ডের বিষয়টি প্রাধ্যক্ষগণ জেনে থাকবেন; আমিতো মনে করি শিক্ষার্থীদের সেটিও জানার অধিকার আছে। হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে আমিও প্রাধ্যক্ষদের সাথে কথা বলবো।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র

          খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

          অনলাইন ডেস্ক
          ১২ আগস্ট, ২০২৫ ৯:৩৩
          অনলাইন ডেস্ক
          খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

          অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।


          সোমবার (১১ আগস্ট) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


          খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


          মামলার অন্য আসামিরা হলেন– খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান। এ ছাড়া মামলায় আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে।


          মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা থেকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এম মুজিবুর রহমানকে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল থেকে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ‘তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘বিজয় একাত্তর’ ও ‘জয় বাংলা আমার প্রাণ’ গ্রুপের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়। কেএমপি থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহর মামলার অনুমতি চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ৪ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি পায় কেএমপি। সোমবার এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত