ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন পিনাকী ভট্টাচার্য

ডেস্ক রিপোর্ট: শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ না করে এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ৯ অক্টোবর এ মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ আমলে গ্রহণ না করে পিনাকীসহ দুজনকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী নামের অপর দুজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন পিনাকীসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ প্রেসসচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর নজরে আসে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। ফেসবুকে ওই পোস্টের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপপরিদর্শক কে এম আবদুল্লাহ হিল মারুফ মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি মফিজুর রহমান তার ভুয়া ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে।
ডিবি হারুনের ক্যাশিয়ার মোকাররম রাতে গ্রেপ্তার দিনে জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশীদের ক্যাশিয়ার খ্যাত মোকাররম সর্দার (৪৮) রাতে গ্রেপ্তার হয়ে আবার দিনেই জামিন লাভ করেছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের আদালত তাকে জামিন প্রদান করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক মো. কাইয়ুম খান বলেন, আদালতে উঠানোর আগেই বাদীপক্ষ এসে আপস করে। যার কারণে আদালতে উঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই মোকাররম সর্দারকে জামিন প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে কারাগারে যাওয়ার আগেই কোর্ট গারদ থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর রাতে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মোকাররম সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্টে পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি অপসারিত হয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাতে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা ছিল। আমরা তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করি। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা ছিল না।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস ইমাম বলেন, ‘যে মামলায় মোকাররমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালতে উঠানোর আগেই বাদী আপস করেছেন। আমরা আদালতের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি আদালতে আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই জামিন প্রদান করেছেন।’বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এইচ আনোয়ার প্রধান বলেন, মোকাররমে বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা করেছিলেন ফতুল্লার কুতুবপুরের মো. শাহ আলম। সেই মামলায় মোকাররমকে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে উঠানোর আগেই বাদী শাহ আলম এসে আপস করেছেন। ফলে আদালত মোকাররমকে জামিন দিয়েছেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ২ অক্টোবর চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, মোকাররমসহ ১১ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা হয়। মামলার শাহ আলম ২০ লাখ টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এ মামলা করেন।
মোকাররম সর্দারের বাবা নূরুল ইসলাম নব্বইয়ের দশকের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আসেন। মোকাররম স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের হাত ধরে শ্রমিক সর্দার হন। পলাশের সহায়তায় চাঁদাবাজিসহ জাহাজের মাল লুট করে প্রচুর সম্পদের মালিক হন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হারুন-অর-রশীদ নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হয়ে এলে তার প্রশ্রয়ে মোকাররম সর্দার জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন। বিভিন্ন স্পট থেকে হারুনের জন্য চাঁদা আদায় করে দিতেন মোকাররম। কিশোরগঞ্জেও সম্পত্তি গড়েছেন মোকাররম। গত ২১ মে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশকে ব্যবহার করে তাকে জিতিয়ে আনেন এমন অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় বিএনপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা সুমন হত্যা মামলায় এনামুল করিম লিমন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনামুল করিম বিএনপি নেতা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলালের ছেলে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সমাজকল্যাণ মোড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিমন জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
সদর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, এনামুল করিম লিমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা সুমন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গ্রেপ্তার এনামুল করিম লিমন এক সময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা অ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলাল সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার এনামুল করিম লিমন অ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলালের ছেলে। তবে সে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল। ছাত্রদল নেতা সুমন হত্যা মামলায় সে এজাহারনামীয় আসামি।
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি তালেবুর রহমান।
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, বিচারপতি মানিক ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। বাকীদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেনি প্রসিকিউশন টিম।
এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
মন্তব্য