ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পাবনায় ‘ময়েজ বাহিনীর’ অস্ত্র তৈরির কারখানা, বিপুল সরঞ্জামসহ আটক ২

অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২০
অনলাইন ডেস্ক
পাবনায় ‘ময়েজ বাহিনীর’ অস্ত্র তৈরির কারখানা, বিপুল সরঞ্জামসহ আটক ২

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় অস্ত্র তৈরি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও আতাইকুলা থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলে ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় বিলের মধ্যে লুকানো ঘাঁটি থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়। 


এ সময় আস্তানা থেকে অধিকাংশ সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও দুজন আটক হয়। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। তবে এর পেছনে আরও বড় কোনো নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল। বিলে বিপুল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল ময়েজ বাহিনী। বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করার পর মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্র তৈরির আস্তানা নিয়ে মিডিয়াকে পরে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হবে বলে জানান তিনি। 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৬ কোটি টাকার সেতু পারাপারে সাঁকোই একমাত্র ভরসা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৪
    অনলাইন ডেস্ক
    ৬ কোটি টাকার সেতু পারাপারে সাঁকোই একমাত্র ভরসা

    বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হলেও করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সেতুটি পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকার অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দাদের। বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠছেন তারা। এ ছাড়াও সংযোগ সড়কের অভাবে সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। 


    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া এ তিনটি ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন গুলিশাখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০২৩ সালের ১৯ মে মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ এ্যান্ড ত্রিপুরা নামের একটি বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। পরে ৬ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে ২০২৪ সালের জুন মাসেই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেতুটির পশ্চিম পাশের উচ্চতার ৫ ফুটের মাথায় পূর্ব খেকুয়ানি এলাকার চলাচলের জন্য একটি সড়ক থাকায় আটকে যায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। আর এ কারণেই দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেতুটি পারাপারে বাঁশ ও কাঠের মাধ্যমে নির্মাণ করা সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

    সরেজমিনে সেতুটি ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের শিশু বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ এ সেতু পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। সেতুটির পূর্ব প্রান্তে বালু ভরাট করে সংযোগ সড়কের কিছুটা কাজ হলেও অপর প্রান্তে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এতে চলাচলের সুবিধায় স্থানীয়দের উদ্যোগে পশ্চিম প্রান্তে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গাড়ি চলাচল। 


    রাশেদুল হাসান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা  বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি সংযোগ সড়কে অভাবে মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। আমাড়াগাছিয়া বাজারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা এবং চিকিৎসা সেবা নিতে দুইটি ইউনিয়নের মানুষ এ সেতুর মাধ্যমেই যাতায়াত করেন। সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করলেও তা কোনো এক অবহেলায় জনগণের কাজে আসছেনা। এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে। তবে সেতুটি চলাচলের উপযুক্ত থাকলে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটেই যাওয়া সম্ভব হত। আমরা বারবার বিভিন্ন যায়গায় কথা বলেও এখন পর্যন্ত এ সেতুর সংযোগ সড়কের বিষয়ে কোনো সুরাহা পাইনি। 

    ইউসুফ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সেতু দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর উঠতে হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। যে কোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তখন তার দায়ভার কে নিবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে অতি দ্রুত এ সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হয়। 



    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      শেখ মুজিবকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুক পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩৪
      অনলাইন ডেস্ক
      শেখ মুজিবকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুক পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

      শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় জেরে নেত্রকোনায় এক ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ইসহাক আহমেদ অন্তর মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।


      সোমবার (১৮ আগস্ট) মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

      রোববার (১৭ আগস্ট) জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান (প্রান্ত) স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

      দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসহাক আহমেদ অন্তরকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয় । পাশাপাশি ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।


      দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা দাবি করে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন ইসহাক আহমেদ। 

      ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জন্ম অথবা মৃত্যুর কোনো বিশেষত্ব নেই, মুখ্য হলো মানুষের হৃদয় জয় করা...। শুভ জন্মদিন দেশ মাতা, বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতা...।’ 

      পোস্টটি নজরে এলে ১৭ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় জেলা ছাত্রদল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর কারণ দর্শাতে বলা হয়। তবে ইসহাক আহমেদ দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উল্টো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা জানান। পরে এদিনই তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

      এ বিষয়ে জানতে বহিষ্কার হওয়া ইসহাক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

      তবে ফেসবকু পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিদর্শন, মুক্তচিন্তা, অহিংসা, ভিন্নমত পোষণ করার মানসিক ভাবনাটা যদি হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অর্পিত দায়িত্বের অবহেলা তবে আমি আমার সব রাজনৈতিক পদ পদদি ও দায়িত্বের জায়গা হতে সেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। যাদের আত্মত্যাগ, সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পাহাড়সম নিরলস প্রচেষ্টায় আজকের বাংলাদেশ। তারা যে কোনো দলের, ধর্মের, বর্ণের,জাতির, শ্রেণির, অঞ্চলের তাদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা বহমান... আমি আমার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাশে, দলের পাশে, নির্যাতিত মানুষের পাশে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও থাকব... ইনশাআল্লাহ্।’

      এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন পোস্ট সে করতে পারে না। এটি দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করার পর বিনয়ের সাথে জবাব দেওয়ার দরকার ছিল। জবাব না দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। ফলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত।






      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বার্তা ফাঁসকারী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৪১
        অনলাইন ডেস্ক
        ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বার্তা ফাঁসকারী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

        চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।


        রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে খুলশী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।


        গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ কনস্টেবল অমি দাশ চট্টগ্রামের পটিয়ার রাজিব দাশের ছেলে। তিনি পুলিশের টেলিকম ইউনিটের কনস্টেবল। তিনি খুলশী থানায় কর্মরত।


        চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


        জানা গেছে, গত তিন দিন আগে সিএমপি কমিশনারের একটি ওয়ারলেস বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সে বার্তায় অস্ত্রধারীদের গুলির নির্দেশ দেন হাসিব আজিজ। নিজেদের এমন গোপনীয় বার্তা বাইরে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সিএমপি। রোববার (১৭ আগস্ট) সিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছিল, এ বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াকারীকে খুঁজতে মাঠে নেমেছেন একাধিক কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে, সিএমপির কেউ এ কাজটি করেছেন।


        সিএমপি সূত্র বলছে, ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস করা নতুন নয়। এর আগে সম্প্রতি একবার ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস হয়েছিল। সবশেষ বার্তাটি মূলত পুলিশ সদস্যদের পক্ষে। তাও এটি জনসম্মুখে যাওয়াটা নেগেটিভ মেসেজ। এ ঘটনার পর সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওয়্যারলেসে স্পর্শকাতর কোনো বার্তা দিতে সাহস করছেন না।


        নগরের বন্দর থানাধীন ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বন্দর থানার এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার পর ওয়্যারলেসে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বার্তা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। পরে তার এই বার্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কমিশনারের এই বার্তা ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। নিজেদের গোপনীয় এমন বার্তা বাইরে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন তারা। তাদের মতে, এই বার্তা ফাঁস করেছে সিএমপির কোনো কর্মকর্তা। হয়তো কমিশনারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কেউ।


        একাধিক সূত্র জানায়, ভিডিওটি প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন কড়া বার্তা পেয়ে উজ্জীবিত পুলিশ সদস্যরা। তবে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এভাবে নিজেদের সেনসিটিভ বার্তা বাইরে যাওয়া। এভাবে হলে কাজ করাটা একটু জটিল হয়ে যাচ্ছে। সিএমপির কেউ এ কাজ করেছেন।


        ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কোনো একটি ভবনের ভেতর থেকে ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। ৩ মিনিটের ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে একজনকে হাতে ওয়াকিটকি ধরে রাখতে দেখা যায়।


        সিএমপি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ভিডিও ধারণকারীকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে। নানা অ্যাঙ্গেলে নানা সমীকরণও মিলিয়ে ভিডিওতে টাইলস মোড়ানো ফ্লোরটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।


        এ বিষয়ে সিএমপির কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা কালবেলাকে বলেন, এটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এ বিষয় কাজ চলমান রয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

          জেলা প্রতিনিধি
          ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩২
          জেলা প্রতিনিধি
          নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

          নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাঁদার টাকা না পেয়ে মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) নামে এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকাইর চিহ্নিত মাদক কারবারি।


          শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।  


          হামলার শিকার মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার গনি বলিগো বাড়ির প্রবাসী লাকী বেগমের ছেলে।  

           

          ভুক্তভোগী প্রবাসীর মামা আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, রিদন তার মায়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত এক বছর আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার নতুন করে কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তার মা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছেন। গত ৩-৪ মাস আগে রিদন তাদের আলীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। ওই সম্পত্তি বিক্রি করায় স্থানীয় রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ,জাকের রিদনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। রিদন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়।একপর্যায়ে বিরোধ এড়াতে রিদন তার মায়ের পরামর্শে কন্ট্রাক্টর পোল এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।


          তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, শনিবার সকালে রিদন মোটরসাইকেল যোগে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের জয়নাল আবেদিন স্কুল এলাকায় রিদনের গতিরোধ করে রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। একপর্যায়ে হামলাকারী রিদনকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে দেয় এবং কনিষ্ঠা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই সময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ৫লক্ষ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তার শৌরচিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন হামলার শিকার রিদনের মামা আব্দুল কাদের।  


          অভিযোগের বিষয়ে জানতে রকি, সোহাগ ও রাহাতের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। তাই এ বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।


          বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত