শেখ মুজিবকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুক পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় জেরে নেত্রকোনায় এক ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ইসহাক আহমেদ অন্তর মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান (প্রান্ত) স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসহাক আহমেদ অন্তরকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয় । পাশাপাশি ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা দাবি করে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন ইসহাক আহমেদ।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জন্ম অথবা মৃত্যুর কোনো বিশেষত্ব নেই, মুখ্য হলো মানুষের হৃদয় জয় করা...। শুভ জন্মদিন দেশ মাতা, বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতা...।’
পোস্টটি নজরে এলে ১৭ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় জেলা ছাত্রদল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর কারণ দর্শাতে বলা হয়। তবে ইসহাক আহমেদ দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উল্টো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা জানান। পরে এদিনই তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে বহিষ্কার হওয়া ইসহাক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে ফেসবকু পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিদর্শন, মুক্তচিন্তা, অহিংসা, ভিন্নমত পোষণ করার মানসিক ভাবনাটা যদি হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অর্পিত দায়িত্বের অবহেলা তবে আমি আমার সব রাজনৈতিক পদ পদদি ও দায়িত্বের জায়গা হতে সেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। যাদের আত্মত্যাগ, সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পাহাড়সম নিরলস প্রচেষ্টায় আজকের বাংলাদেশ। তারা যে কোনো দলের, ধর্মের, বর্ণের,জাতির, শ্রেণির, অঞ্চলের তাদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা বহমান... আমি আমার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাশে, দলের পাশে, নির্যাতিত মানুষের পাশে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও থাকব... ইনশাআল্লাহ্।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন পোস্ট সে করতে পারে না। এটি দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করার পর বিনয়ের সাথে জবাব দেওয়ার দরকার ছিল। জবাব না দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। ফলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত।
‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বার্তা ফাঁসকারী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে খুলশী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ কনস্টেবল অমি দাশ চট্টগ্রামের পটিয়ার রাজিব দাশের ছেলে। তিনি পুলিশের টেলিকম ইউনিটের কনস্টেবল। তিনি খুলশী থানায় কর্মরত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত তিন দিন আগে সিএমপি কমিশনারের একটি ওয়ারলেস বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সে বার্তায় অস্ত্রধারীদের গুলির নির্দেশ দেন হাসিব আজিজ। নিজেদের এমন গোপনীয় বার্তা বাইরে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সিএমপি। রোববার (১৭ আগস্ট) সিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছিল, এ বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াকারীকে খুঁজতে মাঠে নেমেছেন একাধিক কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে, সিএমপির কেউ এ কাজটি করেছেন।
সিএমপি সূত্র বলছে, ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস করা নতুন নয়। এর আগে সম্প্রতি একবার ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস হয়েছিল। সবশেষ বার্তাটি মূলত পুলিশ সদস্যদের পক্ষে। তাও এটি জনসম্মুখে যাওয়াটা নেগেটিভ মেসেজ। এ ঘটনার পর সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওয়্যারলেসে স্পর্শকাতর কোনো বার্তা দিতে সাহস করছেন না।
নগরের বন্দর থানাধীন ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বন্দর থানার এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার পর ওয়্যারলেসে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বার্তা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। পরে তার এই বার্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কমিশনারের এই বার্তা ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। নিজেদের গোপনীয় এমন বার্তা বাইরে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন তারা। তাদের মতে, এই বার্তা ফাঁস করেছে সিএমপির কোনো কর্মকর্তা। হয়তো কমিশনারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কেউ।
একাধিক সূত্র জানায়, ভিডিওটি প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন কড়া বার্তা পেয়ে উজ্জীবিত পুলিশ সদস্যরা। তবে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এভাবে নিজেদের সেনসিটিভ বার্তা বাইরে যাওয়া। এভাবে হলে কাজ করাটা একটু জটিল হয়ে যাচ্ছে। সিএমপির কেউ এ কাজ করেছেন।
ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কোনো একটি ভবনের ভেতর থেকে ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। ৩ মিনিটের ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে একজনকে হাতে ওয়াকিটকি ধরে রাখতে দেখা যায়।
সিএমপি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ভিডিও ধারণকারীকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে। নানা অ্যাঙ্গেলে নানা সমীকরণও মিলিয়ে ভিডিওতে টাইলস মোড়ানো ফ্লোরটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে সিএমপির কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা কালবেলাকে বলেন, এটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এ বিষয় কাজ চলমান রয়েছে।
নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাঁদার টাকা না পেয়ে মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) নামে এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকাইর চিহ্নিত মাদক কারবারি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।
হামলার শিকার মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার গনি বলিগো বাড়ির প্রবাসী লাকী বেগমের ছেলে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর মামা আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, রিদন তার মায়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত এক বছর আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার নতুন করে কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তার মা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছেন। গত ৩-৪ মাস আগে রিদন তাদের আলীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। ওই সম্পত্তি বিক্রি করায় স্থানীয় রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ,জাকের রিদনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। রিদন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়।একপর্যায়ে বিরোধ এড়াতে রিদন তার মায়ের পরামর্শে কন্ট্রাক্টর পোল এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, শনিবার সকালে রিদন মোটরসাইকেল যোগে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের জয়নাল আবেদিন স্কুল এলাকায় রিদনের গতিরোধ করে রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। একপর্যায়ে হামলাকারী রিদনকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে দেয় এবং কনিষ্ঠা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই সময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ৫লক্ষ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তার শৌরচিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন হামলার শিকার রিদনের মামা আব্দুল কাদের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রকি, সোহাগ ও রাহাতের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। তাই এ বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির

"তোমরা হবে স্বপ্নে রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়াও বিশ্বময়" অঙ্গীকার কে ধারণ করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরিক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯ টায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে
নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নায়েব আমীর চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোটিভেশনাল স্পীকার, এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চেয়ারম্যান আল মামুন রাসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটির অধিক তরুণ মাদকে আসক্ত। মাদকের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন আশার আলো তরুণরা আর এই তরুণদের হাত ধরেই দেশের পরিবর্তন আসবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আল মামুন রাসেল একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চান্স পেয়েছে তাদের মধ্যে ৫০% শিক্ষার্থী ছিল জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের জীবনের মাত্র সূচনা হয়েছে। তোমাদের সবার আগে নিজেদের চিনতে হবে, নিজেকে জানতে হবে। বর্তমান বিশ্বে যদি কেউ চিন্তা করে সে রাজশাহীর মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে এটা সম্পূর্ণ ভুল। তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে পুরো দেশের সাথে, সমগ্র বিশ্বের সাথে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহা. শামীম উদ্দীন বলেন, ছাত্রশিবির ভালো মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রকৃত মানুষের অভাবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই যে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবো এটা না। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ইন্টারমিডিয়েট সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এসময়টা একদিকে যেমন ভালো কিছু করার, তেমনি খারাপ পথে যাওয়ার জন্যেও মুখ্য সময়টা হলো ইন্টারমিডিয়েট। তিনি এই সময়টা কে সঠিক পথে কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতি শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মূলহোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার। সবুজ দেওয়ান (২৮) সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে।
মামলার এজাহার, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম সিজারিয়ান অপারেশনে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেন। বাচ্চাটির কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিন রাতে ঢাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে তাদের ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি যেতে বাধা দেয় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেট সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান নামের দুই ব্যক্তি। একপর্যায়ে তারা ঢাকাগামী সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে জোর করে চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর শিশুটি সেখানেই মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ পাঁচজনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী সবুজ দেওয়ানকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সকলের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। মামলার বাদী নূর হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই এই ঘটনার প্রত্যেক অপরাধীকে প্রশাসন দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কেউ ঘটানোর সাহস না পায়।’
এ ব্যাপারে র্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
মন্তব্য