ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

জেলা প্রতিনিধি
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩২
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কবজি কাটল সন্ত্রাসীরা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাঁদার টাকা না পেয়ে মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) নামে এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকাইর চিহ্নিত মাদক কারবারি।


শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।  


হামলার শিকার মো.সালাউদ্দিন ওরফে রিদন (৩২) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার গনি বলিগো বাড়ির প্রবাসী লাকী বেগমের ছেলে।  

 

ভুক্তভোগী প্রবাসীর মামা আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, রিদন তার মায়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত এক বছর আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার নতুন করে কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তার মা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছেন। গত ৩-৪ মাস আগে রিদন তাদের আলীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। ওই সম্পত্তি বিক্রি করায় স্থানীয় রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ,জাকের রিদনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। রিদন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়।একপর্যায়ে বিরোধ এড়াতে রিদন তার মায়ের পরামর্শে কন্ট্রাক্টর পোল এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।


তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, শনিবার সকালে রিদন মোটরসাইকেল যোগে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের জয়নাল আবেদিন স্কুল এলাকায় রিদনের গতিরোধ করে রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। একপর্যায়ে হামলাকারী রিদনকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে দেয় এবং কনিষ্ঠা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই সময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ৫লক্ষ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তার শৌরচিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন হামলার শিকার রিদনের মামা আব্দুল কাদের।  


অভিযোগের বিষয়ে জানতে রকি, সোহাগ ও রাহাতের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। তাই এ বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।


বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    রাজশাহীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির

    জেলা প্রতিনিধি
    ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:২৬
    জেলা প্রতিনিধি
    রাজশাহীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির

    "তোমরা হবে স্বপ্নে রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়াও বিশ্বময়" অঙ্গীকার কে ধারণ করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরিক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।  


    শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯ টায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে 

    নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 


    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নায়েব আমীর চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোটিভেশনাল স্পীকার, এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চেয়ারম্যান আল মামুন রাসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

     

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটির অধিক তরুণ মাদকে আসক্ত। মাদকের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন আশার আলো তরুণরা আর এই তরুণদের হাত ধরেই দেশের পরিবর্তন আসবে। 

    প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আল মামুন রাসেল একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চান্স পেয়েছে তাদের মধ্যে ৫০% শিক্ষার্থী ছিল জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের জীবনের মাত্র সূচনা হয়েছে। তোমাদের সবার আগে নিজেদের চিনতে হবে, নিজেকে জানতে হবে। বর্তমান বিশ্বে যদি কেউ চিন্তা করে সে রাজশাহীর মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে এটা সম্পূর্ণ ভুল। তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে পুরো দেশের সাথে, সমগ্র বিশ্বের সাথে।


    সভাপতির বক্তব্যে মোহা. শামীম উদ্দীন বলেন, ছাত্রশিবির ভালো মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রকৃত মানুষের অভাবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই যে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবো এটা না। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ইন্টারমিডিয়েট সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এসময়টা একদিকে যেমন ভালো কিছু করার, তেমনি খারাপ পথে যাওয়ার জন্যেও মুখ্য সময়টা হলো ইন্টারমিডিয়েট। তিনি এই সময়টা কে সঠিক পথে কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।


    এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।


     সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতি শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


    মন্তব্য

    অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২
    অনলাইন ডেস্ক
    অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার

    শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার মূলহোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার। সবুজ দেওয়ান (২৮) সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে।


    মামলার এজাহার, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম সিজারিয়ান অপারেশনে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেন। বাচ্চাটির কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিন রাতে ঢাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে তাদের ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি যেতে বাধা দেয় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেট সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান নামের দুই ব্যক্তি। একপর্যায়ে তারা ঢাকাগামী সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে জোর করে চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর শিশুটি সেখানেই মারা যায়।


    এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ পাঁচজনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী সবুজ দেওয়ানকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।


    এ ঘটনায় অভিযুক্ত সকলের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। মামলার বাদী নূর হোসেন বলেন, ‌‘আমরা চাই এই ঘটনার প্রত্যেক অপরাধীকে প্রশাসন দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কেউ ঘটানোর সাহস না পায়।’


    এ ব্যাপারে র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।’

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ফেনীতে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ ছাত্রদল নেতা আটক

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:১৬
      অনলাইন ডেস্ক
      ফেনীতে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ ছাত্রদল নেতা আটক

      ফেনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়েছে।


      শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 


      আটককৃতরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন (৩২) ও ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন (৩০)। 


      যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটকদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 


      জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন বলেন, বিষয়টি এখনো অবগত না। এটি কোনো ষড়যন্ত্র কিনা তা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


      ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশীয় অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। 

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        কোচিং সেন্টারে বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধান, চলছে অভিযান

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫২
        অনলাইন ডেস্ক
        কোচিং সেন্টারে বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধান, চলছে অভিযান

        রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ মহল্লায় অবস্থিত ডক্টর ইংলিশ নামে একটি কোচিং সেন্টারে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযানটি চলছে।


        কোচিং সেন্টারটি পরিচালনা করছিলেন মুনতাসিরুল আলম অনিন্দ্য (৩৬)। তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি শফিউল আলম লাটকুর ছেলে। অভিযানকালে অনিন্দ্যসহ দুজনকে যৌথবাহিনী নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও চাচাতো ভাই লিটনের প্রভাবেই চলতেন অনিন্দ্য।


        অনিন্দ্যের বিরুদ্ধে রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২ জুন গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। অনিন্দ্য রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত হয়ে দেশের ভেতরে কয়েকটি জঙ্গি হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে ওই সময় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।

        কোচিং সেন্টারে বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধান, চলছে অভিযান

        এছাড়া গুলশানের চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা তদন্তেও অনিন্দ্যের সম্পৃক্ততা পায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সময় তাকে রাজশাহী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মেয়র লিটনের আত্মীয় হওয়ায় ওই সময় সব মামলা ও অভিযোগ থেকে পুলিশ অনিন্দ্যের নাম বাদ দিয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে অনিন্দ্য নিজের বাড়ির লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় টিনসেড দিয়ে ডক্টর কোচিং সেন্টারটি পরিচালনা করছিলেন। পাশাপাশি গোপনে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ ও তৈরির কাজও করে আসছিল। যৌথবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে অভিযান শুরু করেন। সকালে শুরু হওয়া এ অভিযান দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।


        সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানকালে ইতোমধ্যে কোচিং সেন্টারটি থেকে দুটি বিদেশি এয়ার গান, একটি রিভলবার, কার্টুজ, তিন বাক্স শিশা, একটি ম্যাগনেট, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র, একটি জিপিএস, চারটি ওয়াকিটকি, একটি ট্রেজারগান, ১০টি সিমকার্ড, একটি বাইনোক্যুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড, ছয়টি মনিটর, তিনটি কম্পিউটার, তিনটি স্ক্যানার ও ৩৫ বোতল মদ জব্দ করেছে। 


        রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপকমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযান শেষে সেনাবাহিনী বিস্তারিত জানাবেন। তখন আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত