ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

‘শিরক’ তকমা দিয়ে মাদারীপুরে কেটে ফেলা হলো ২০০ বছরের প্রাচীন বটগাছ

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৬:৪৯
অনলাইন ডেস্ক
‘শিরক’ তকমা দিয়ে মাদারীপুরে কেটে ফেলা হলো ২০০ বছরের প্রাচীন বটগাছ

মাদারীপুর সদর ইউনিয়নের শিরখাড়া ইউনিয়নের আলম মীরের কান্দি এলাকায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ কেটে ফেলেছেন স্থানীয় আলেমরা। ‘বিদআত’সহ নানা কারণ দেখিয়ে গাছটির বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে প্রায় ২০০ বছরের পুরানো গাছটি কাটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে গাছটি কাটা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপর একে একে ডালপালা থেকে শুরু করে মূল দণ্ডায়মান গাছটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কেটে ফেলা হয়।

স্থানীয়রা জানান, কুমার নদীর পাড়ে অবস্থিত বটগাছটি 'অলৌকিক ক্ষমতার' অধিকারী বলে বিশ্বাস করে অনেকে। এ কারণে প্রাচীন এই বটগাছের গোড়ায় অনেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানত করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

শিরখাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় আলেমরা বটগাছটি কেটে ফেলেছেন। তবে গাছটি কাদের নেতৃত্বে কাটা হয়েছে সে তথ্য আমি এখনও পাইনি। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাই মনে করছেন গাছটি কাটা ঠিক হয়নি। তবে তারা ভয়ে কথা বলছেন না। 

ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম খান বলেন, ওই বটগাছটির নিচে কিছু লোক ‘আচার’ পালন করত, যা আলেমরা আপত্তিকর মনে করেন। ইসলামে এ ধরনের বিধি-বিধান না থাকার কারণেই গাছটি কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণেই সবাই একত্রিত হয়ে বটগাছটি কাটা শুরু করেন। তারা কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।  ইউনিয়নের সব গ্রাম থেকেই ওই ঘটনাস্থলে লোক গেছে, তাদের মধ্যে তার এলাকার মানুষও ছিল।

গাছ কাটার ওই ভিডিও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। ১৪ সেকেন্ডের একটি  ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন লোক গাছটি চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে। একটি করাত দিয়ে গাছে শাখা-কাণ্ড কাটছেন দুজন ব্যক্তি। বাকিরা তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এসময় এক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘পোচ (কাটা) হবে মুজাহিদ ভাই ঠিক আছে। শিরকের আস্তানা ইনশাল্লাহ গুঁড়িয়ে দিতেসে..’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমি এই বিষয়টি সোমবার রাতে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি পরবর্তীতে এ বিষয়টি আপনাদেরকে জানাতে পারব—যে কারণে বিষয়টি নিয়ে আমি এখন কথা বলতে চাচ্ছি না।'

 

মন্তব্য

নোয়াখালীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান

জেলা প্রতিনিধি
৬ মে, ২০২৫ ১৪:১৬
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৭জন শিক্ষার্থীকে নগদ টাকা, ক্রেস্টসহ সম্মাননা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চররপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মো.জাহাঙ্গীর। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মো.মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা:এ.এন.এম মনিরুজ্জামান,অনুপম মজুমদার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল মুখী। তাদের পড়ালেখা মুখী করতে ১০টি ক্যাটাগরিতে মাসিক মূল্যায়নে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এমন আয়োজন ইতিবাচক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলে সমাজে মাদক সেবন ও সামাজিক অপরাধ কমে আসবে।

সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম তাসলিমা আবেদা,আবু মাঝিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুন নাছির, অভিভাবক সদস্য মো.ইকবাল হোসাইন প্রমূখ।      
 

মন্তব্য

শাপলা চত্বরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে রাজশাহীতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৫ মে, ২০২৫ ১৪:৫৩
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
শাপলা চত্বরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে রাজশাহীতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

২০১৩ সালের ৫ ই মে ঢাকা শাপলা চত্ত্বরে সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর শাখা। 

সোমবার (৫ মে ) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা: শামীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লব হয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী নয় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো খুনিদের কোন বিচার হয়নি। ২০১৩ সালের নাস্তিক ব্লগার কর্তৃক রাসূল (সা.) ও আম্মাজান আয়েশা (রা.) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে নবী প্রেমী মুসল্লীরা তাদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। যে সমাবেশ কর্মসূচি পতিতো স্বৈরাচার খুনী হাসিনা সহ্য করতে না পেরে ইসলাম প্রেমী মুসল্লিদের ওপর দিনের বেলায় আক্রমণ করে ১১ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীকে শহীদ করেছিলো।

তিনি বলেন, রাতের বেলায় যখন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা সারাদিনের কর্মসূচি শেষ করে বিশ্রাম করছিলেন, ঘুমাচ্ছিলেন, কেউ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছিলেন, সেই সময় স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পেটুয়া পুলিশ বাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে শত শত ভাইদের খুন করে।  শত শত মানুষ হত্যা করার পরেও নির্লজ্জ শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে নেককারজনক বক্তব্য দিয়েছিল ধর্মপ্রাণ মুসলমান নাকি গায়ের রং মেখে শুয়েছিল। এখানেই তারা ক্ষান্ত ছিলো সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪-এ এসে তাদের এই গণহত্যা শেষ হয়। 

আসাদুজ্জামান ভূইয়া আরও বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও শাপলা চত্বরের খুনিদের বিচারের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি যার দ্বারা শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার ত্বরান্বিত হতে পারে। 

তিনি বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে  শাপলা চত্বরে গণতন্ত্রের বিচার কার্যকর করার জন্য অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও যারা এ খুনের সাথে জড়িত তাদের নামে মামলা করে বিচারের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি। 

এ ছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, যারা ৫ই মে  শাপলা চত্বরে গণহত্যা থেকে শুরু করে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের গণহত্যা চালিয়েছে সেই আওয়ামী স্বৈরাচার কে নিষিদ্ধ করতে হবে। সমাবেশ থেকে তিনি আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আরো  উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির,  মাদ্রাসা ও দাওয়া সম্পাদক শাইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রুবেল আহমেদ, রাজশাহী কলেজ শাখার ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেনসহ ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।

মুজাহিদুল ইসলাম/

 

মন্তব্য

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের এডিপি প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
৫ মে, ২০২৫ ১৪:৪৩
জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের এডিপি প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) প্রকল্প বাস্তবায়নে পলাশবাড়ী উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান ও ভুয়া প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে  সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের আওতায় পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় দরপত্রের মাধ্যমে, ১৮ লাখ টাকার ৬টি প্রকল্প কোটেশনের মাধ্যমে এবং ৪৫ লাখ টাকার ২৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিশেষ করে কোটেশন ও প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে অনিয়মের মাত্রা বেশি। বেশিরভাগ প্রকল্পই হয়েছে দায়সারাভাবে। একাধিক প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা জানিয়েছেন, তারা জানেনই না তাদের নামে কোনো প্রকল্প হয়েছে। এমনকি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়েও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন নীতিমালার ৪.১৬ ধারা অনুযায়ী, বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের নাম, অর্থবছর, ব্যয় এবং অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নামসহ একটি ফলক স্থাপন বাধ্যতামূলক। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় ফলক বা সাইনবোর্ড না থাকায় সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারছে না কোনটি সরকারি প্রকল্প, কাদের অর্থায়নে হচ্ছে, কে বাস্তবায়ন করছে এবং প্রকল্পের প্রকৃতি কী?

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী একাধিক গ্রামবাসী জানান, সাইনবোর্ড না থাকায় “আমরা বুঝতেই  পারছি না, এটা সরকারি কাজ নাকি ব্যক্তিগত।”

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রকল্প তালিকার ৩৮ নম্বর প্রকল্প “পলাশবাড়ী উপজেলার ভাতগ্রাম ইউপির পাকুরিয়া বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদ নির্মাণ” নামের প্রকল্পটির বাস্তবে অস্তিত্বই নেই। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, “এই নামে আমাদের উপজেলায় কোনো স্থান বা মসজিদ নেই। প্রকল্প তালিকায় এমন নাম থাকার প্রশ্নই ওঠে না।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রকল্প সভাপতি জানান, জেলা পরিষদের প্রকল্প পেতে হলে অগ্রিম ‘পার্সেন্টেজ’ দিতে হয়। বরাদ্দ যাই হোক, প্রকল্পে লাভ থাকে—কাজ তেমন না করলেও চলে।

স্থানীয় নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মোশফিকুর রহমান মিল্টন বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ভাই, এখন কাজ বন্ধ আছে। জেলা পরিষদে আসেন, সব কথা বলা যাবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের কাছেও নিয়ে যাব।”

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সচেতন মহলের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এবং প্রকল্প কমিটির সভাপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ উচ্চপর্যায়ের তদন্ত জরুরি।

 

আশরাফুজ্জামান সরকার/

মন্তব্য

নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
৫ মে, ২০২৫ ১৪:৩৫
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নোয়াখালীর সদরের কালাদরাপ ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মিজানুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেরার কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হাজী আমিন উল্যাহ বাজারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কালাদরাপ ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বান্যারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কালাদরাপ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হোসেন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, কালাদরাপ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভপতি মো.ইব্রাহিম, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আবদুজ জাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল  কালাম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো.রাশেদ, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান মামুন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো.ইয়াছিন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক করিম উদ্দিন চৌধুরী বাবু, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন, সহসভাপতি আজগর হোসেন সুমন, সহসভাপতি মো.রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন, আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, চরমটুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল মাহমুদ প্রমূখ।  

সভায় বক্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।  

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২ মে দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্যাকিয়া গ্রামে এডিপির প্রকল্পের ১১১ মিটার এইচবিবি সলিং সড়ক নির্মাণে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। সেখানে ওই এলাকার আবুল খায়ের, রিয়াজ, মেহরাজ, বেলাল, আজাদসহ আরো কয়েকজন অতর্কিতভাবে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
 

মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
    সর্বাধিক পঠিত