ইবিতে এন্টি র্যাগিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির যৌথ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্য সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান, কমিটির সদস্য ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাসান এবং সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ সালাউদ্দিন মোল্লা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, কমিটির সদস্য আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোছা. খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ড. মোছা. হামিদা খাতুন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাহেদ হাসান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। অভিযোগ করলেও, তা করে চূড়ান্ত মুহূর্তে। যে সময় অভিযোগ করলে জাতীয় পত্রিকায় আসবে, এসময় অভিযোগ করে। তখন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু থাকে না।
এজন্য তিনি কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন জায়গা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন। সেই সাথে তিনি কমিটি দু্ইটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা অফিস রুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
নবীনরা জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের আকাঙ্খিত ভোরের সম্ভাবনা - জাবিপ্রবি উপাচার্য

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ ভোলার নয়। তারা যে নতুন সূর্যোদয়ের জন্য তারা জীবন উৎসর্গ করেছে, সেই নতুন ভোরের সম্ভাবনা তোমরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘আজ এই প্রাঙ্গণে অনেকের উপস্থিত থাকার কথা ছিল, যারা আমাদের নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছে। তারা শারীরিকভাবে নেই, কিন্তু তাদের আত্মা তোমাদের দিকে চেয়ে আছে। তারা ভাবছে, তোমরা দেশের জন্য কিছু করো কিনা।’
তিনি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণআন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ‘প্রতিটি আত্মত্যাগের পেছনে ছিল একটি শোষণমুক্ত ও সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব তোমাদের। তোমরাই পারো সেই নির্যাতিত মানুষের কথা তুলে ধরতে, দেশকে নির্যাতনমুক্ত করতে। শহীদদের সেই দাবি পূরণ করতে হলে আগে নিজেকে যোগ্য করে গড়তে হবে। তোমাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ হতে হবে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
জাবিপ্রবি নবীনতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘এ জন্য কারও মনে হীনমন্যতা থাকা উচিত নয়। তোমাদের হাত ধরেই একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় মহীরূহ হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন চৌধুরী। শুরুতে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার। সমাপনী বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান, ছাত্রী হল প্রভোস্ট ড. মৌসুমি আক্তার এবং ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান সিজার রহমান। প্রবীণ শিক্ষার্থী হিসেবে ফাইজুর রহমান ফাহিম ও আইনুন নাহার রিয় বক্তব্য রাখেন৷
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে নবীনদের বরণ করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
আসন ফাঁকা রেখেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু, র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রতিটি বিভাগ বরণ করেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) প্রতিটি বিভাগ নিজ শ্রেণীকক্ষে নবীনদের বরণ করে নেয়। এদিকে নবীনদের ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিগত বছরের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ আসন পূরণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। তন্মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন।
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটি ও জিএসটি কমিটি ফাঁকা আসনের বিষয়ে মিটিং করে জানাবে। পরবর্তীতে সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে জানাতে পারবো।’
নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিং-বিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।
সাকিব আসলাম/
রাকসু'র নির্বাচনে এসএম হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্যানেল ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-এর শাহ্ মখদুম (এসএম) হলের সংসদ নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েপ্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোঃ আহসান হাবীবকে ভিপি পদে, জিএস পদে ফোকলোর এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. আওলাদ হোসেন বাবু এবং এজিএস পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ,২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইউসুফ আলীর ১৫ সদস্যের নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্যানেলে ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক- হৃদয় সরকার, সহ ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক ইগ্নাসিউস সরেন, বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হাসান স্বাধীন, সহ-বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আদিল আহনাফ, কমনরুম সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন,ভূতত্ত্ব, সহ কমনরুম সম্পাদক মোঃ খায়রুল আনাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমামুল হোসেন, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম।
এছাড়াও নির্বাহী সদস্য ১ মোঃ আব্দুল কাদির, নির্বাহী সদস্য ২ মোঃ হেলাল খান, নির্বাহী সদস্য ৩ মো: সাগর ইসলাম,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, নির্বাহী সদস্য ৪- তিতাস রায় নাম ঘোষণা করা হয়।
রাবিপ্রবিতে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের দেয়াল গ্রাফিতি

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) মুছে ফেলা হলো জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের গ্রাফিতি। আজ(১১ আগস্ট) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে নতুন রঙ করার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।
জুলাই-আগস্ট গ্রাফিটি মুছে ফেলায় অনেকটা বিষ্মিত ও হতবাক হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিছু দিন আগেই জুলাইকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি নতুন ম্যুরাল স্থাপন করেছিলো। সেই প্রশাসন কিনা গ্রাফিতি মুছে দিলো? এমন প্রশ্নে দ্বিধাদ্বন্দে রাবিপ্রবিয়ানরা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন "স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে এটাই ছিলো আমাদের অভিনব প্রতিবাদ। কিন্তু গ্রাফিতি মুছে ফেলায় তা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে"।
গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার জন্য আমার কোন নির্দেশনা ছিল না। মিস্ত্রিকে অন্যপাশে রং করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিস্ত্রি ভুল করে পুরো দেয়াল রং করে ফেলেছে। আমারও দেখে খুব মন খারাপ হয়েছে। যাইহোক, আমরা দ্রুতই একটি গ্রাফিতি অংকন অনুষ্ঠান করে নতুন করে গ্রাফিতি তৈরি করবো।
মন্তব্য