রাকসু'র নির্বাচনে এসএম হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্যানেল ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-এর শাহ্ মখদুম (এসএম) হলের সংসদ নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েপ্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোঃ আহসান হাবীবকে ভিপি পদে, জিএস পদে ফোকলোর এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. আওলাদ হোসেন বাবু এবং এজিএস পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ,২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইউসুফ আলীর ১৫ সদস্যের নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্যানেলে ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক- হৃদয় সরকার, সহ ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক ইগ্নাসিউস সরেন, বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হাসান স্বাধীন, সহ-বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আদিল আহনাফ, কমনরুম সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন,ভূতত্ত্ব, সহ কমনরুম সম্পাদক মোঃ খায়রুল আনাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমামুল হোসেন, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম।
এছাড়াও নির্বাহী সদস্য ১ মোঃ আব্দুল কাদির, নির্বাহী সদস্য ২ মোঃ হেলাল খান, নির্বাহী সদস্য ৩ মো: সাগর ইসলাম,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, নির্বাহী সদস্য ৪- তিতাস রায় নাম ঘোষণা করা হয়।
রাবিপ্রবিতে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের দেয়াল গ্রাফিতি

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) মুছে ফেলা হলো জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের গ্রাফিতি। আজ(১১ আগস্ট) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে নতুন রঙ করার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।
জুলাই-আগস্ট গ্রাফিটি মুছে ফেলায় অনেকটা বিষ্মিত ও হতবাক হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিছু দিন আগেই জুলাইকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি নতুন ম্যুরাল স্থাপন করেছিলো। সেই প্রশাসন কিনা গ্রাফিতি মুছে দিলো? এমন প্রশ্নে দ্বিধাদ্বন্দে রাবিপ্রবিয়ানরা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন "স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে এটাই ছিলো আমাদের অভিনব প্রতিবাদ। কিন্তু গ্রাফিতি মুছে ফেলায় তা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে"।
গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার জন্য আমার কোন নির্দেশনা ছিল না। মিস্ত্রিকে অন্যপাশে রং করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিস্ত্রি ভুল করে পুরো দেয়াল রং করে ফেলেছে। আমারও দেখে খুব মন খারাপ হয়েছে। যাইহোক, আমরা দ্রুতই একটি গ্রাফিতি অংকন অনুষ্ঠান করে নতুন করে গ্রাফিতি তৈরি করবো।
পরিবেশ রক্ষার্থে মাভাবিপ্রবি নবীন শিক্ষার্থীদের গাছ দিয়ে বরণ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিন্নধর্মী আয়োজন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সবুজ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার দেওয়া হয়েছে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা।
অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, বিশেষ অতিথি হিসাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো.নাজমুস সাদেকীন, সভাপতি হিসাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা।
উপাচার্য বলেন, গাছ শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাই করে না বরং এটি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে। নবীনদের হাতে চারা তুলে দিয়ে তাদের মধ্যে গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তোলাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এটাই কাম্য।
সভাপতি তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রতিটি চারা যেন তোমাদের হাত ধরে বড় হয়ে উঠে, ঠিক তেমনি তোমরাও জ্ঞানে ও নৈতিকতায় বড় হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখো।
এ সময় নবীন শিক্ষার্থীরা গাছের চারা হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং নিজেদের উদ্যোগে সেগুলো রোপণ ও যত্ন নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
হাসিনা ছিল স্বৈরাচার দৈত্যদের প্রাণ ভোমরা- ফারুক ওয়াসিফ

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লেখক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, হাসিনা ছিল স্বৈরাচার দৈত্যদের প্রাণ ভোমরা। উঠতি মধ্যবিত্ত তরুণরা সব সময় এই স্বৈরাচারদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন। গণঅভ্যুত্থান তার একটি সত্য স্বাক্ষ্য।
রবিবার (১০ আগস্ট) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (খুবিসাস) আয়োজনে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা : ফ্যাক্টচেক, প্রতিষ্ঠান ও জনমানসের পুনর্গঠন শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি অভ্যুত্থান কখন পরিকল্পনা করে আসে না, এজন্য এটি গণ-অভ্যুত্থান। এখন আমরা এটিকে শো বানিয়ে ফেলেছি। কারণ আমাদের গল্পগুলোকে আমরা দাঁড় করাতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, এক সময় মানুষ সত্য জানার জন্য পত্রিকা পড়ত, এখন পত্রিকাকে সংবাদ প্রকাশের আগে ফ্যাক্টচেক করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সংবাদ প্রকাশের পর আবার সরিয়ে নিতে হচ্ছে, যা সাংবাদিকতার জন্য উদ্বেগজনক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান বলেন, সাংবাদিকতা সৃজনশীল পেশা, যেখানে মেধা ও নতুনত্বের প্রয়োগ জরুরি। একটি প্রতিবেদনের কারণে একজনের সামাজিক অবস্থান ও মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে। তাই সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই (ফ্যাক্টচেক) অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) যুগে অপতথ্য ও সম্মানহানির ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সময়ের সাথে সাংবাদিকতার ধরন বদলেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছি, আবার মুহূর্তে তা সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকদের সংবাদ পাঠকের কাছে সত্য বলে ধরা হয়, তাই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে খুবিসাসের সভাপতি আলকামা রমিন বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সাংবাদিকতায় তেমন কাঠামোগত পরিবর্তন আসেনি। উঠতি মধ্যবিত্ত ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা পরিবর্তিত সময়ে এসেও বৈষম্যের শিকার। '২৪ এর আন্দোলনে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সবচেয়ে গভীর নিরব ভূমিকা পালন করেছে। যার প্রমান সেই সময়ের ক্যাম্পাস পাতা গুলো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, দৈনিক সমকালের খুলনা ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুবিসাস সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। বক্তারা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী গণমাধ্যমের ভূমিকা, তথ্য যাচাই, প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং জনমানসের পরিবর্তন বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবিসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার। এতে খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস রিপোর্টার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবিতে হল রাজনীতির পক্ষে ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগেুলোর সঙ্গে ক্যাম্পাস রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণে আলোচনা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। বৈঠকে ঢাবির অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন হলভিত্তিক রাজনীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেয়।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাড়া বাকি সব সংগঠন এ প্রস্তাব সমর্থন করে। এই আলোচনায় অংশ নেয় ১৬টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, যদিও আমন্ত্রিত ছিল ২৩টি।
এদিকে বৈঠকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপস্থিতির প্রতিবাদে সভা ত্যাগ করে পাঁচটি সংগঠন। এর মধ্যে তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), মাহির শাহরিয়ার রেজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শুরুতেই ওয়াকআউট করে। পরে বক্তব্য দেওয়ার পর বৈঠক ত্যাগ করে মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি অংশ এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
ঢাবি প্রশাসন জানায়, আলোচনার লক্ষ্য হল থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা তৈরি করা এবং ডাকসু নির্বাচনে সব সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, গেস্টরুম, গণরুম ও অপ-রাজনীতির সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি ঐতিহাসিক রূপরেখা প্রণয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতের গণরুম, জোরপূর্বক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নেওয়া ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা ও ট্রমা রয়েছে। তাই সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে রাজনীতির রূপ কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই কোনো অবস্থাতেই সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হোক।’
তিনি আসন্ন ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কোনো দমনমূলক ব্যবস্থায় ফেরত না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল মতামত শোনা, এবং এ সংলাপ চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অনলাইনে মতামত নেব।’
ছাত্রশিবির সাংবাদিদের জানায়, ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে রাজনীতি হবে, না চাইলে হবে না।’
মন্তব্য