বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল ভাঙে- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

রবি প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল ভেঙে স্বাধীনতাযুদ্ধে গ্রহণ করে। ২৪ বছরের পাকিস্তানি আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতি মুক্তি লাভ করে। নতুন প্রভাতের প্রভাত সূর্যের রক্তাভ মুক্তির কিরণ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র। আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয় স্বাধীনতার বার্তা, জয় বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দের ঘোর আর বিজয়ের উল্লাস সব মিলিয়ে বাঙালি চিত্তে সৃষ্টি করে প্রাণোন্মাদনা। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি, চোখে আনন্দঅশ্রু আর মনে ইস্পাত-কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নেরা অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ শহিদ স্মৃতি বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে। এসময় মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় । আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাবিপ্রবির মীমের আত্মহত্যাকে মানতে পারছেনা বাবা-মা ও সহপাঠীরা

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাম শারভীন সুলতানা মীম (২৬) সোমবার (২৫ মার্চ) পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন। সংবাদ শুনে ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে ছুটে আসেন তাঁর বান্ধবীরা। এরপর থেকেই শুরু হয় সহপাঠীদের কান্না আর আর্তনাদ। তারা মীমের এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেননা।
মীমের বান্ধবী সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ছন্দা বলেন, ‘ওর সাথে আমি স্কুল, কলেজে পড়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়েও এক সাথে চান্স পেয়েছি। খুব শক্ত মেয়ে ছিলো। ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভীষন্নতার মধ্যে ছিল সেটা জানতাম কিন্তু এই ঘটনা যে ঘটাবে সেটা আমাদের মোটেও বিশ্বাস হচ্ছেনা। ও এভাবে আমাদের না জানিয়ে চলে যাবে এটা প্রত্যাশিত ছিল না।’
রুমি নামের আরেক বান্ধবী বলেন, ‘ও খুব হাসি খুশি আর চঞ্চল মেয়ে ছিলো। দুইদিন আগেও ওর সাথে আমার দেখা হয়েছে কিন্তু বাইরে থেকে বুঝতে পারিনি। ও যে এমন ঘটনা ঘটাবে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। আত্মহত্যা মুক্তির কোন পথ হতে পারেনা, আমরা আর কাউকে হারাতে চাইনা।’
মীমের আত্মহত্যার কথা শুনে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মেহেরপুর থেকে পাবনায় ছুটে আসেন মীমের বাবা ও মা। পাবনা সদর থানায় এসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা মা। তাঁর বাবা আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘সে শিক্ষিত মেয়ে। জামাইয়ের সাথে ঝামেলা হোক বা আমাদের সাথেই ঝামেলা হোক সেটা আমাদের সাথে কিংবা ওর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারতো। কিন্তু সে এটা না করে আত্মহত্যার পথ কেন বেছে নিয়েছে সেটাই আমি বলতে পারছিনা। সে সচেতন মানুষ। সে আত্মহত্যা করবে এটা আমি মেনে নিতে পারছিনা, এটাই আমার কষ্টের। এত নিকৃষ্ট কাজ সে কেন করতে গেলো! কষ্ট হয়তো আমার আমি ওকে মানুষ করতে পারিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল ভোরে ওর সাথে আমার কথা হয়। সে আমাকে কোন সমস্যার কথা বলেনি। চার মাস হয়েছে বিয়ে হয়েছে কিন্তু ও কোন সমস্যার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেনি। জামাই কোন ঝামেলা করেনি। জামাইয়ের প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই’।
কান্না গলায় তাঁর মা বলেন, ‘আমি জানি সে হলে আছে, সে পড়াশোনা করছে। সকালে শুনি সে আর দুনিয়াতে নাই। ওর আর ওর স্বামীর মধ্যে কিছু হয়েছে কিনা সেটাও আমাকে বলেনি। যদি ওর কিছু হয়ে থাকে তাহলে সে মা হিসেবে আমাকে বলতে পারতো কিন্তু বলেনি।’
২৫ মার্চ কালরাত স্মরণে জাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন

জাবি প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে এক সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো নূরুল আলম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর অমানুষিক হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার উদ্দেশ্য কাজ করছেন।আমরা চাই এ স্বীকৃতি বিশ্ব দেবে। আজ আমরা ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, আমরা ২৫ মার্চের বেদনাকে হৃদয়ে ধারণা করবো।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এদিন রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আবাসিক এলাকার মসজিদসমূহে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
জাবিসাসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন হিমু উপস্থিত সব শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন,"সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা অতীতেও ছিলো, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে জাবিসাসের নেতৃবৃন্দ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির জন্য সবসময় শুভকামনা।''
ইফতার পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার আবু হাসান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির, জাবিসাসের সাবেক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান, সহকারী প্রক্টর মনির উদ্দিন সিকদার, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র মাহে রমজান, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদ-উল-ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র রমজান, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদ-উল-ফিতর ও নববর্ষ উপলক্ষে আগামী আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস এবং অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।
তবে হেলথ এন্ড স্যানিটেশন রুলের ১১ নং ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টার শুধুমাত্র ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তা শাখার কাজ যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য