টেকসই নগর পরিকল্পনা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দল

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত “টেকসই নগর পরিকল্পনায় তরুণদের ভাবনা-২০২৫” শীর্ষক জাতীয় প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চমৎকার পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল তৃতীয় স্থান (সেকেন্ড রানার্সআপ) অর্জন করেছে।
২৮ মে ঢাকায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত হয় এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহি মির্জা, মো. হাসান, সুমাইয়া বিনতে ও তাবাসসুম মল্লিক।
প্রতিযোগিতায় থিম-১: নগর ও অঞ্চল/গ্রামীণ পরিকল্পনা এবং থিম-২: আরবান ডিজাইন এই দুটি থিম নির্ধারণ করা হয়। দেশের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন এবং মোট ৬০টি আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়। তিন ধাপে এসব আইডিয়ার উপস্থাপনার ভিত্তিতে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত মূল্যায়ন করেন বিচারকরা। মূল্যায়নের ভিত্তিতে থিম-১ থেকে ৩টি এবং থিম-২ থেকে ৩টি আইডিয়া চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।
খুবির দলটি শহরের অব্যবহৃত পার্ক ও খেলার মাঠগুলো চিহ্নিত করে দেখিয়েছে যেসব জায়গায় বর্তমানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বা ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেগুলোকে শিশুদের জন্য কিভাবে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সুস্থ ও সক্রিয় নগরজীবনের অংশ করে তোলা যায়। তাদের এই চিন্তাভাবনাই থিম-১-এ তৃতীয় স্থান অর্জনে সহায়ক হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, একই থিমে প্রথম স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজা বিনতে হাসান। অন্যদিকে, থিম-২ অর্থাৎ আরবান ডিজাইন বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম।
অর্জন সম্পর্কে খুবির দলটি জানায়, “জাতীয় পর্যায়ে এমন স্বীকৃতি আমাদের আরও উৎসাহিত করবে। ভবিষ্যতে আমরা আরও পরিশ্রম করতে চাই এবং সবাইকে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করবো। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের কার্যকর ভূমিকা রাখা উচিত।”
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “তরুণদের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক ও মানবিক নগর গড়ে উঠতে পারে। তরুণ প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদদের চিন্তা ও পরিকল্পনা নগরায়নকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করতে সহায়ক হবে। এরকম প্রতিযোগিতা সে লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহমুদ আলী। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেচার ইনডেক্সে ২৩তম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল 'নেচার'-এর ২০২৫ এর তালিকায় গবেষণার মান ও সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বাংলাদেশে ২৩তম স্থান করে নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বৈশ্বিক দিক থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৬৬৬৬তম। একাডেমিক দিক ববির স্থান ২০তম। বৈশ্বিকভাবে একাডেমিক দিক থেকে ববির অবস্থান ৩১৪২ তম।
এই তালিকাটি প্রণয়ন করা হয়েছে ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালের গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের এবারের অবস্থান সন্তোষজনক। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্য নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে পিছনে ফেলে মালয়েশিয়ার পরই স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের বাংলাদেশের অবস্থান ৫৯তম। তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন।
গবেষণায় অবদানের মান ও আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের পরিমাণ বিবেচনায় এনে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে Nature Index।
তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। এর মধ্য ২৩ নম্বরে উঠে এসেছে দক্ষিণাঞ্চলের বাতিঘর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়ভিত্তিক গবেষণার দিক থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান রসায়নে ১০ম এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞানে পঞ্চম। বৈশ্বিকভাবে এই অবস্থান যথাক্রমে ২৮৫৪ তম ও ২০৬০ তম।
রাইজিং ক্যাম্পাস/আরকেএস
নেচার ইনডেক্সের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০-এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গবেষণা মূল্যায়ন সংস্থা নেচার ইনডেক্স-এর ২০২৪ সালের তথ্যানুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দেশের সেরা ১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেছে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি সময়কালের গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক অবস্থান ৪৬৬০তম এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে অবস্থান ২৫৭৮তম।
এছাড়াও সাইমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিংস (এসআইআর)-এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা গবেষণার প্রভাব ও উদ্ভাবনী দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রকাশিত তথ্যমতে, রসায়ন বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে অষ্টম এবং বিশ্বে ২৭৫৭তম অবস্থানে রয়েছে। ভৌত বিজ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের মধ্যে তৃতীয় এবং বিশ্বে অবস্থান ২৩৯৬তম।
আরও পড়ুন
এই সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স লেটারস’ নামক জার্নালে দুটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যার যৌথ শেয়ার (ফ্র্যাকশনাল কন্ট্রিবিউশন) ০.৩৫। অন্যদিকে ‘কেমিক্যাল সায়েন্স’ নামক জার্নালে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যার শেয়ার ০.০৭। সব মিলিয়ে মোট শেয়ার দাঁড়িয়েছে ০.৪২।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “এই অর্জন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ধারাবাহিকতা ও মান নিশ্চিত করার প্রমাণ। এ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণা কাজে আরো উৎসাহী হবে। গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখতে চাই।”
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিগত কয়েক বছর ধরে গবেষণার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অবস্থান উন্নয়নের লক্ষ্যে ধারাবাহিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবারের অর্জন সেই প্রচেষ্টারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল।
সাম্য হত্যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যোগসাজশ রয়েছে: ছাত্রদল

ফিমোরাল আর্টারি কেটে যাওয়ায় রক্তক্ষরণে ২-৩ মিনিটে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থী সাম্য মারা যাওয়ার ঘটনাকে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে ছাত্রদল নেতারা।
তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার মোটিফ উদঘাটন না করে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, হত্যাকাণ্ডের রাতে পুলিশ যথাযথভাবে ক্রাইমসিন সংরক্ষণ করেনি।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের সাথে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যোগসাজশ রয়েছে বলেও দাবি করেন ছাত্রদল নেতারা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় উপাচার্য ও প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আগাম প্রস্তুতি রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় আগাম প্রস্তুতির সম্পূর্ণ করেছে রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন সংগঠনগুলো।
আগামীকাল ৩১ মে (শনিবার) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজশাহী কলেজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪-২০২৫ সেশনের অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগামীকালের পরিক্ষা কে কেন্দ্র রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন সংগঠনগুলো সকাল থেকে তাদের হেল্প ডেক্স প্রস্তুতসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। আগামীকাল শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে
রাজশাহী কলেজের বাহিরে প্রায় দশটির অধিক বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তথ্য কেন্দ্র, অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামের জায়গা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রিক রাখার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ। আগামীকালের পরিক্ষার বিষয়ে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষে থেকে জানানো হয় তারা শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিজেদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, এ বছর রাজশাহী কলেজে ২৪ টি বিভাগের ৪,২৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৫,৮৫৭ জন পরিক্ষার্থী।
১৫,৮৫৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৮৮০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৮,৮৪২ জন, মানবিক বিভাগে ২,৪৫৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ৫,৬৯৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯০৫টি আসনের বিপরীতে ১,৩২০ জন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে।
এছাড়াও আগামীকালের পরিক্ষা কে কেন্দ্র করে কলেজ প্রশাসনের পক্ষে থেকেও সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য