ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

যবিপ্রবিতে গাইবান্ধা জেলা এসোসিয়েশনের নবীন বরণ ও কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
যবিপ্রবিতে গাইবান্ধা জেলা এসোসিয়েশনের নবীন বরণ ও কমিটি গঠন

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) গাইবান্ধা জেলা এসোসিয়েশনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং চড়ুইভাতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে গাইবান্ধা জেলা এসোসিয়েশন, যবিপ্রবির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ এম আর খান মেডিকেল সেন্টার এর তৃতীয় তলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। একপর্যায়ে গাইবান্ধা জেলা এসোসিয়েশন এর কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে অতিথিদের উপস্থিতিতে সকলের সম্মতিক্রমে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো: জোনায়ের হোসেন'কে আহ্বায়ক ও একই সেশনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের শিক্ষার্থী মো: নাহিদ হাসান'কে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির বলেন, আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন গাইবান্ধা এসোসিয়েশন পেতাম না সময়ের পরিবর্তনে এখন আমরা সব জায়গায় অবস্থান তৈরি করেছি। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আমাদের ছেলে মেয়েরা রয়েছে। যবিপ্রবিতে তোমরা একত্রিত হতে পেরেছ, একটি এসোসিয়েশন দাঁড় করিয়েছো। সবাই নিজেরা একত্রিত হয়ে থাকবে এবং একে অপরের বিপদ-আপদে এগিয়ে আসবে। কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আনিছুর রহমান বলেন, আমি আনন্দিত বোধ করছি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাইবান্ধা জেলা অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়েছে। একটি এসোসিয়েশনের মাধ্যমে তোমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে পারবে এবং বিভিন্ন রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হলে একসাথে সবাই মিলে তার সমাধান করতে পারবে। এর মাধ্যমে সবার সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, আমরা গর্বিত অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন স্যার এর মত একজন অল রাউন্ডার উপাচার্য পেয়েছি। যার মেধা ও মনশীলতায় যবিপ্রবি এখন দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। যিনি নিজে একজন গবেষক এবং গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ইউনিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত করেছে।

পুষ্ঠি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সোহেল রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: রাফিউল হাসান, ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শর্মিলা জাহান, শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আবদুল ওয়াহেদ, গণিত বিভাগের প্রভাষক মো: রায়হান প্রধান সহ গাইবান্ধা জেলার যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

    বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিভাগের দুজন শিক্ষক ও চতুর্থ বর্ষের ৩৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে তাদের কক্সবাজারে ফেরার কথা থাকলেও আবহাওয়ার তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় বৃহস্পতিবারও তারা ফিরতে পারেননি।

    শিক্ষা সফরে থাকা আবদুল বারেক নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাদের আটকে পড়ার বিষয়টি জানান। আবদুল বারেক লেখেন, সেন্টমার্টিনে শিক্ষা সফরে এসে প্রচণ্ড লঘুচাপ এবং সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা দুদিনের বদলে তৃতীয় দিন পার করছি৷ আগামীকালও (শুক্রবার) নাকি শিপ চলাচল বন্ধ। এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার (১ অক্টোবর) সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ও সহযোগী অধ্যাপক নুসরাত সুলতানার তত্ত্বাবধানে ৩৮ জন শিক্ষার্থী দুদিনের র‌্যাগ ট্যুরে সেন্টমার্টিন যান। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সেখানে আটকা পড়েন। পর্যাপ্ত দিনের আলো না থাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলেও জানা গেছে।

    এ বিষয়ে জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান গনমাধ্যমকে বলেন, তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সবাই নিরাপদে এবং সুস্থ আছে। আগামীকাল শুক্রবার জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে। জাহাজ ছাড়লেই তারা ব্যাক করবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড' এবার যবিপ্রবিতে

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:৩৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড' এবার যবিপ্রবিতে

      যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড ২০২৩’। আগামী ৭ অক্টোবর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন।

      ইউএসএইড (USAID) এর অর্থায়নে, ন্যাশনাল ভেটেরিনারি ডিন কাউন্সিল (NVDC) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর সহযোগিতায় দেশের ১৪টি ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

      এবছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) সহ মোট ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৭ টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। বাছাইপর্বে অংশ নিবে যবিপ্রবির ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ৩২ টি দল।

      এর আগে গত বছর প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াড - ২০২২’। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬৬ টি দল অংশগ্রহণ করলেও ফাইনাল রাউন্ডে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি করে ১২টি দল ফাইনাল রাউন্ডে লড়াইয়ের সুযোগ পায়। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দলের মর্যাদা লাভ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ‘সুপারবাগস।’

      https://therisingcampus.com/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%9f/

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        শিক্ষক হিসেবে আমি প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে একটি সুস্থায়ী পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখি

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:২০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        শিক্ষক হিসেবে আমি প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে একটি সুস্থায়ী পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখি

        ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। বাংলাদেশে এবারেই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে 'শিক্ষক দিবস' পালিত হতে যাচ্ছে। শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের চাওয়া-পাওয়া, নানা অর্জন ও চিন্তা ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাঈনুদ্দিন (সি এস ই বিভাগ) সাক্ষাতকারে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন রাবিপ্রবি প্রতিনিধি আহ্সান হাবীব।

        আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস নিয়ে আপনার ভাবনা…

        দিবস নিয়ে আমার ধারণাটা বরাবরের মত ভিন্ন। কোনো বিশেষ সম্পর্ককে আমি দিবসের মাধ্যমে উদ্‌যাপিত করতে চাইনা। কিছু বিষয়, সম্পর্ক, পেশা, কিংবা মতাদর্শ সর্বজনীন। যখন এই ধরনের বিশেষ বিষয়টাকে বিশেষ দিবসের সাথে বিশেষায়িত করা হয়, তখন আমার মনে হয় সেখানে ঐ পেশা বা সম্পর্কটা যথাযোগ্য মর্যাদায় আর নেই। তাতে যান্ত্রিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে। যে মর্যাদাটা প্রাপ্য ছিল কিংবা ঐ বিশেষ পেশা বা সম্পর্ক থেকে যা পাওয়ার কথা ছিল তা আর পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে অধিকার আদায়ের জন্য লড়তে হবে লড়াকু হয়ে। হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি কে ফিরিয়ে আনতে হবে। অথবা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, অথবা তাকে যান্ত্রিক বানিয়ে নিতে হবে। তাই আমি অপ্রতুল শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করা, শিক্ষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা কিংবা শিক্ষকতার সঠিক দায়িত্ব পালন করবে এটা নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন দিবসে সীমাবদ্ধ না থেকে ৩৬৫ দিনই কাজ করায় বিশ্বাসী।

        শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়—আমাদের শিক্ষকরা সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত আলোকিত মানুষ তৈরি করতে পারছেন?

        হ্যাঁ, মানুষ গড়ার কারিগর - শিক্ষক। এখন আপনাকে বলতে হবে শিক্ষক বলতে আপনি কাকে বুঝাতে চেয়েছেন, শুধু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব প্রাপ্ত পাঠদান কারী শিক্ষককেই। শিক্ষক বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকদেরকেই বুঝালে হবে না। এ প্রসঙ্গে সুনির্মল বসুর সবার আমি ছাত্র কবিতার কথা বলতে হয়, আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা লাভ করি আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সকল উপাদান থেকে, তা হতে পারে কোন ব্যক্তি, কোন বস্তু বা পার্থিব কিংবা অপার্থিব চিন্তা চেতনা থেকে। আর এই শিক্ষাই একজন শিক্ষার্থীর মনকে করতে পারে প্রস্ফুটিত , আলোকিত। আর আলোকিত মানুষ তৈরি না হলে দেশ ও জাতি রসাতলে ডুবে যেত, হারিয়ে যেত, দেশ পরিণত হত ধ্বংসস্থুপে। তবে আমরা যদি বলি যোগ্য, কর্মদক্ষ জন বল তৈরির কথা তাহলে বলতে হয় আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষকের যেমন দায় থাকে, আছে শিক্ষার্থীর ও দায়, আছে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহের ঘাটতি, আছে অনুকূল পরিবেশের অভাব।

        শিক্ষক জীবনের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি মেলবন্ধন আসলে কতদূর?

        শিক্ষা হচ্ছে একটি উপকরণ, যা কাউকে তার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করে। একজন শিক্ষক হিসেবে, আমি শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি পরিবর্তনের উৎস হতে পারি, তাদের আত্ম বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং তাদের সামর্থ্য ও সৃজনশীলতার দিকে প্রেরণ করতে পারি।

        এছাড়া, আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা হচ্ছে প্রতিটি জীবনের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম। একটি শ্রেণীকক্ষে, আমি বিভিন্ন সংস্কৃতির, বয়সের এবং সামাজিক পরিস্থিতির শিক্ষার্থীর সাথে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারি এবং তাদের কাছে জ্ঞান ও জীবনের সম্পর্কে জানতে পারি, জানাতে পারি।

        শিক্ষক হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে আপনার স্বপ্ন কী, প্রাপ্তি কত খানি?

        ইরেজিতে একটি কথা আছে By choice or by chance. আমি শিক্ষকতায় By Choice এসেছি। শিক্ষক হিসেবে আমার স্বপ্ন হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে একটি সুস্থায়ী পরিবর্তন আনা। আমি চাই তারা তাদের নিজেদের স্বপ্নকে চিনতে পারুক, সেই স্বপ্ন অনুসরণ করে জীবনের সমস্ত সমস্যার মোকাবেলা করুক, গড়ে তুলুক একটা সুন্দর নির্মল আবাসযোগ্য পৃথিবী। আমার প্রাপ্তির দিক দিয়ে বলতে গেলে, আমি অনেক শিক্ষার্থীর জীবনে পজিটিভ প্রভাব ফেলতে পেরেছি। যখন দেখি যে একজন শিক্ষার্থী যান্ত্রিক না হয়ে মানবিক হচ্ছে তখন বেশ ভালো লাগা কাজ করে। একজন শিক্ষার্থীর চেহারায় যখন জ্ঞানের জন্য উৎসাহ ও সন্তোষ দেখি তা হয়ে উঠে এক প্রশান্তির কারণ। আমার স্বল্প সময়ের শিক্ষকতার জীবনে ছোট খাট যা কিছুই পেয়েছি, তন্মধ্যে আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে হয় যখন দেখি আমার শিক্ষার্থীরা সফলতার পথে হাঁটছে, তারা অনুপ্রাণিত হয়ে উঠছে।

        এমনিতে সমাজ ব্যবস্থার কিছু অসুবিধা তো থেকেই যায়, তাতে কখনও কখনও হয়তো বা ভিন্নধর্মী সমস্যার সম্মুখীন তো হতেই হয়। সমস্যা গুলি সমাধান হয়ে গেলে হয়ত দুঃখ-কষ্টগুলি ভুলে যাই। সমস্যাগুলি কাটিয়ে আবারও স্বপ্নদেখি, স্বপ্নদেখাই।

        তবে, আমি মনে করি আমার যাত্রা এখনো সমাপ্ত হয়নি। আমি প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখছি এবং আমার শিক্ষার কৌশল উন্নত করার জন্য চেষ্টা করি। আমার স্বপ্ন হচ্ছে যত টুকু সম্ভব অধিক শিক্ষার্থীর জীবনে পজিটিভ প্রভাব ফেলা।

        শিক্ষক হিসেবে আপনার মতে কোন দক্ষতা বা গুণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

        শিক্ষক হিসেবে, আমি মনে করি একাধিক দক্ষতা ও গুণ থাকা প্রয়োজন। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো শ্রদ্ধা এবং সহৃদয়তা। শিক্ষার্থীরা যখন উদ্ভাসিত হয় বা কোনো সমস্যায় পরে যায়, তাদের বোঝা, তাদের পাশে থাকা এবং তাদের উত্তরণে সাহায্য করার জন্য একটি সহমর্মিতা ও সহৃদয়তা থাকতে হবে। এই গুণ তাদের বিশ্বাস, উত্তেজনা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

        এছাড়া, শিক্ষক হিসেবে আমার জানতে হবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভিন্নভিন্ন প্রয়োজনীয়তা, শেখার শৈলী ও স্বভাব। এর মানে হল, আমি প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাথে মিথস্ক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি।

        এবারের বিশ্বশিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage’ অর্থাৎ, ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা পেতে যেমন শিক্ষক চাই : শিক্ষক সংকট ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ।’ প্রতিপাদ্যটি কি সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক? আপনার মন্তব্য কি?

        এ প্রতিপাদ্যটিকে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যায়। দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাব, নাকি সময়ের পরিবর্তন, না কি শুধু রুটিন কাজ করার জন্য শিক্ষক নাকি অন্য কিছু। এ প্রতিপাদ্যটিতে খুবই গভীর বার্তা রয়ে গেছে। সময়ের সাথে পরিবর্তন হচ্ছে সামাজিক ব্যবস্থা । শিল্প বিল্পবের এ সময়টা কে আমরা বলছি ৪র্থ ধাপ। সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর। পরিবর্তনের হার অনেক বেশি। প্রতি নিয়ত পরিবর্তনের এ সময়ে দেখা দিচ্ছে দক্ষ জনশক্তির অভাব, সময়ের সাথে আমরা মানুষ থেকে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকতা টা নেশা থেকে পেশা হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা হয়ে যাচ্ছে আগে উদর পূর্তিতার পর বাকি সব। যত গবেষণা তত উন্নয়ন, তবে তার জন্য যথেষ্ট পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। তাছাড়া শিক্ষকতায় আসতে চাওয়ার অনীহা কিংবা শিক্ষক নিয়োগে স্টেক হোল্ডারদের অনীহা যার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বজায় থাকছেনা। কেউ বা শুধু চাকরি করতে শিক্ষকতায় আসতেছেন। এ সমস্যাগুলি প্রকট হচ্ছে। তা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। তাই বলব প্রতিপাদ্যটি সময়ের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

        সমাজের উন্নতি ও সুস্থ প্রশাসনের জন্য শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যদি প্রয়োজনীয় শিক্ষকের সংখ্যা কম হয়, তাহলে তা সমগ্র সমাজের উন্নতি ও বিকেন্দ্রীভূত শিক্ষা প্রণালীর জন্য একটি বড় সমস্যা হতে পারে।

        বর্তমানে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের প্রয়াস চলছে, তবে শিক্ষকের সাথে সরাসরি যে মানুষিক সম্পর্ক, যোগাযোগ ও নির্দেশনা তা কখনোই প্রযুক্তি প্রদান করতে পারে না, কিংবা প্রতিস্থাপিত করতে পারেনা, এটা অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ।

        আমরা আমাদের শিক্ষা প্রণালীর কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে চাইলে যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ ও উৎসাহী শিক্ষক নিয়োগ করা এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।

        দেশের শিক্ষকরা বেতন-মর্যাদায় পিছিয়ে আছে বলে শোনা যায়-সেটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক? এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

        পৃথিবীতে যে কোন ধরনের পেশার সাথে যদি শিক্ষকতার তুলনা করা হয় তা হলে বলতে হবে শিক্ষক তা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং কেননা অভিনেতা মঞ্চে কিংবা তার কাজের দৃশ্য পটে বুলি আওড়িয়ে অভিনয় করে যায় আর সেখানে শিক্ষককে প্রতিনিয়ত সকল বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে শিখতে হয়, শেখাতে হয়। জাগ্রত করতে হয় সুপ্ত প্রতিভাকে, মেধায়-মননে হতে হয় অনন্য। আর সেখানে যদি একজন শিক্ষককে তার তিন বেলা খাবারের চিন্তায় বিভোর হইতে হয়, তখন কি আর সে তার মর্যাদায় আছে বলে মনে হয়। যে গবেষক কিংবা প্রশাসক কে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষক তার জীবনটাকে যখন অকাতরে বিলিয়ে দেয়, তখনই আবার ঐ শিক্ষক কে ধরনা দিতে হয় ঐ প্রশাসকের কাছে তার বেতনের গ্রেডটা যদি মহাশয় একটু বাড়িয়ে দিতেন। এ বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। প্রশাসনের উচিত শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদির ব্যবস্থা এমন ভাবে সমন্বয় করা যাতে করে শিক্ষকতার শ্রেণি কক্ষে গিয়ে তার পরিবার চালানোর চিন্তা না করতে হয়, তার সন্তানের পড়াশুনার খরচের কথা চিন্তা না করতে হয়, কিংবা শ্রেণী কক্ষে না গিয়ে প্রাইভেট টিউশনে যাওয়ার চিন্তা না করতে হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বেরোবিতে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:১৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বেরোবিতে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

          বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটি ডিবেট অ্যাসোসিয়েশন ( ব্রুডার) আয়োজনে ৩য় জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

          আগামীকাল শুক্রবার (৬অক্টোবর) সকালে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গ্যালারি রুমে এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হবে।

          বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি প্রতিযোগিতার তথ্যটি নিশ্চিত করেন ।

          আগামীকাল ৬-৭ অক্টোবর প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব ও সেমি ফাইনাল পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৭ই অক্টোবর,শনিবার বিকালে ফাইনাল রাউন্ড, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান এর সমাপ্তি ঘটবে।

          এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২ টি পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে দল অংশগ্রহণ করবে।

          এবারের প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড এর ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা ব্র্যান্ড উপায়, এছাড়া আরো সহযোগিতায় আছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে আছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

          এছাড়া মিড়িয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে সারাদেশে স্থানীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা এবং সময় টিভি।

          উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংগঠন ব্রুডা প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের মাঝে যুক্তির চর্চা ছড়িয়ে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিতর্ক আয়োজন, অংশগ্রহণ এবং কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনের মাধ্যমে ব্রুডা বিতার্কিকদের মেধা ও মননে আত্মবিশ্বাসী এবং শাণিত মূল্যবোধের ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত