৬ দফা দাবিতে পবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট

পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পবিপ্রবি) প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সকল দপ্তর থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্হান ধর্মঘট পালন করছেন পবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দাবি গুলোর মধ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত যাদের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে প্রশাসনের বাহিরে বদলি করা। অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে আপডেট কমিটি রিপোর্ট রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদন করা। সহকারী রেজিস্ট্রার পদের স্কেল ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদের স্কেল চতুর্থ গ্রেডে উন্নিত করা।অর্গানোগ্রাম কমিটিতে অফিসার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখা। প্রতি অর্থবছরে ৩টি বাছাই বোর্ড এবং ৩টি রিজেন্ট বোর্ডের সভা আহবান করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারন সম্পাদক মোঃ ওয়াজকুরুনী,সাবেক সভাপতি ড. আরিফ আহম্মেদ জুয়েল, মিজানুর রহমান টমাস প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, "৬দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত কপি পেশ করেছি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মকর্তাগণ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করবে।"
লেখকের মানবতাবাদে বিশ্বাস করি না- মাসরুর আরেফিন

রিদুয়ান ইসলাম, জবি: 'লেখালেখি করতে গেলেই আমরা জন দরদী মানব দরদী হয়ে যাই। আমি এ ধরনের লেখা লিখতে চাই না। আমি লেখকের মানবতাবাদে বিশ্বাস করি না৷ লেখকের মানবতাবাদ এক ধরনের চ্যারিটি' বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও কথা সাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাসরুর আরেফিন বলেন, 'লেখকের কাজ কোনো কিছুর সমাধান দেওয়া না। ঐটা এক্টিভিস্টরা করবেন। এক্টিভিস্টরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন৷ লেখকের কাজ আপনার প্রতিবাদ টুকু সহ পুরো সিস্টেমটার উল্টো করে দেখিয়ে দেওয়া। লেখকের কাজ সমাজে যা যা চলে তা উন্মোচিত করা। লেখকের কাজ সমাজকে সমাজের চিন্তাকে উপভোগ করা, চিন্তা খুঁচা দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এই সভ্যতার শুরু থেকে তাকালে দেখা যাবে সভ্যতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের জ্ঞান। আমরা যেই মুহুর্তে জ্ঞানী হিসেবে নিজেকে মনে করি সেই মুহুর্তে যাদের জ্ঞান নাই তাদেরকে মানুষ বলেই মনে করি না।'
উদ্বোধকের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সাহিত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরও বিকশিত হবে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য সংসদ আছে, ডিবেটিং সোসাইটি আছে, আবৃত্তি সংসদ আছে। সবগুলোর সমন্বিত প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়।'
মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, 'একটা বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রাণ চাঞ্চল্য থাকতো৷ সেটা এখন নাই। কোথায় যেন একটি অভাব আছে। লেখালেখি করে অনেকেই সুনাম অর্জন করেছেন। কিন্তু লেখকদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক। এখন বইমেলাতে র্যাব রাখতে হয় পুলিশ রাখতে হয়। এগুলো একসময় ছিল না।'
অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবরিন নাহার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস।
উল্লেখ্য যে, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নতুন করে সংস্কার করার আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে খরচের বাজেট পরিকল্পনা চেয়েছেন।
কুবি বিএনসিসি প্লাটুনের নতুন সিইউও হায়দার মাহমুদ

নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্লাটুনের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) হিসেবে পদোন্নতি হয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ক্যাডেট সার্জেন্ট হায়দার মাহমুদ।
শনিবার (২৮শে জানুয়ারী) রেজিমেন্ট ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ কামরুল ইসলাম তাকে র্যাঙ্কব্যাজ পরিয়ে দেন।
এর আগে, গত ২৬ শে জানুয়ারী সিইউও পদে পদোন্নতি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এসময় লিখিত, ড্রিল, কমান্ড ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুনে সিইউওর দায়িত্ব পালন করছেন বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ হাসানুর রহমান। চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারী সিইউও মোঃ হাসানুর রহমান এর মেয়াদ শেষ হবে। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে হায়দার মাহমুদ এ দায়িত্ব পালন করবেন।
সিইউও নির্বাচিত হওয়ার অভিব্যক্তিতে হায়দার মাহমুদ বলেন, "কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুনের সিইউও হিসেবে আমাকে ময়নামতি রেজিমেন্ট কর্তৃক যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব আমি সুষ্ঠুভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং একইসাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুনকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সবাই দোয়া করবেন যাতে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারি।"
উল্লেখ্য, গত ২৪ শে জানুয়ারী হতে ২৯শে জানুয়ারী পর্যন্ত লালমাই সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং ২০২২-২৩ অনুষ্ঠিত হয়। ২৯শে জানুয়ারী উক্ত ক্যাম্পের সমাপনী প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুন এর প্লাটুন কমান্ডার সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অধ্যাপক ড. মোঃ শামিমুল ইসলামসহ অন্যান্য বিএনসিসিও, পিইউও, টিইউও এবং ময়নামতি রেজিমেন্টের ৫টি ব্যাটালিয়নের ক্যাডেটবৃন্দসহ সামরিক-বেসামরিক প্রশিক্ষকগণ।
হলে যান না প্রভোস্ট, মৃত্যু সংবাদ টানালেন শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট কক্ষের দরজাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হকের মৃত্যুসংবাদের পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি)' হল প্রভোস্ট স্যারের অকাল মৃত্যতে আমরা জিয়া হলবাসী গভীরভাবে শোকাহত' এমন একটি পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে আসলে হলের সহযোগী রেজিস্ট্রার শাহ মো. মিজানুর রহমান প্রভোস্টের স্বাক্ষর এনে দেওয়ার কথা বলে পিয়নের মাধ্যমে রশিদ ছাড়াই একশ করে টাকা নেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সহযোগী রেজিস্ট্রার শাহ মো. মিজানুর রহমানকে জেরা করলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এসময় প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হলের কর্মকর্তাদের প্রভোস্ট কার্যালয়ে তালা বদ্ধ করে রাখেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক নিয়মিত হলে আসেন না বলে অভিযোগ করেন। তারা জানান, হলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু অনেকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও তিনি কোনো সমস্যা সমাধানের উদ্যেগ নেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, হল চার্জের বাইরে কোনো টাকা পয়সা নেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের রশিদ ছাড়া কাউকে টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন।
বর্ণিল আয়োজনে পর্দা উঠলো পোর্ট সিটি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার

রিয়ান বিন কবিরঃ জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠলো পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ আসরের।এইবারের আসরে ৭ টি ইভেন্টে মোট ১৩ টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে প্রায় চার শতাধিক প্রতিযোগী।যার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস,দাবা,ক্যারাম,লুডু,পিলু পাসিং সহ ইনডোর আউটডোরের জমজমাট সব খেলার ইভেন্টস।
২৯ জানুয়ারি,বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নূরল আনোয়ার।বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র রায়।বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মফজল আহমেদ।বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মোঃ ফশিউল আলম।সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন জনাব মোহাম্মদ ইউনুস।রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান,প্রক্টর,অনুষদ,স্পোর্টস ফোরামের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন পিসিআইইউ স্পোর্টস ফোরাম (পিএসএফ) এর কো-অর্ডিনেটর জনাব ইকবাল হোসেন।
ক্রিকেট ইভেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সাংবাদিকতা বিভাগ বনাম ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগ মুখোমুখি হয়।ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগ ৩৮ রানে জয় লাভ করে।
মন্তব্য