ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস

অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৭
অনলাইন ডেস্ক
নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস

ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাব মেনে নিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। নতুন এই চুক্তিতে গাজায় হামাসের হাতে থাকা অর্ধেক জিম্মিকে ফেরত ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির শর্ত রয়েছে। সোমবার মিসরীয় সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাঈম লিখেছেন, ‘‘গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থাপিত নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে হামাস।’’

তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মিসরীয় সরকারি সূত্র বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন প্রস্তাবে ৬০ দিনের জন্য গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান স্থগিত ও প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসানে একটি সামগ্রিক চুক্তির পথ তৈরি করার রূপরেখা রয়েছে।


বিষয়টি সম্পর্কে অবগত অপর একটি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া আগের প্রস্তাবের সঙ্গে নতুন এই প্রস্তাবের মিল রয়েছে। উইটকফের আগের ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল ইসরায়েল।

গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিশ্বে ও ইসরায়েলের ভেতরেও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ও যুদ্ধের অবসানের দাবিতে রোববার ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। রোববারের এই বিক্ষোভকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্যতম বৃহত্তম বিক্ষোভ বলে দাবি করা হচ্ছে।


বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ অবসানের পাশাপাশি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় বন্দি বাকি ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৯ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পিত অভিযানের জেরে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জোরদার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

গাজার পূর্বাঞ্চলে সম্ভাব্য ইসরায়েলি স্থল অভিযানের আশঙ্কায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজার পশ্চিম ও দক্ষিণে আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও ওই দুই অঞ্চলেও টানা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইসরায়েলি হামলা ও ক্ষুধা-অনাহারে গাজায় নিহত ছাড়াল ৬২ হাজার

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১১
    অনলাইন ডেস্ক
    ইসরায়েলি হামলা ও ক্ষুধা-অনাহারে গাজায় নিহত ছাড়াল ৬২ হাজার

    টানা প্রায় দুই বছরের গণহত্যামূলক অভিযানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের জেরে সৃষ্ট ক্ষুধা ও অনাহারের কারণে ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।


    অবরুদ্ধ এ অঞ্চলে কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই; প্রতিদিন মানুষ নিহত হচ্ছেন শুধু পরিবারের জন্য খাবার খুঁজতে গিয়ে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী — এবং এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত — গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। ইসরায়েল এ শহর দখল করে হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক দক্ষিণে তথাকথিত কনসেন্ট্রেশন জোনে সরিয়ে নিতে চায়। সোমবার ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ১৪ জন ছিলেন সাহায্যপ্রত্যাশী।


    আল জাজিরাকে এক চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে, গাজা সিটির আল-সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ইসলাম আল-কৌমিও রয়েছেন।

    দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, “গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে অব্যাহতভাবে হামলা চলছে। হামলার মাত্রা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েলের বর্তমান কৌশল গাজার ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত কাঠামো বদলে দিচ্ছে।


    তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল ভারী কামান, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে বাকি আবাসিক বাড়িগুলো ধ্বংস করার জন্য। ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা ভয়াবহ। এই সামরিক কৌশলই বলে দিচ্ছে যে ইসরায়েল সহজে স্থল অভিযান চালাতে পারবে এবং আবাসিক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। স্থানীয়রা বলছেন, দিন-রাত হামলা অব্যাহত রয়েছে।”

    যারা ইতোমধ্যেই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তারা আবারও গাজা সিটি ছেড়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে রয়ে গেছেন। গত রোববারও শহরটি ছিল হামলার মূল লক্ষ্য, সেদিন প্রায় ৬০ জন নিহত হন। একই সঙ্গে ইসরায়েল বাকি অল্প কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকেও হামলার টার্গেট করছে।

    ধ্বংসস্তূপ, অস্থায়ী আশ্রয় বা তাঁবুতে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের অনেকেরই কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বিলাল আবু সিত্তা বলেন, “আমি সেখানে কীভাবে যাব? যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। দক্ষিণে যেতে প্রায় ৯০০ ডলার লাগে, আমার কাছে এক ডলারও নেই। আমি কীভাবে যাব?”

    অন্যরা ইসরায়েলের দেওয়া আশ্রয় ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখছেন না। নোয়ামান হামাদ বলেন, “আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে কিছুই চাই না। শুধু আমাদের সেই ঘরে ফেরার অনুমতি দিক, যেখান থেকে আমরা পালিয়েছিলাম— আমাদের আর কিছু দরকার নেই।”

    এদিকে সামান্য আশার আলো দেখা দিয়েছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া মেনে নিয়েছে হামাস। আল জাজিরাকে এক সূত্র জানিয়েছে, এই চুক্তি কার্যকর হলে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে এবং গাজায় আটক রাখা ইসরায়েলি বন্দিদের অর্ধেক ও ইসরায়েলের কারাগারে আটক একাংশ ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।

    তবে ফিলিস্তিনিরা আগেও বহুবার এমন আশার ভরসায় প্রতারিত হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারির স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতি মার্চে ইসরায়েল ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই এই যুদ্ধ প্রবেশ করেছে মানবিক বিপর্যয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে।


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বৃহত্তর ইসরায়েল : আদৌ সম্ভব নাকি শুধুই হুমকি?

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২২
      অনলাইন ডেস্ক
      বৃহত্তর ইসরায়েল : আদৌ সম্ভব নাকি শুধুই হুমকি?

      ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত তার বই ‘এ প্লেস আন্ডার দ্য সান’-এ তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করে ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত ভূখণ্ডকে ইহুদিদের ভূমি বলে উল্লেখ করেছিলেন।

      সম্প্রতি আই২৪ নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশনে’ আছেন এবং বৃহত্তর ইসরায়েলের স্বপ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মন্তব্যে আরব লীগ, ওআইসি, জিসিসিসহ ৩১টি আরব ও ইসলামী দেশ প্রতিবাদ জানায়।


      ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সূত্র অনেক পুরোনো। ১৮৯৭ সালের বাসেল কংগ্রেস থেকে শুরু করে ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা এবং ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ পর্যন্ত নানা সময়ে এই স্বপ্ন আলোচনায় এসেছে। ধর্মীয় বর্ণনায় নাইল থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত ভূখণ্ডকেই প্রতিশ্রুত ভূমি বলা হয়।

      এমনকি পুরোনো মুদ্রায়ও ইসরায়েলের সীমানা বিস্তৃতভাবে আঁকা ছিল—যেখানে কুয়েত, ইরাক, মিসর ও সৌদি আরব পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত।

      ইতিহাসবিদরা বলছেন, ইসরায়েলের পতাকার নীল দাগ কিংবা পুরোনো মুদ্রাতেও এর প্রতীক পাওয়া যায়। ১৯৭০ সালের পর লিকুদ পার্টির উত্থানে এই প্রতীকী ধারণা বসতি সম্প্রসারণ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে অস্বীকারের মাধ্যমে নীতিতে রূপ নেয়।

      তবে অনেক গবেষকের মতে, বৃহত্তর ইসরায়েল বাস্তবে সম্ভব নয়। কারণ এতে লাখ লাখ আরব জনগণ যুক্ত হবে, যা ইসরায়েলের জন্য জনসংখ্যাগতভাবে বড় চ্যালেঞ্জ।

      ইসরায়েলি-আমেরিকান লেখক মিকো পেলেড বলেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ আসলে রাজনৈতিক স্লোগান। তার মতে, আসল হুমকি হলো গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা।

      তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ, আলজাজিরা



      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৭
        অনলাইন ডেস্ক
        ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

        ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বাজান তেল শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে তিনজন নিহত হয়। গত ১৭ জুন এ ঘটনা ঘটে।


        যদিও সোমবার (১৮ আগস্ট) বার্তাসংস্থা মেহের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ হয়।


        ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হিব্রু ডেইলির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ জুন ভোরের আগে বাজান তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এতে ভেতরের একটি কক্ষে অবস্থানরত তিনজন ধ্বংসস্তূপ ও আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে প্রাণ হারান।

        প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ হামলায় ইসরায়েলের জ্বালানি স্থাপনা ও আলোকসজ্জা ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।

        বাজান কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, তাদের সব স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসে ধীরে ধীরে উৎপাদনে ফিরবে তারা।


        কোম্পানিটি ধারণা করেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

        প্রসঙ্গত, দখলদার ইসরায়েল গত ১৩ জুন থেকে টানা ১২ দিন ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

        ইসরায়েলের ওই আগ্রাসনের জবাবে ইরানি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স ট্রু প্রমিজ-৩ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডজুড়ে ২২ দফা পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যাতে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে।


        এছাড়া, মার্কিন হামলার জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে (যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি) একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

        এর পরদিনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যা ২৪ জুন থেকে কার্যকর হয় এবং সংঘর্ষ থেমে যায়।



        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৪৬
          অনলাইন ডেস্ক
          ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

          ভারতের হায়দরাবাদে পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তার সাহসী পদক্ষেপে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের তিন সদস্য। গত ৮ আগস্ট বান্দলাগুদা থানায় ওই তরুণীর অভিযোগ দায়েরের পর এ ঘটনা ঘটে।

          বাংলাদেশি ওই তরুণী জনিয়েছেন, ছয় মাস আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়। প্রথমে সীমান্ত পেরিয়ে নৌকায় কলকাতায় আনা হয়, পরে ট্রেনে তুলে পাঠানো হয় হায়দরাবাদে। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। 

          তিনি জানান, তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাজেরা বেগম, শাহনাজ ফাতিমা ও সমীর নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া মেহদিপট্টনম এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আরও তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

          পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই—এই অজুহাতে তাদের ভয় দেখাত। সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি তরুণী পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়ে চক্রটির আসল চেহারা সামনে আনেন। বর্তমানে উদ্ধারকৃত সকলকেই রেসকিউ হোমে রাখা হয়েছে।

          এ ঘটনায় রূপা ও সরোয়ার নামে পাচারচক্রের আরও দুই সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। 

          এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এই চক্রের শিকড় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে টেনে আনা এবং পরে জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় ঠেলে দেওয়া—এটাই তাদের নকশা।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত