আমরা কথা বলতে পারি না, এটাই সত্য: আটকের পর রাহুল গান্ধী

রতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং এবং কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আঁতাতের অভিযোগে রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ চলাকালে অন্যান্য নেতার সঙ্গে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর রাহুল গান্ধী বলেছেন, আমরা কথা বলতে পারি না, এটাই সত্য।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। সংসদ থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে মিছিল বা পদযাত্রা করছিলেন তারা।
এর আগে পরিবহন ভবনের কাছে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেয় পুলিশ, বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময়ই রাহুল গান্ধীসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
আটকের পর রাহুল গান্ধী বলেন, “আসলে আমরা কথা বলতে পারি না, এটাই সত্য। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়। এটি সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। এটি এক ব্যক্তি এক ভোটের লড়াই। তাই আমরা একটি পরিষ্কার ভোটার তালিকা চাই।”
রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, ডিম্পল যাদব, মহুয়া মাজি, সঞ্জয় রাউত, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং কেসি ভেনুগোপালসহ অনেক বিরোধী সংসদ সদস্য এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত দু’জন এমপি চেতনা হারিয়ে পড়ে যান। পরে রাহুল গান্ধীসহ অন্যান্য এমপিরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন এবং গাড়িতে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সংসদ ভবন এলাকা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অভিমুখী বিক্ষোভ মিছিল মাঝপথে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিরোধী দলীয় এমপি ও এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবসহ কয়েকজন পুলিশের ব্যারিকেড টপকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভোট চোর, গদি চোর’-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও অবস্থান ধর্মঘটের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই এমপি মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এসময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এমপিরা পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরে মিতালি বাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজায় একদিনে অনাহারে আরও ৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু, মোট ২১৭

গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও পাঁচ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়লি গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টির কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১০০ জন শিশু।
মে মাসের শেষের দিকে সম্পূর্ণ অবরোধ আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা অব্যাহত রাখে। এর ফলে এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে।
উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া আল জাজিরাকে বলেন, দুর্ভিক্ষ একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল ২০২৩ সাল থেকে গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিরাম বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে দেড় লাখের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পরে এছেন।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
গাজা দখল পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানাল রাশিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার (৯ আগস্ট) ইসরায়েলের গাজা শহর দখল পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করার ঝুঁকি তৈরি করবে। খবর এএফপির।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিরাজমান ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে। যেখানে মানবিক বিপর্যয়ের সব লক্ষণই বিদ্যমান।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৮৭ শতাংশ এলাকা এরই মধ্যে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে বা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের আওতায়। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, আরও সামরিক অগ্রগতি ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন গাজা শহরের ওপর ইসরায়েলের নতুন দখল পরিকল্পনাকে কঠোর সমালোচনা করেছে এবং তা সংঘাত ও রক্তপাত বাড়াবে বলে মনে করছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্রবিরতি, বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।
হামাস, ইরান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এই পরিকল্পনাকে জাতিগত নির্যাতন ও গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, স্পেনসহ বহু রাষ্ট্র তা দুই-রাষ্ট্র সমাধান ও ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানের হুমকিতে ট্রাম্পের পরিকল্পিত করিডোর অনিশ্চিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আজারবাইজান-আর্মেনিয়া শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত ককেশাস করিডোর বাস্তবায়ন ঠেকানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা আলি আকবর ভেলায়াতি সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই করিডোর ট্রাম্পের করিযোর হবে না; বরং তার ভাড়াটে সৈন্যদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।’
প্রস্তাবিত ‘ট্রাম্প রুট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’ (ট্রিপ) আর্মেনিয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে যাবে, যা আজারবাইজানকে তার নাখিচেভান এক্সক্লেভ এবং পরে তুরস্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। করিডোরের উন্নয়নাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকবে, যা জ্বালানি ও অন্যান্য সম্পদ রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ দেবে।
ইরান যদিও এই চুক্তিকে আঞ্চলিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছে, তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় যে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে বলে সতর্ক করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পর ইরানের সামরিক ক্ষমতা করিডোর ঠেকানোর মতো শক্তিশালী নাও হতে পারে।
এদিকে, আর্মেনিয়ার ঐতিহ্যগত মিত্র রাশিয়া বলেছে, সমাধান আঞ্চলিক দেশগুলো মিলে বাস্তবায়ন করা উচিত, যাতে পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মতো ব্যর্থ প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি না হয়। আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে তিন দশকের সংঘাত ২০২৩ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ পুরোপুরি আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে গেলে নতুন মোড় নেয়। আজারবাইজান বলেছে, শান্তিচুক্তি সইয়ের পথে একমাত্র বাধা আর্মেনিয়ার সংবিধান থেকে নাগোর্নো-কারাবাখের ভূখণ্ড দাবি অপসারণ করা। প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ বিষয়ে গণভোটের ডাক দিয়েছেন, যদিও তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, করিডোর নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি—যেমন কাস্টমস চেক, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আর্মেনিয়ার বিপরীতে আজারবাইজানি ভূখণ্ডে প্রবেশাধিকারের বিষয়। এসব স্পষ্ট না হলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা তৈরি হতে পারে।
দায়িত্ব নিলো প্রশাসন সংস্থা
ব্রিটেনে দেউলিয়া হওয়ার পথে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৩ কোম্পানি

যুক্তরাজ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছে আর্থিক সংস্থা গ্রান্ট থর্নটনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সংবাদমাধ্যম বিসনাউ শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই তিনটি কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড। গত ২৯ জুলাই এগুলোর দায়িত্ব নেয় প্রশাসন সংস্থা।
সাধারণত কোনো কোম্পানি ঋণ পরিশোধ বা কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হলে সেগুলো দেউলিয়ার পথে চলে যায়। তখন প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে এগুলো বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলোতে দুরবস্থা তৈরি হওয়ায় এগুলো প্রশাসন সংস্থার অধীনে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তাকে ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযুক্ত করেছে।
বিসনাউ জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন জেটিএস প্রপার্টিস লিমিটেড, রুখমিলা প্রপার্টিস লিমিটেড এবং নিউ ভেঞ্চার্স (লন্ডন) লিমিটেডে গত ২৯ জুলাই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সাইফুজ্জানের যেসব কোম্পানি ইতিমধ্যে প্রশাসকের অধীনে গেছে, সেগুলোর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো এ তিনটি। এগুলোর মধ্যে জেটিএসের সম্পদের পরিমাণ ৭৭ মিলিয়ন। যা অন্য দুটি কোম্পানির চেয়ে বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, এ তিনটি ‘আবাসন কোম্পানির’ কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড পাবে। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিবিএস সাইফুজ্জামানের জেটিএসের বিভিন্ন প্রপার্টির বিপরীতে ঋণ দিয়েছে।
এরআগে চলতি বছরের শুরুতে সাইফুজ্জামানের আরও তিনটি কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের তথ্য জানিয়েছিল বিসনাউ। যেগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
মূলত লন্ডনে থাকা ফ্ল্যাট দেখিয়ে এ ধরনের ঋণ নেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে বিসনাউ জানিয়েছিল, চলতি বছরের শুরুতে সাইফুজ্জামানের যেসব কোম্পানিতে প্রশাসক বসানো হয় সেগুলোর সম্পদ বিক্রি করা শুরু করেছে গ্র্যান্ড থর্নটন।
সাবেক আওয়ামী এমপি ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি সম্পদ কিনেছিলেন। অথচ মন্ত্রী হিসেবে তিনি নির্দিষ্ট বেতন পেতেন। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা সাইফুজ্জামানের ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করেছে।
সূত্র: বিসনাউ
মন্তব্য