ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ ৬ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত

অনলাইন ডেস্ক
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:২৫
অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে বলে শুক্রবার (১৩ জুন) জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

সিএনএন বলছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ইসরায়েলের রাতভর চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন।

মোহাম্মদ বাঘেরি ছিলেন ইরানি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তিনিই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তি, যিনি এই নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন। এর আগে একই হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল হোসেইন সালামির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে একাধিক ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

শুক্রবার ভোররাতে চালানো এই ইসরায়েলি আক্রমণকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংসে সবচেয়ে বড় আঘাত, যার জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের সামরিক কমান্ড কাঠামোতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারেও বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া  ইসরায়েলের হামলায় রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর সদর দপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আগুন ও ধোঁয়ার ঘন কুণ্ডলী দেখা গেছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইসরায়েলের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান নিহত

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ জুন, ২০২৫ ১২:২২
    অনলাইন ডেস্ক
    ইসরায়েলের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান নিহত

    ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।

    এছাড়া রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

    সিএনএন বলছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি ইসরায়েলের রাতভর চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

    শুক্রবার সকালে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানায়, রাজধানী তেহরানে আইআরজিসি-এর সদর দপ্তরে হামলার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    হোসেইন সালামি ২০১৯ সাল থেকে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং ইরানের পরমাণু ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বেই ইরান আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে একাধিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে, বিশেষত ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে।

    এই ঘটনায় ইরানজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও রেভল্যুশনারি গার্ডস এরই মধ্যে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।

    ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস মূলত একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যা দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি ভেতর ও বাইরে থেকে আসা যে কোনো হুমকিকে প্রতিরোধে কাজ করে।

    বিবিসি বলছে, আইআরজিসি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা, যার রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটির ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গার্ডস বাহিনী বিশেষত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    এছাড়া  ইসরায়েলের হামলায় রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর সদর দপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আগুন ও ধোঁয়ার ঘন কুণ্ডলী দেখা গেছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ইসরায়েলের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে, হুঁশিয়ারি খামেনির

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৩ জুন, ২০২৫ ১০:৪৪
      অনলাইন ডেস্ক
      ইসরায়েলের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে, হুঁশিয়ারি খামেনির

      ইরানে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতভর চালানো এই হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।

      এমন অবস্থায় ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি ইসরায়েলের জন্য করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

      শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে তার হামলার জন্য “কঠোর শাস্তি” ভোগ করতে হবে বলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

      শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের ওপর যে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে, তাতে একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খামেনি। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।

      ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আইআরএনএ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে খামেনি বলেন, “এই হামলা ছিল ভোররাতে সংঘটিত এক নিষ্ঠুর অপরাধ। এতে ইসরায়েল আবাসিক এলাকাও টার্গেট করেছে।”

      তিনি আরও বলেন, “এই অপরাধের জন্য দখলদার শাসকগোষ্ঠীকে কঠিন শাস্তি পেতেই হবে। তাদের জন্য এক করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে এবং তারা সেটা অচিরেই পাবে।”

      আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, “শত্রুর এই আক্রমণে আমাদের কিছু কমান্ডার ও বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন। কিন্তু তাদের স্থলাভিষিক্তরা ও সহকর্মীরা, ইনশাআল্লাহ, কোনো বিরতি ছাড়াই নিজেদের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।”

      এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

      এর কিছু সময় পর, তেহরানে তখন ভোর ৫টা ৩০ মিনিট এবং ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শহর তেল আবিবে ভোর ৫টা, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তাদের দেশে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা” চালাতে পারে ইরান।

      ইসরায়েল ইরানের ওপর যখন এই হামলা চালায়, ইসরায়েলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।

      এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বলেছেন, “এই হামলা ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে” এবং “এটি অনির্দিষ্টকাল চলবে”।

      ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি। তিনি আরও বলেন, “ইরানের কাছে এত বেশি পরিমাণে পরমাণু উপাদান মজুত রয়েছে, যা দিয়ে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।”

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ জুন, ২০২৫ ১৮:৫০
        অনলাইন ডেস্ক
        ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত

        ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ তথ্য জানিয়েছে।

        বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সেখানকার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে বিমানটি রওনা দেয়। উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে যে ২৪২ আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন সাধারণ যাত্রী। আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু।

        বিমানটিতে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক।

        আহমেদাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বার্তাসংস্থা এপিকে এর আগে জানান, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিমানটির কোনো আরোহী বেঁচে নেই। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে বিমান বিধ্বস্তে কেউ বেঁচে নেই। এটি আছড়ে পড়েছে আবাসিক এলাকায়। এতে স্থানীয় কিছু মানুষও হয়ত মারা গেছে। সব মিলিয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেটি নিরূপণ করা হচ্ছে।”

        বিস্তারিত আসছে…

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

          কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা পুলিশের

          অনলাইন ডেস্ক
          ১২ জুন, ২০২৫ ১৮:৩৮
          অনলাইন ডেস্ক
          কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা পুলিশের

          আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানের ঘটনায় কেউ ‘বেঁচে নেই’ বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পুলিশপ্রধান।

          আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি ও এপি জানিয়েছে, পুলিশপ্রধান প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে বিমানে থাকা ‘সব আরোহীই প্রাণ হারিয়েছেন’।

          বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন যাদের মধ্যে দুজন পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি একটি ‘মেডে কল’ পাঠিয়েছিল, যা চরম বিপদের সংকেত।

          উদ্ধারকাজ চলমান থাকলেও কালো ধোঁয়া ও আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিমানটি একটি মেডিকেল হোস্টেলে ভেঙে পড়ে।

          সরকারি সূত্রে এখনো হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।

          সূত্র : বিবিসি

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত