ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে যে কারণে ফোনকল করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
১০ মে, ২০২৫ ১৪:১৩
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে যে কারণে ফোনকল করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে টেলিফোন করে পাকিস্তান-ভারত সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইস্যুতে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও।

ফোনকলে রুবিও দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমণের জন্য কার্যকর পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে। সেই সঙ্গে বলেছেন, সংঘাত পরিহার করে দুই দেশ যদি গঠনমূলক সংলাপে রাজি হয়— সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

শুক্রবার রাতে রুবিও ও জেনারেল মুনিরের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে।

এর আগে গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছিলেন রুবিও। সেই ফোন কলে দুই দেশকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে পাকিস্তানকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও বলেছিলেন তিনি।

এদিকে অতি সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারতকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জানেন যে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ দশকের পর দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত, তবে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট চান যে শিগগিরই তার অবসান ঘটুক।”

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর তিন দিনের মধ্যে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান। আরবি ‘বুনিয়ানি উল মারসুস’-এর বাংলা অর্থ সীসার প্রাচীর।

সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড, জিও টিভি

মন্তব্য

পাক-ভারত সংঘাত

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধ্বংস করল পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
৯ মে, ২০২৫ ১৮:৪৯
অনলাইন ডেস্ক
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধ্বংস করল পাকিস্তান
ইসরায়েলের তৈরি হারোপ ড্রোন। পাকিস্তানে হামলায় ভারত এসব ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলার জন্য পাঠানো ভারতীয় ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের তৈরি এসব হারোপ ড্রোন বিভিন্ন জায়গায় ভূপাতিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার শুক্রবার (৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৭৭টি ড্রোনের মধ্যে ২৯টি ড্রোন মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং বাকি ৪৮টি ড্রোন শুক্রবার সারাদিন পর্যন্ত ভূপাতিত করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন একই প্রতিবেদেন জানিয়েছে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনাদের গোলাবর্ষণে পাঁচ বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। ভারত বিনা উস্কানিতে গোলাবর্ষণ করছে এমন দাবি করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, পাকিস্তানি সেনারা পূর্ণশক্তি দিয়ে এসব উস্কানির জবাব দিচ্ছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ আজাদ কাশ্মির ও পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক মিসাইল হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে পাকিস্তান সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়। এ সময় পাকিস্তানের হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, পাকিস্তান তাদের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে। তবে পাকিস্তান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনীতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বন্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। কিন্তু কূটনীতি ব্যর্থ হলে ভারতে পাল্টা হামলা চালানো হবে।

পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাক এ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে শুক্রবার (৯ মে) বলেছেন, ‘পাকিস্তান কূটনীতিকে সুযোগ দিচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, গতকাল ভারত দাবি করেছিল পাকিস্তান তাদের ১৫টি শহরে মিসাইল ছুড়েছে। যা সত্যি নয়। এর মাধ্যমে ভারত ‘হাইপ’ তোলার চেষ্টা করছে বলে দাবি তার।

গতকাল পাকিস্তান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতে পাকিস্তানের মিসাইল হামলার দাবিকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এটি এমন অসাধারণ এবং বানানো গল্প যে। এ নিয়ে আপনারা শুধু হাসতে পারবেন।”

পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ভারতে কোনো মিসাইল বা ড্রোন পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

তবে ভারতের এক সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছিলেন, তাদের নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোটের পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিস্ফোরণের ব্যাপারে জানতে পেরেছে। ওই সময় সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছিল।

পাকিস্তানের সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে, পাকিস্তান যে ভারতে কোনো হামলা চালায়নি সেটি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, সিএনএন

 

মন্তব্য

পাক-ভারত সংঘাত

ইসরায়েল ছাড়া ভারতের পাশে আজ কেউ নেই : পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
৯ মে, ২০২৫ ১৬:১৬
অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ছাড়া ভারতের পাশে আজ কেউ নেই : পাকিস্তান
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, ভারতের পাশে আজ কোনও দেশ নেই, শুধুমাত্র ইসরায়েল ছাড়া। জাতীয় পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ আরও জানান, পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চীন, তুরস্ক ও আজারবাইজান স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

চলমান এই পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান সরকার ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব, চীন ও কাতারের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছে বলেও সংসদকে অবহিত করেন তিনি।

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পুরো পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করেছে। ভারতের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভারত-শাসিত কাশ্মিরের জম্মু, উধমপুর ও পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

যদিও এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। ভারত-শাসিত কাশ্মিরে কোনো হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মিরে রেড অ্যালার্ট জারি করে এবং বেসামরিক প্রশাসন ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করে, যার ফলে রাতে জম্মু ও কাশ্মিরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না এবং মানুষ আতঙ্কিত ছিল।

এছাড়া শুক্রবার সকালেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মিরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

এবার ভারতের ১৫ শহরে একযোগে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

অনলাইন ডেস্ক
৮ মে, ২০২৫ ১৯:১২
অনলাইন ডেস্ক
এবার ভারতের ১৫ শহরে একযোগে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার জানায়, পাকিস্তানের এই হামলার জবাবে ভারত পাল্টা আক্রমণে লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও অন্যান্য ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এবং পাকিস্তানের একাধিক স্থানের সামরিক স্থাপনা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা হামলার জবাবে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারত। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের রাডার ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোন, যা মূলত রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাকিস্তানের পাল্টা হামলা প্রতিরোধে ভারতের ব্ল্যাকআউট ঘোষণা

    অনলাইন ডেস্ক
    ৮ মে, ২০২৫ ১৯:৩
    অনলাইন ডেস্ক
    পাকিস্তানের পাল্টা হামলা প্রতিরোধে ভারতের ব্ল্যাকআউট ঘোষণা

    পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের পাল্টা হামলা ঠেকাতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত। সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে সন্ধারাত থেকে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গুরদাসপুর জেলায় আজ (৮ মে) রাত ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সীমান্তে ভারতীয় প্রতিক্রিয়ার জবাবে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

    ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের লাহোরে স্থাপিত HQ-9 এয়ার ডিফেন্স মিসাইল লাঞ্চারগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরে অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।

    পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, ভারত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের ৬টি এলাকায় মোট ২৪টি আঘাত হেনেছে। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তান এটিকে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ বলছে এবং ভারতের হামলার যথাযথ জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

        

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত