ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ২১:১৬
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করল ভারত

সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের পর পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বার্তাসংস্থা পিটিআই রোববার (৪ মে) জানিয়েছে, জম্মু কাশ্মিরের রামবনের বাগলিহার বাঁধে চেনাব নদীর পানি আটকে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কৃষ্ণগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমে ঝিলাম নদীর পানি আটকানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তোলে ভারত। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

পেহেলগাম হামলার একদিন পর জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের অধীনে হওয়া এ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে আসা তিনটি নদীর নদী পানি পাচ্ছিল পাকিস্তান। তবে চুক্তি বন্ধের পর নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এখন সেটিই করেছে নয়াদিল্লি।

ভারত ইঙ্গিত দিয়ে আসছে পেহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলাও চালানো হবে। আজ রোববারও দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন মোদি।

ভারত সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের পর পাকিস্তান সিমলা চুক্তির বাতিল করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তিটি হয়। এতে বলা হয়, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসন করবে। চুক্তিটি বাতিলের পর দুই দেশের সীমান্তে গত ১০ দিন প্রতি রাতে গোলাগুলি হচ্ছে। তবে গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

মন্তব্য

কাশ্মিরে হামলার ঘটনা মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল: পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৩:২৯
অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মিরে হামলার ঘটনা মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল: পাকিস্তান

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ভারতের মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই মন্তব্য করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পেহেলগামে হওয়া হামলাকে কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে ভারত। একইসঙ্গে এই হামলার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

রোববার (৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর — বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) — মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সূচকগুলো উন্নতির দিকে যাওয়ায় ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

আসিফ আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ভারতের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, পেহেলগাম হামলা ভারতের মোদি সরকার নিজেই সাজিয়েছে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য। তিনি বলেন, “যেকোনও মধ্যস্থতায় পৌঁছানোর আগে পেহেলগাম ঘটনার আসল সত্যতা বের করতে হবে।”

তিনি আরও জানান, পাকিস্তান শিগগিরই সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি সতর্ক করেন, যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উন্মাদনা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। আসিফ বলেন, “পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান ভারতের খারাপ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের এই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

এছাড়া ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করল ভারত, নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক সংঘর্ষ

    অনলাইন ডেস্ক
    ৪ মে, ২০২৫ ১০:৪৭
    অনলাইন ডেস্ক
    পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করল ভারত, নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক সংঘর্ষ

    ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে। তবে ওই পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা।

    এদিকে পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটকের দাবি করার পর কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ শনিবার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে। এ ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন পাকিস্তান গত ২৩ এপ্রিল বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাহুকে আটক করে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে কৃষকদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন সাহু।

    এদিকে আটক হওয়া পাকিস্তানি রেঞ্জারের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের হেফাজতে আছেন।

    ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে ভুল করে পার হওয়া সৈন্যদের ফেরত দেওয়ার একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তান সাহুকে ফেরত দিচ্ছে না, ফলে ভারতও পাকিস্তানি রেঞ্জারের ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

    এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রেঞ্জারকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এটি ১০ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের ধারাবাহিকতার অংশ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মিরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টর জুড়ে এই হামলা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ, যেখানে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি পোস্ট অংশ নেয়। অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিএসএফ সদস্য সাহুর মুক্তির জন্য একাধিক বৈঠক হলেও পাকিস্তান এখনও কোনও সময়সীমা বা অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

    এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

    সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

    এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

    এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

    মন্তব্য

    ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের

    অনলাইন ডেস্ক
    ৩ মে, ২০২৫ ১৬:৫৮
    অনলাইন ডেস্ক
    ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের

    জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মাঝে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। রোববার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থা (এডব্লিউএস) নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ইন্দুস’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

    পাকিস্তান এমন এক সময়ে আবদালি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যখন জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশের এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে ভারত।

    ইসলামাবাদ বলেছে, ‘‘সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও অন্যান্য কারিগরি সক্ষমতা প্রমাণ করাই ছিল এডব্লিউএস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য।’’

    পাকিস্তানের সরকারের এক বিবৃতিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সামরিক বাহিনীর প্রধানরা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সব বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত দক্ষতার বিষয়ে ‘‘পূর্ণ আস্থা’’ প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

    পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত রেখা লাগোয়া এলাকায় দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাঝে গোলাগুলি চলছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে উভয় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী।

    কাশ্মিরে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারা ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু তার দাবির পর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাস্তবে ভারতের হামলার ঘটনা দেখা যায়নি। এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছিলেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত।

    গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার ঘটনার পর হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে। পাশাপাশি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরাল হয়েছে ভারতে।

    কাশ্মিরে দশকের পর দশক ধরে স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। হিমালয় অঞ্চল লাগোয়া ব্যাপক বিতর্কিত এই   ভূখণ্ড নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দু’টি অতীতে দুবার যুদ্ধ করেছে।

    পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তি’ বাতিল ও পাকিস্তানি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা বাতিল করে ভারত। একই সঙ্গে দেশটিতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ভারতের এসব পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও ভারত সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘সিমলা চুক্তি’ বাতিল করে। এই হামলার পর দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ এবং পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    সূত্র: জিও নিউজ

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ভারতের বিপক্ষে চীন সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে : কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন

      অনলাইন ডেস্ক
      ১ মে, ২০২৫ ১৭:৭
      অনলাইন ডেস্ক
      ভারতের বিপক্ষে চীন সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে : কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন
      পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন। ছবি: সংগৃহীত

      পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে নজর রাখছে চীন। এনিয়ে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এবার সব পরিস্থিতিতে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেন পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন।

      বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

      সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লাহোরে চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন বলেছেন, সব পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন। অবশ্য তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়; পাকিস্তান ও ভারতের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শান্তির রাস্তা খোঁজা।

      লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপি কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে।

      ঝাও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অবকাঠামোতে দীর্ঘদিনের। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “চীন পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে; বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে।

      আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। ঝাও বলেন, চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শিকড় গভীরে গাঁথা। তিনি জানান, প্রত্যেক চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে একইরকম ভালোবাসা ও সম্মান দেখায়।

      বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়। দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।

      বৈঠকের শেষ দিকে দুই দেশই চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকবে বলে পুনর্ব্যক্ত করে। ঝাও বলেন, পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী বা মিত্র নয়, চীনের কাছে এক পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কৌশলগত সহযোগিতাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি।

       

      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত