ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ব্লিঙ্কেনকে ‘সেক্রেটারি অব জেনোসাইড’ বললেন প্রতিবাদকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৬:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্লিঙ্কেনকে ‘সেক্রেটারি অব জেনোসাইড’ বললেন প্রতিবাদকারী

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ‘গণহত্যার মন্ত্রী’ বলে প্রতিবাদ জানালেন এক নারী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্লিঙ্কেন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে নারী বিক্ষোভকারী ‘ব্লাডি ব্লিঙ্কেন’, ‘সেক্রেটারি অব জেনোসাইড’, ‘আমরা আপনাকে ক্ষমা করব না’ বলে চিৎকার করেন।

আগামী সপ্তাহে ব্লিঙ্কেনের চার বছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে তিনি তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলেন।

এ সময় ওই নারী চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার উত্তরাধিকার হবে গণহত্যা। আপনি চিরকাল ব্লাডি ব্লিঙ্কেন, গণহত্যার মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত থাকবেন। আপনার হাতে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষের রক্ত লেগে আছে! আমরা ভুলব না, আপনার জন্য লজ্জা।’

এ সময় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি আপনার মতামতকে সম্মান করি। দয়া করে আমারটা বলার সুযোগ দিন। ধন্যবাদ।’

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, আরও দুইবার বাধার মুখে পড়েন ব্লিঙ্কেন। অন্য এক বিক্ষোভকারী তাকে ‘দানব’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি ব্যাপক সমর্থন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ০:৪৭
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

    ব্যাপক সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

    ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে আপনি (স্টারমার) আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেছিলেন। সেই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করার জন্য লাউরি ম্যাগনাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন টিউলিপ। সেইসঙ্গে এও জানান, তিনি (টিউলিপ) তদন্তের স্বার্থে তার বর্তমান ও অতীত আর্থিক এবং বসবাসের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন।

    চিঠিতে টিউলিপ আরও বলেন, ‘আপনি জানেন যে, আমার অনুরোধে তদন্তের পর স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন যে, আমি মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীত্বের নীতিমালা লঙ্ঘন করিনি। তিনি (লাউরি) যেমন উল্লেখ করেছেন, আমি যেসব সম্পত্তির মালিক বা যেখানে বসবাস করেছি- সেসবে কোনোরকম জালিয়াতির প্রমাণ নেই। পাশাপাশি, আমার কোও সম্পদ ‘বৈধ উপায় ব্যতীত অন্য কিছু থেকে প্রাপ্ত’- এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

    পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়গুলো সবাই জানেন উল্লেখ করে টিউলপ আরও লিখেন, আমি যখন মন্ত্রী হয়েছিলাম তখন আমি সরকারকে আমার পরিবার এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছিলাম। সে সময় কর্মকর্তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনার পর তারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ঘোষণাপত্রে আমি যেন আমার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করি এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় এমনকি মন্তব্যও এড়িয়ে চলি। আমি আপনাকে (স্টারমার) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শে কাজ করেছি এবং চালিয়ে যাচ্ছি।’

    শেষে টিউলিপ লিখেন, ‘যাইহোক, এটা স্পষ্ট যে আমার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। লেবার পার্টির প্রতি এবং জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করার যে প্রক্রীয়া সরকার শুরু করেছে- তার প্রতি আমার আনুগত্য আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু এখন আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

    শেষে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পেছন থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চিঠি শেষ করেন টিউলিপ।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ক্ষমতা নেওয়ার আগেই বিশ্ব কূটনীতিতে ঝড় তুলছেন ট্রাম্প

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৯:৪৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ক্ষমতা নেওয়ার আগেই বিশ্ব কূটনীতিতে ঝড় তুলছেন ট্রাম্প

      ডেস্ক রিপোর্ট: ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে ফিরেননি। তবে এরই মধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের উপস্থিতি জোরালোভাবে জানান দিচ্ছেন। পূর্বের মতোই তিনি কূটনৈতিক সৌজন্য উপেক্ষা করে বিতর্কিত মন্তব্য ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা মিত্রদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।

      ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক রাজনীতির অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তার অপ্রত্যাশিত আচরণ এবং আনপ্রেডিক্টেবল কার্যকলাপ তাকে বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রে রেখেছে। ইতোমধ্যেই তিনি দেখিয়েছেন যে তার বক্তব্য এবং কৌশল মিত্রদের বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে তার সমর্থকরা একে ফলাফলমুখী কার্যক্রম হিসেবে দেখছেন।

      গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল

      প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খাল দখলের সম্ভাবনা নিয়ে সামরিক শক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন। গ্রিনল্যান্ড, যা ন্যাটো মিত্র ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অঞ্চল, এবং পানামা খাল, যা ২৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র পানামার কাছে হস্তান্তর করেছিল, এই দুই ক্ষেত্রেই তার বিতর্কিত মন্তব্য উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

      এছাড়া ট্রাম্প কানাডার প্রতি বিদ্রূপ করে বলেছেন, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে না চায়, তবে বাড়তি শুল্কের চাপে পড়তে হবে।

      ‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’-এর পরে

      ২০২০ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, 'আমেরিকা ফিরে এসেছে।' বিদায়ী বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এখন তার মিত্রদের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

      ডেমোক্র্যাটিক নীতিনির্ধারকরা ট্রাম্পের অবস্থানকে 'বিভাজন সৃষ্টিকারী' বলে আখ্যা দিলেও স্বীকার করেছেন যে রাশিয়া ও চীনের মতো শক্তিগুলোর হুমকি মোকাবিলায় তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রাসঙ্গিক।

      ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রগতি

      ট্রাম্পের কূটনৈতিক কার্যক্রম অন্যান্য প্রেসিডেন্টদের তুলনায় ভিন্ন। গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কাতারের আমির ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত এবং বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

      তবে কিছু ক্ষেত্রে ট্রাম্প ঐতিহ্যবাহী পথেও হাঁটবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে রিপাবলিকানদের মূলধারার নেতাদের মধ্যে ধরা হয়। তারা নিরাপত্তাভিত্তিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন এবং বিশেষত লাতিন আমেরিকায় বামপন্থীদের মোকাবিলায় আরও সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

      ইউক্রেন সংকট ও সম্ভাবনা

      ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের দল ইতোমধ্যেই কূটনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে শক্তিশালী করে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার একটি পথ তৈরি করা হবে।

      ইতালির পররাষ্ট্র কমিটির চেয়ার লিয়া কোয়ারতাপেলের মতে, ইউক্রেন ইস্যুতে রিপাবলিকানদের সঙ্গে আলোচনায় অপ্রত্যাশিত ইতিবাচকতা দেখা গেছে। তিনি বলেন, 'আমরা একটি কঠিন আলোচনা প্রত্যাশা করেছিলাম, কিন্তু রিপাবলিকানদের কাছ থেকে সহযোগিতার ইচ্ছা লক্ষ্য করেছি, যা আমাদের আশাবাদী করেছে।'

      জলবায়ু পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের অবস্থান

      ট্রাম্পের আগের প্রশাসন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কি এই নীতিতে পরিবর্তন আনবেন, নাকি আরও কঠোর অবস্থান নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন, তখন তার প্রশাসনের অগ্রাধিকার কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

      মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ভূমিকা

      মধ্যপ্রাচ্যে ইরান পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়টি ট্রাম্প আবার সামনে আনবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা কেমন হবে, তা সবার নজর কাড়ার মতো একটি বিষয়।

      বাণিজ্য ও অর্থনীতি

      ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সঙ্গে ফের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। আমেরিকার অর্থনীতিকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করতে এবং মিত্রদের ওপর চাপ বাড়াতে তিনি শুল্কের ব্যবহারে আরও সক্রিয় হবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

      ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অপ্রত্যাশিত নেতৃত্ব ও বিতর্কসৃষ্টিকারী কৌশলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছেন। তার সমর্থকদের মতে, এই পদ্ধতি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে কার্যকর হবে। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা, তার কর্মকাণ্ড মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ককে দুর্বল করে তুলতে পারে। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের এই অগ্রযাত্রা বিশ্ব রাজনীতির চিত্রকে নতুন রূপ দিতে পারে।

      বাসস

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে ছড়ানো হচ্ছে ‘পিঙ্ক পাউডার’, কিন্তু কেন?

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৫:৫২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে ছড়ানো হচ্ছে ‘পিঙ্ক পাউডার’, কিন্তু কেন?

        ডেস্ক রিপোর্ট: ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস পুড়ছে আগুনে। ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে একটি উজ্জ্বল গোলাপী পাউডার ব্যবহার করা হচ্ছে যেটির নাম ফস-চেক। বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হচ্ছে এই অগ্নি প্রতিরোধক। গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজারো গ্যালন লাল-গোলাপি গুঁড়া উড়োজাহাজ থেকে ছিটানো হয়েছে।

        মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।

        প্রতিবেদনে বলা হয়, ফস-চেক মূলত আগুনের গতি কমিয়ে দেয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে অনেকাংশে রক্ষা করে।

        দাবানলের বিস্তার রোধে অগ্নিপ্রতিরোধক সাধারণত দাবানলের আশেপাশে আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্প্রে করা হয়। তবে স্প্রে করার পর গোলাপী অগ্নিপ্রতিরোধক শহরটিতেও তার ছাপ রেখে গেছে।

        আগুনে ভস্মীভূত শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িঘর ও যানবাহন এখন প্রাণবন্ত রঙে রঞ্জিত। মূলত ‘পিঙ্ক কালার’ আগুনের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভয়াবহ যুদ্ধের স্পষ্ট স্মারক হিসেবে কাজ করে।

        অগ্নি প্রতিরোধক হল ফস-চেক নামক পণ্যটি ‘পেরিমিটার’ নামক একটি কোম্পানি বিক্রি করে। এর আগে, ১৯৬৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল মোকাবেলায় এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

        ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ কর্তৃক ব্যবহৃত প্রধান দীর্ঘমেয়াদী অগ্নি প্রতিরোধক এটি। ২০২২ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অগ্নি প্রতিরোধকও।

        গত সপ্তাহে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, যানবাহন ও ড্রাইভওয়েতে গোলাপী পাউডারের মতো পদার্থের ছবি দেখা গেছে।

        তবে ফস-চেক তৈরি করা কোম্পানি পেরিমিটার নিরাপদে পাউডার পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। বলা হয়েছে, ‘অগ্নি প্রতিরোধক যত বেশি সময় থাকবে তত বেশি শুকিয়ে যাবে। এমন হলে সম্পূর্ণরূপে রঙ অপসারণ করা বেশি কঠিন হবে।’

        কোম্পানিটি বলেছে, রঙ অপসারণে গরম পানি এবং হালকা ডিটারজেন্ট কার্যকর। তবে বড় আকারের জায়গা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রেসার ওয়াশার ব্যবহার করা যেতে পারে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          কুম্ভমেলা থেকে কত আয় করবে ভারত সরকার?

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৪:১২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          কুম্ভমেলা থেকে কত আয় করবে ভারত সরকার?

          ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতে উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে ৪৪ দিনব্যাপী কুম্ভমেলা। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মেলার শুরুর দিনেই ৫০ লাখের বেশি মানুষ এসেছেন কুম্ভমেলায়।

          সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী— তিন নদীর সংযোগস্থলে ডুব দিতে দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ আসছেন প্রয়াগরাজে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া মকর সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে স্নান করতে ব্যাপক ভিড় সেখানে।

          জানা গেছে, সোমবার শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, শিবরাত্রির দিনে। অনেকের মতে, ৪৪ দিনের মহাকুম্ভে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভাণ্ডারে কোটি কোটি টাকা ঢুকবে। এ মেলা থেকেই যোগী আদিত্যনাথের সরকার আয় করতে পারে দুই লাখ কোটি টাকা।

          প্রশাসনের একটা বড় অংশের ধারণা, এবারের মহাকুম্ভে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর ভিড় হবে। প্রত্যেকে যদি পাঁচ হাজার টাকা করেও খরচ করেন, তবে দুই লাখ কোটি টাকার হিসাবে পৌঁছনো যাবে।

          সূত্রের খবর, পুণ্যার্থী পিছু ১০ হাজার টাকা করে আয় হতে পারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। সেক্ষেত্রে মোট আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী অনেকে।

          উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানান, ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভ রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ছাপ রেখেছিল। সেসময় সরকার আয় করেছিল এক লাখ কোটি টাকার বেশি। সেবার প্রায় ২৪ কোটি মানুষ ভিড় করেছিলেন প্রয়াগরাজে।

          তিনি জানান, এবারের মেলায় আয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত