ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।

বুধবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যরাতে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে উত্তেজনায় পূর্ণ জনতার সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    মার্কিন নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন?

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৩
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    মার্কিন নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন?

    ডেস্ক রিপোর্ট: আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দেশটিতে ইতোমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল কবে জানা যাবে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে অনেকের মাঝে।

    মার্কিন ফেডারেল নির্বাচন ঐতিহ্যগতভাবে নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে এ তারিখ নির্ধারিত হয়। মূলত, রাজ্যগুলোতে বিভিন্ন দিনে নির্বাচন হতো। কিন্তু ১৮৪৫ সালে দেশব্যাপী একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি আইন পাস করা হয়।

    এ তারিখটি নভেম্বরের গোড়ার দিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি সেই সময়ে প্রধানত কৃষি সমাজের জন্য উপযোগী ছিল—ফসল কাটার পরেও ভ্রমণ-উপযোগী আবহাওয়ার কারণে।

    বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে ভোটদান শুরু হবে। বাংলাদেশের স্থনীয় সময় অনুযায়ী এটি হবে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রগুলো রাজ্য ও কাউন্টির ওপর নির্ভর করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে এবং শেষ ভোট বুধবার দিবাগত রাত ১টায় শেষ হবে৷

    সাধারণ নিয়ম হলো, যতো পশ্চিমে যাওয়া হবে, সময় অঞ্চলের পার্থক্যের কারণে দেরিতে ভোট বন্ধ হবে। সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে গেলেও আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিচ্ছেন।

    ভোট শেষ হওয়ার পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে গণনা শুরু হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। ২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন।

    কিন্তু অনেক সময় ফলাফল জানতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়। যেমন, ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরে জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী সাত রাজ্য-অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, উত্তর ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ফলাফলের জন্য পরদিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

    করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভোট গণনায় অতিরিক্ত সময়ের দরকার হয়েছিল ওই সময়। এছাড়া ডাকযোগে দেওয়া ভোট গণনা করার জন্য নির্বাচনের ফল জানতে আরও তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

    অন্যান্য সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোটারদের অপেক্ষা অনেক কম হয়েছে। ২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প জয়ী হন, নির্বাচনের পরদিন পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় তিনটার কিছুক্ষণ আগে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

    ২০১২ সালে, যখন বারাক ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেন, তখন ভোটের দিনই মধ্যরাতের আগে তার বিজয় অনুমান করা হয়েছিল। তবে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে ২০০০ সালের নির্বাচন একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছিল।

    সেই বছর ৭ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ফ্লোরিডা রাজ্যের ভোট পুনঃগণনা প্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে ভোাশ দেয়। নির্বাচনে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জীবনের কঠিন পরীক্ষায় ট্রাম্প: জিতলে হোয়াইট হাউস, হারলে কারাগার

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      জীবনের কঠিন পরীক্ষায় ট্রাম্প: জিতলে হোয়াইট হাউস, হারলে কারাগার

      ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য শুধুই একটি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা নয়; বরং এটি একটি অগ্নিপরীক্ষা, যেখানে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। জয়ী হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম অপরাধমূলক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ইতিহাস রচনা করবেন। আর পরাজয় তাকে এনে দিতে পারে কারাগারের কড়া শিকল। প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে কি তিনি নেতৃত্ব দিতে পারবেন, না কি আইনি জটিলতার পাহাড়ে চূর্ণ হয়ে যাবেন?

      ঐতিহাসিক উত্তরণ না কি পতনের কিনারায়?

      যদি ট্রাম্প নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে এটি হবে এক অভূতপূর্ব ঘটনা এক অপরাধমূলক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হোয়াইট হাউসের কর্তা হয়ে ফিরবেন। তবে পরাজয় হলে তার জন্য অপেক্ষা করছে আইনি ঝড়, যা তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৬-২০২০ সালের তার প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থায় দুবার অভিশংসনের সম্মুখীন হন তিনি। প্রথমবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগে, দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলায় উসকানির দায়ে।

      পলাতক নায়ক না কি নতুন দণ্ডের সম্মুখীন?

      ট্রাম্পের জীবনীকার গয়েন্ডা ব্লেয়ার এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প নিজেকে এমন একজন হিসেবে গড়ে তুলেছেন যিনি সব প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এবার তার জন্য পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্লেয়ারের কথায়, ‘এবার তার সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পরিণতি। কারাবাস থেকে শুরু করে সম্পদ হারানোর শঙ্কা। এমনকি জয় বা পরাজয় যাই হোক না কেন, তাকে শারীরিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’

      নির্বাচনে জিতলে ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপ হবে বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করা, যিনি তার বিরুদ্ধে দুইটি গুরুতর ফেডারেল মামলার তত্ত্বাবধান করছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা চলছে, যা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ।

      ট্রাম্পের প্রধান আইনি চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য প্রভাব

      স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ‘হাশ মানি’ মামলা : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ‘হাশ মানি’ (‘হাশ মানি’ এমন একটি টাকা, যা কাউকে দেওয়া হয় কোনো গোপনীয় বা অপ্রীতিকর তথ্য প্রকাশ না করার বিনিময়ে) প্রদানের জন্য ব্যবসায়িক জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ২৬ নভেম্বর তার দণ্ডাদেশ ঘোষণা হবে। নির্বাচনে জয় পেলে তার আপিলের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।

      জাতীয় নির্বাচন হস্তক্ষেপ মামলা : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। জয়ী হলে এই মামলা খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

      জর্জিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ মামলা : জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টিতে নির্বাচনী প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত। পরাজিত হলে তার বিচারের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে, কিন্তু জয় পেলে এই মামলায় বিলম্ব ঘটতে পারে।

      গোপন নথিসংক্রান্ত মামলা: প্রেসিডেন্সির শেষে গোপনীয় নথি সংরক্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান। নির্বাচনে জয়ী হলে বিশেষ কৌঁসুলির অফিস বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মামলা থেকে ট্রাম্পের মুক্তি নিশ্চিত নয়।

      আইন অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, তবে নির্বাচিত হলেও তার ক্ষমতা সীমিত হতে পারে। ২৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাকে অক্ষম প্রমাণ করে ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যেতে পারে। এছাড়া, নির্বাচনে জয় তার অনেক মামলা খারিজের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, তবে সব আইনি ঝামেলা থেকে ট্রাম্পের মুক্তি পাওয়া অনিশ্চিত।

      ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সংগ্রাম হতে চলেছে এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একদিকে প্রেসিডেন্সির মুকুট, অন্যদিকে কারাগারের শেকল—এই দ্বন্দ্বে কে জিতবে? সময়ই তা বলে দেবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ‘কমলা হ্যারিস তুমি বরখাস্ত’, নির্বাচনের আগের বার্তায় ট্রাম্প

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ‘কমলা হ্যারিস তুমি বরখাস্ত’, নির্বাচনের আগের বার্তায় ট্রাম্প

        ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন আজ। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে। সামাজিকমাধ্যমে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

        সোমবার রাতে ট্রাম্প একটি ভিডিও শেয়ার করেন এক্সে (সাবেক টুইটার)। সেখানে তিনি লেখেন, আজ গ্যাস্টনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনাতে তিনটি সুন্দর সমাবেশে করেছি, তারপর স্যালেম, ভার্জিনিয়া এবং আজ রাতে গ্রিনসবোরো, নর্থ ক্যারোলাইনা সমাবেশে করেছি।

        তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কমলাকে বলুন- তোমরা যথেষ্ট দেখিয়েছ, কমলা হ্যারিস, তুমি চাকরি থেকে বরখাস্ত।

        রোববার ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, তিনি শক্ত অবস্থানে আছেন এবং ভোটারদের নির্বাচন দিবসে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন।

        তিনি আরও বলেন, যখন তুমি অনেক এগিয়ে থাক, তবুও একটু পিছিয়ে গেলে হারতে পারে। আমরা নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্য হারাতে পারি না, আমরা নর্থ ক্যারোলাইনা হারাব না।

        গ্যাস্টনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, আমরা সাধারণ শহরগুলোতে হারতে পারি।

        এর আগে ট্রাম্প বলেন, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আমেরিকায় নেতৃত্বের নতুন ধারা শুরু হবে। ডেট্রয়েটের গ্রেটার ইমানুয়েল ইনস্টিটিউশনাল চার্চ অব গড ইন ক্রাইস্ট-এর প্যারিশনারদের কমলা বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তাকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে গেলে আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে। আমরা যেন সেই পরিকল্পনা মতো কাজ করি। গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য আমরা যেন কাজ করি।’

        তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমরা আমাদের জাতির ভাগ্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করব। সেজন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই শুধু প্রার্থনা করা যথেষ্ট নয়, শুধু কথা বলাও যথেষ্ট নয়। কমলা বলেন, ‘মঙ্গলবার যে নির্বাচন হবে, তাতে বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণাকে রোধ করার একটি সুযোগ আছে।’ তিনি সামাজিকমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি মেইল ইন বা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। তার সেই ব্যালট এখন ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে যাচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আপনাদের স্বরই আপনাদের ভোট, আপনাদের ভোট মানে আপনাদের ক্ষমতা।’

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে আমি প্রস্তুত: ফিলাডেলফিয়ায় শেষ ভাষণে কমলা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:২৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে আমি প্রস্তুত: ফিলাডেলফিয়ায় শেষ ভাষণে কমলা

          আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আগামী বিশ্ব কেমন হবে, কোন দিকে যাবে- তা নির্ধারণে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বাভাবিক কারণেই মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।

          এদিকে ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে জয়ী হতে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। শেষ সময়ে এসে ভোটারদের নিজের শিবিরে ভেড়াতে মরিয়া ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস।

          এবারের নির্বাচনের সর্বশেষ প্রচারণায় অংশ নিতে ফিলাডেলফিয়ার মঞ্চে বক্তৃতা করেন তিনি। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তুত আছেন তিনি।

          বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য শেষ বক্তৃতার শুরুতেই কমলা তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘আমেরিকাকে দেখার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের প্রচারাভিযান আমেরিকার জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের সাথে যুক্ত হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবং আমরা একসাথে যা করতে পারি তা নিয়ে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।’

          যুক্তরাষ্ট্রে দশকের পর দশক ধরে চলা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক সময়ের দ্বারপ্রান্তে আছেন কমলা হ্যারিস। যদি তিনি নির্বাচিত হন তাহলে এবারই প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে আমেরিকার জনগণ। এর আগে ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইলেক্টোরাল ভোটে পরাজিত হন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তার পর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই লড়াই করছেন আরেক ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস।

          তিনি এবার এই আশা করছেন যে, আমেরিকার জনগণ এবার তাকে নির্বাচিত করে এক নয়া ইতিহাসের দ্বার উন্মোচন করবে। কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক দশকের রাজনীতির পাতা উল্টানোর এক বিশাল সুযোগের কাছাকাছি রয়েছে আমেরিকার জনগণ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা মনে করেন, তাকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ইতি টানবে জনগণ।

          যুক্তরাষ্ট্রে মোট ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হয়। এই ভোট ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে গণনা করা হবে। সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে পাকাপাকিভাবে হোয়াইট হাউসে বসবেন ট্রাম্প কিংবা কমলা।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত