আগুন নিয়ে খেলছে ইসরাইল

ইসরাইল আগুন নিয়ে খেলছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, আগের দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দামেস্কের কাছে এবং আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরাইলি হামলার পর তেল আবিবকে নিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
হামলার ফলে শুধুমাত্র বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে।
এছাড়া সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানীর চারপাশে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলেও সানার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়ে।
অবশ্য ওই দাবির ব্যাপারে ইসরাইলের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
বেশ কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। ইরান-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবন্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে দেশটি। সিরিয়ায় লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরান সমর্থিত বাহিনী আসাদ সরকারকে বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য মোতায়েন করেছে।
ইউক্রেনকে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার অস্ত্র এবং মেডিকেল ট্রাসপোর্ট যানবাহন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারের সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত যে সহযোগিতা করা হয়েছে তার মধ্যে এটিও অন্যতম বড় সহযোগিতা হতে যাচ্ছে। তিনটি সূত্র থেকে রয়টার্সকে এমনটাই জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে।
রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনকে প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের সামরিক সহযোগিতা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানায়, এ প্যাকেজে এখনও স্বাক্ষর করেননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে স্বাক্ষর করার আগে প্যাকেজের দামে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
তবে ইউক্রেনকে যে নতুন সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার আর্থিক মূল্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের টাকার নিচে হবে না। এ সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে- উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মোবিলিটি আর্টিলাটি রকেট সিস্টেম, ন্যাশনাল অ্যাডভান্স সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম এবং ৫০এম১১৩ মডেলের মেডিকেল সাজোয়া যান।
সম্প্রতি পেন্টাগন জানিয়েছে জার্মানির পাশে থাকা যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা নিতে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব, বাংলাদেশকে সতর্ক হতে হবে

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প চীন থেকে কাঁচামাল ও কারখানার সরঞ্জাম সহজলভ্য দামে সংগ্রহ করে। আর বেশিরভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ধনী দেশে রফতানি করা হয়। সম্প্রতি দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে চীন থেকে তুলা আমদানির ঝুঁকির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তার ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে সতর্ক করে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
গোটা বিষয়টি দেশের রফতানি খাতকে কিছুটা অস্থিতিশীল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাবেক কূটনীতিকরা। তাদের মতে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে এ বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে সাবেক এক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যে টেনশন ছিল, সেটি দ্বন্দ্বে উপনীত হয়েছে। এর প্রভাব সব জায়গায় পড়ছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়।
ভূ-রাজনীতি ও বাণিজ্যের সম্পর্ক অনেক পুরনো। এ দুটিকে আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাজনীতি ও বাণিজ্য উভয়ই ভূমিকা রাখে। তবে কোনটি কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটি স্থিতিশীলতাসহ অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।’
বৃহৎ দুই শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্বের পরিধি ও মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর সরকার সবার সঙ্গে কথা বলে জাতীয় স্বার্থ নির্ধারণ করে এবং সেটি বজায় রাখার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে সরকারকে।
চীনে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে বলেন, দুই শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব না থাকলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এটি আছে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে কোনও কিছু বলার ক্ষেত্রে সতর্ক করে তিনি বলেন, যেকোনও প্রকাশ্য মন্তব্য কাউকে খুশি করবে এবং কাউকে অখুশি করবে। সেজন্য প্রকাশ্য মন্তব্য পরিহার করা দরকার।
জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ভারসাম্য নীতির অনুসরণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে ভাবনা— উভয় থেকেই বাংলাদেশের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে গ্রহণ করলে ভারসাম্যে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
ভারসাম্য নীতি কী হবে সেটি সরকারকে নির্ধারণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, আঞ্চলিক শক্তিসহ সবার সঙ্গে আলোচনার কোনও বিকল্প নেই।’
পাকিস্তানে কাগজ সংকট, শিক্ষার্থীদের নতুন বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি বড় ধরনের কাগজ সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। সংকট এতোটাই চরমে পৌঁছেছে যে, কাগজ সংকটের কারণে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করেছে পাকিস্তান পেপার অ্যাসোসিয়েশন।
অর্থাৎ নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের নতুন বই পাওয়া কার্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। শুক্রবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, কাগজ সংকটের কারণ বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হলেও পাকিস্তানে বর্তমান কাগজের সংকট দেশটির সরকারের ভুল নীতি এবং স্থানীয় কাগজ শিল্পের একচেটিয়া আধিপত্যের কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রি (পিএপিজিএআই) এবং কাগজ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থা দেশটির শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ড. কায়সার বাঙ্গালীর সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে তারা সতর্ক করে বলেন, কাগজ সংকটের কারণে আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই পৌঁছানো যাবে না।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশে কাগজের তীব্র সংকট চলছে। এছাড়া কাগজের দাম আকাশচুম্বী হয়ে এতোটাই দামি হয়ে উঠেছে দিন দিন এর দাম আরও বাড়ছে। এমনকি প্রকাশকরাও তাদের বইয়ের দাম নির্ধারণ করতে পারছেন না। আর এই কারণে সিন্ধ, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নতুন শিক্ষাবর্ষ উপলক্ষে পাঠ্যপুস্তক ছাপতে পারবে না।
এদিকে পাকিস্তানের একজন কলামিস্ট দেশের ‘অযোগ্য এবং ব্যর্থ শাসকদের’ কাছে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার প্রশ্ন, তারা কীভাবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবেন যখন ইসলামাবাদ আগের ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন করে ঋণ নেওয়ার দুষ্ট চক্রে আটকা পড়েছে।
পাকিস্তানি ওই কলামিস্টের নাম আয়াজ আমির। তিনি পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দুনিয়া ডেইলিতে লেখা একটি কলামে বলেছেন, ‘আমরা আইয়ুব খান (পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট), ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং মোহাম্মদ জিয়া-উল-হকের শাসন দেখেছি। এসব স্বৈরশাসক এবং তাদের সরকারের মধ্যে একটি জিনিসের মিল ছিল। আর তা হলো- সমস্যা সমাধানের জন্য ঋণ নেওয়া এবং এরপর আগের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ঋণ নেওয়া।’
তিনি বলছেন, ঋণ নেওয়ার এই নেভার এন্ডিং (কখনও শেষ না হওয়া) চক্রটি এখনও চলছে এবং পাকিস্তান এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে কেউই আর দেশটিকে আর ঋণ দিতে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে একই সংকট দেখা গিয়েছিল শ্রীলঙ্কাতেও। সেখানেও কাগজের সংকটের কারণেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এমনকি ছাপানো বন্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে খাদ্য, জ্বালানি এবং অর্থায়ন বিষয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্লাটফর্মে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানোয় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ দেন। প্রধানমন্ত্রী এ আমন্ত্রণ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন।
একই প্ল্যাটফর্মে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট, বার্বাডোস ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অন্য নেতাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী উল্লেখ করে গ্রুপটির লক্ষ্য পূরণে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
গ্রুপটির উদ্দেশ্যে পূরণে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির পর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য, জ্বালানি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অবদান রাখতে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে তার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন, জলবায়ু ইস্যু ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান।
জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থায়ন বিষয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স’ গ্রুপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে একজন ‘শেরপা’ (প্রতিনিধি) মনোনীত করতে অনুরোধ করেন।
মন্তব্য