ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাবার সাথে কুলির কাজ করা ছেলেটি আজ ৩৪০ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের মালিক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাবার সাথে কুলির কাজ করা ছেলেটি আজ ৩৪০ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের মালিক!

স্কুল থেকে ফিরে বাবার সঙ্গে কুলির কাজে হাত লাগাতো ছোট্ট মুস্তাফা। স্কুলব্যাগ নামিয়ে পিঠে তুলে নিতে হতো ভারী কাঠের বাক্স। এদিকে সন্ধ্যাবেলায় পড়তে বসলেই আসতে ঘুম। ক্লাস সিক্সে ফেল করেছিলেন আজকের এই ‘ব্রেকফাস্ট কিং’। আজ মুস্তাফার প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ৩০০ কোটি রুপি আয় করে থাকে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪০ কোটি টাকা।

একটি খাবারের প্রতিষ্ঠানের মালিক মুস্তাফা। তার প্রতিষ্ঠান ভারতীয়দের প্রাতঃরাশ এবং জলখাবার; ইডলি-দোসার উপকরণ প্রস্তুত করে থাকে। শুরুর দিকে এলাকায় দিনে ৫০ প্যাকেট উপকরণ বিক্রি করতেন তারা। এখন প্রতিদিন গোটা ভারতে কয়েক হাজার প্যাকেট সরবরাহ করে মুস্তাফার প্রতিষ্ঠান।

আরো পড়ুনঃ কিউএস র‌্যাঙ্কিং : সেরা ৬০০-তে স্থান পেলো ঢাবি

তবে কুলির ছেলে মুস্তাফার এই সাফল্য খুব সহজে আসেনি। কঠোর পরিশ্রম, তার সঙ্গে সঠিক সুযোগ আর তাৎপর্যপূর্ণ কিছু করার ইচ্ছাও তাকে এগিয়ে যেতে আর এই জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন তিনি। আজ দেশটির বহু মানুষ তার সংস্থার তৈরি প্রাতঃরাশ দিয়েই দিন শুরু করেন।

তবে একটা সময় ছিল যখন প্রাতঃরাশ তো দুরে থাক, দিনের এক বেলাও খাবার জুটত না মুস্তাফারদের। এমনও হয়েছে অভুক্ত অবস্থায় রাতে ঘুমিয়েছেন পরিবারের প্রত্যেকে। বাবা কফির বাগানে কুলির কাজ করতেন। আর মা ছিলেন নিরক্ষর। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য বাবাকে কুলির কাজে সাহায্য করতে হতো মুস্তাফাকেই। যদি তাতে কিছু অতিরিক্ত টাকা হাতে আসে এই উদ্দেশ্যে।

মুস্তাফা বলেন, কোনও বাবা-মা চাইবেন না তাদের সন্তান পড়াশোনা বাদ দিয়ে কুলির কাজ করুক। কিন্তু তার পরিবারের অন্য কোনও বিকল্প ছিল না। টিকে থাকার জন্য এছাড়া আর অন্য কোনও উপায় ছিল না তাদের হাতে। ক্লাস সিক্সে ফেল করার পর মুস্তাফার মনে হয়, এভাবে পড়াশোনার ক্ষতি করা যাবে না। প্রয়োজনে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

কঠোর পরিশ্রমেই সাফল্য আসতে শুরু করে। পাঁচ বছর পর ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন মুস্তাফা। পড়াশোনার পাশাপাশি তখনও চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। তবে ক্লাস টেনের সাফল্য বেশ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল মুস্তাফাকে। এভাবেই দ্বাদশের গণ্ডি পেরিয়ে এনআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। চাকরি পান একটি বহুজাতিক সংস্থাতেও।

আরো পড়ুনঃ মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী নাজমুল

বন্ধুর এই পথ এখান থেকে সমান্তরাল হতেই পারত। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি, বড় বেতন নিয়ে স্থায়ী, স্বচ্ছন্দ আর নিশ্চিন্ত জীবন কাটাতে পারতেন মুস্তাফা। তাছাড়া ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যের একাধিক সংস্থায় কাজ করে কিছুটা স্বচ্ছন্দ হতে শুরুও করেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না মুস্তাফা।

বরাবর দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাইছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশে ফিরে আসেন মুস্তফা। ২০০৫ সালে সাড়ে পাঁচশ’ বর্গফুট একটি অফিসে শুরু হয় তার ব্যবসা। শুরুতে পাঁচ হাজার কেজি চাল থেকে ১৫ হাজার কেজি ইডলির উপকরণ তৈরি করেছিল মুস্তাফার প্রতিষ্ঠান। এখন তারা দেশের সমস্ত বড় শহরে নিয়মিত এর চার গুণ বেশি উপকরণ সরবরাহ করেন।

১০ বছরের মধ্যে বছরে ১০০ কোটি করে আয় করতে শুরু করে মুস্তাফার ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’। যা পরের বছরই বেড়ে দাঁড়ায় ১৮২ কোটিতে। এখনও পর্যন্ত বার্ষিক আয় কখনও নিম্নমুখী হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শেষ আর্থিক বছরে ২৯৪ কোটি টাকা আয় করেছে মুস্তাফার প্রতিষ্ঠান, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩৮ কোটির থেকে ২৩.৫ শতাংশ বেশি।

তার উত্তরণের এই কাহিনী জানতে এখন আগ্রহী অনেকেই। জাতিসংঘে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুস্তাফাকে। বছর খানেক আগে জাতীয় স্তরের একটি সংবাদ সংস্থা দেশের প্রথম ১০ ‘সেল্ফ মেড ম্যান’-এর একটি তালিকা তৈরি করেছিল।

‘সেল্ফ মেড’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সমাজের কাছে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা একজন মানুষ। সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন মুস্তাফা। তবে মুস্তাফা সবাইকে নিয়ে উন্নতির পথে যাওয়ায় বিশ্বাসী। মুস্তফা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। কর্মসংস্থান করতে চেয়েছিলেন। মুস্তাফার প্রতিষ্ঠানে এখন কাজ করেন গ্রামীণ ভারতের হাজারেরও বেশি তরুণ।

আরো পড়ুনঃ মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ছয় অংকের ডিজিটে

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    আসছে মাইক্রোসটের নতুন চমক, পিসির কার্যক্ষমতা বাড়বে বহুগুণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৩৮
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    আসছে মাইক্রোসটের নতুন চমক, পিসির কার্যক্ষমতা বাড়বে বহুগুণ

    মাইক্রোসফট সম্পূরর্ন নতুন একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ করছে। অ্যাপটি ব্যবহারে বাড়বে পিসির কার্যক্ষমতা। এটি ব্যবহার করে পিসির সিস্টেম বুস্ট করা যাবে। ফলশ্রুতিতে দ্রুত সময়ে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা আগের চেয়ে বাড়বে।

    বর্তমানে অবস্থায় এই ক্লিনআপ অ্যাপটি বেটা ভার্সনে রয়েছে। এই ক্লিনআপ অ্যাপ ছাড়াও মাইক্রোসফট বর্তমানে কয়েকটি অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

    বিজ্ঞান বিষয়ক গণমাধ্যম দি ভার্জ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটে নতুন অ্যাপটির বিষয়ে চীনা ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে অ্যাপটির নাম দেখানো হয়েছে পিসি ম্যানেজার হিসাবে। যা খুব তাড়াতড়ি উইন্ডোজ ১০ বা এর ওপরের ভার্সনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ক্লিনআপ অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী উইন্ডোজকে পূর্বের তুলনায় আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও এটির মাধ্যমে সিস্টেম স্টোরেজ স্পেস, লার্জ ফাইল ম্যানেজ এমনকি কম্পিউটারের স্টোরেজ স্পেস ‌‌‘ফ্রি আপ’ করা সম্ভব হবে। ব্যবহারকারীরা যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মতোই পিসির পারফরমেন্সও বুস্ট করতে পারবেন খুব সহজেই।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ৪৩তম বিসিএস কারিগরি ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষা শুরু সোমবার, পিএসসির নির্দেশনা

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:১৮
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৪৩তম বিসিএস কারিগরি ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষা শুরু সোমবার, পিএসসির নির্দেশনা

      ৪৩তম বিসিএসের কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

      পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা সোমবার শুরু হয়ে চলবে বুধবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

      ইসলামী শিক্ষা ও আরবি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকা কেন্দ্রে (পিএসসির ৭১ মিলনায়তন হল) অনুষ্ঠিত হবে। অন্য বিষয়গুলোর পরীক্ষা সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের কম পেলে তা মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে না।

      বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, অলংকার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই দিন পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ সামগ্রী না আনতে নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি।

      লিখিত পরীক্ষায় যেসব নির্দেশনা মানতে হবে

      ১. পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

      ২. পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।

      ৩. পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হবে। খুদে বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

      ৪. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

      পরীক্ষার হলে যদি এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

      এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নিম্নমানের কারিগরি স্কুল-কলেজ চিহ্নিত করছে বোর্ড

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৯:৫৬
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        নিম্নমানের কারিগরি স্কুল-কলেজ চিহ্নিত করছে বোর্ড

        দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে বেসরকারি ডিপ্লোম-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। হাতেগোনা কিছু ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থাকলেও অনেকে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

        এসব প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে তাদের তালিকা সংগ্রহ করছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

        বোর্ড থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ৫ শতাধিক বেসরকারি ডিপ্লোমা ও ৫৪টি সরকারি ডিপ্লোমা কলেজ রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার কী অবস্থা তা নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

        নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত বেসরকারি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬টি প্যারামিটারের (সূচকে) ভিত্তিতে এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগারিতে বিন্যস্ত করার লক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনলাইনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

        এতে আরও বলা হয়েছে, এসব তথ্য ছক আকারে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অফিস সময়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পুরণ ও প্রমাণসহ প্রিন্ট কপি না পাঠালে সেসব প্রতিষ্ঠানকে ডি ক্যাটাগরিভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

        এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ জামান রোববার বলেন, বেসরকারি অনেক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেকের অবকাঠামো নেই, ল্যাব নেই, শিক্ষার্থী কম, নিয়মিত ক্লাস হয় না, ভালো মানের শিক্ষক ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। এ কারণে কার কী অবস্থা সেটি চিহ্নিত করতে আমরা সবাইকে নিজ নিজ তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছি। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

        তিনি আরও বলেন, বেসরকারি কারিগরি ডিপ্লোমা কলেজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্ণয় করলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকবে। সেটি দেখে অন্যরা ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

          শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার রূপকল্প ২০৪১ এর মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ নির্ধারণ করেছে। এই সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় দেশের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শিক্ষিত ডিগ্রিধারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

          বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

          কারিগরি শিক্ষায় এনরোলম্যান্ট বৃদ্ধির এই মহাপরিকল্পনা করায় সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেন ইউ প্রতিনিধি।

          ইউ প্রতিনিধিদের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেওয়ার আগে ২০০৯ সালে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট ছিলো ১ শতাংশ। ক্ষমতায় আসার পর টার্গেট নেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২০ শতাংশ নিশ্চিত করার। তখন এটাকে উচ্চাভিলাসী মনে করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনরোলমেন্ট হয়েছে ১৭ শতাংশের বেশি। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে কারিগরিত ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্ট করতে।

          শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মাইন্ডসেট চেঞ্জ করে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অনেকে মনে করে কারিগরিতে কম মেধাবীরা পড়াশোনা করে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।

          দেশে প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১৬টি শতবর্ষী অনার্স কলেজ রয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেড়শ বছরেরও পুরাতন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনার্স-মাস্টার্স চালু রেখে অন্যান্য কলেজগুলোতে ডিগ্রি কোর্স করানো হবে। ডিগ্রি কোর্সের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি ট্রেড পড়ানো হবে।

          তিনি বলেন, এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনেকে মনে করছেন শিক্ষকদের চাকরি থাকবে না। আসলে তা নয়, কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেড কোর্স পাড়ানো হবে। শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি কলেজগুলোতে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমাও করতে পারবে।

          শিক্ষামন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে জানান, নতুন জাতীয় করিকুলাম করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত (মাধ্যমিক) কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত