বাঙলা কলেজ সিঙ্গেল সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন

সাঈদ মঈন, সরকারি বাঙলা কলেজ: ‘সিঙ্গেল শক্তি, সিঙ্গেল মুক্তি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজ সিঙ্গেল সোসাইটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কলেজের সিঙ্গেল সোসাইটির সদস্যদের সর্বসম্মতি ক্রমে সংগঠনের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, ২০২৩ কার্যকারি পরিষদের নির্বাচন কমিশনার বাহাউদ্দিন বাহার, শরিফুল ইসলাম সাগর, আরিয়ান হৃদয় এবং বাঙলা কলেজ সিঙ্গেল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্ঠার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এ কমিটিতে এ কে এম শাকিল সভাপতি , শ্রাবণী আক্তার সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ আরাফাত ভূইঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
উক্ত কমিটিতে বাহাউদ্দিন বাহার, শাহেদুল ইসলাম সাহেদ, জাফর ইকবাল, শরিফুল ইসলাম সাগর, কাবুল মল্লিক বাবু, মুজিবুর রহমান মিঠু এবং আরিয়ান হৃদয় উপদেষ্টা। এম এ কাইয়ূম, আসিফ আলমগীর সায়ন, তৌফিক তানভীর, মশিউর রহমান সজীব, মোঃ অভি রাজ, মোঃ খায়রুল ইসলাম এবং আরিফুল ইসলামকে আজীবন সদস করা হয়।
ইসরাত ইমতিয়াজ,নাসির, ইভা, নুরুজ্জামান,সজীব,সুমন, এবং শাহিনকে সহ-সভাপতি, রবিন, সুমাইয়া, জাহিদুল, জিন্নাহ, নাদিম, শাহিন, লিয়াকতকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আল আমিন হোসেনকে দপ্তর সম্পাদক, আকাশ মাহমুদকে প্রচার সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, চিপাচাপা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদ, ক্রাস দমন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক তায়িফা, প্রধান ফটক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক মুন্না, ছাতিম তলা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ এবং ফারুক চত্বর নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক এসএইচ সবুজ।
সাকিব, ফারহানা, রাবেয়া, কাজী জসিম, আদিল, জিহাদ, সালাউদ্দিন, সাঈদকে কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী আক্তার জানান, সিঙ্গেলদের জীবনে চাপ কম থাকে। এটি কেবল সম্পর্কের কারণে নয়, আর্থিকভাবে তারা চাপমুক্ত থাকেন মিঙ্গেলদের তুলনায়। কারণ গবেষণায় বলছে যারা একা থাকেন তারাই বরং বেশি ভালোভাবে বাঁচেন। তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না। বাঙলা কলেজের মাটি সিঙ্গেল সোসাইটির ঘাটি।
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি এ কে এম শাকিল বলেন, যাদের সঙ্গী নেই, তারা কী দুঃখে কষ্টে জর্জরিত হয়ে বাঁচবেন? মোটেও নয়, কারণ বিভিন্ন গবেষণায় বলছে সিঙ্গেলরাই বেশি স্বাধীন জীবন কাটান মিঙ্গেলদের তুলনায়। এমনকি একা থাকার কারণে তারা স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সুবিধাও ভোগ করেন।
ইবিতে শৌচাগারগুলোর শোচনীয় অবস্থা, স্বাস্থ্যঝুকিতে শিক্ষার্থীরা

নাজিম হোসেন, ইবিঃ দরজা আছে তো ছিটকিনি নেই, বদনা আছে তো ট্যাপে পানি নেই! দুর্গন্ধের কারণে ভেতরে প্রবেশ দায়। এমনই বেহাল অবস্থা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত অনুষদ ভবনসমূহের শৌচাগারগুলোর। দিনের পর দিন পরিষ্কার না করা ও তদারকির অভাবে নোংরা হয়ে থাকে বিভিন্ন অনুষদের ভবন সমূহের প্রায় প্রত্যেকটি শৌচাগার।
অনুষদ ভবন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবন, মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ফ্লোরের বাথরুমগুলোর পলেস্তারা খসে পড়েছে, কমোড-পানি সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়ে আছে, দরজাগুলো ভাঙা-অর্ধভাঙা, কোথাও আবার আবর্জনার ভাগাড়। বেসিনে ট্যাপ আছে কিন্তু পানি আসে না, আবার কোনওটিতে ট্যাপই নেই। বেশিরভাগ বেসিনের উপরেই আয়না উধাও হয়ে গেছে, আবার পুরোটা থাকলেও তার উপর রঙ আর চুন পড়ে চেহারা দেখা যায় না। অনেকগুলো শৌচাগারে বদনা পাওয়া যায়নি, তাছাড়া বেশিরভাগ শৌচাগারের দরজায় কোনও ছিটকিনি নেই, ছিটকিনিবিহীন দরজায় কলমই ভরসা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচতলায় শৌচাগারের পাশেই রয়েছে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের দুটি ক্লাসরুম। অনেক সময় শৌচাগার থেকে আসা দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে বসে থাকতেই কষ্ট হয়।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফুর রহমান বলেন, ‘শৌচাগারের পাশেই আমাদের ক্লাসরুম, শৌচাগার থেকে আসা দুর্গন্ধে ক্লাসে টিকে থাকাই দায়, এতে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। আমাদের পুরো ফ্লোরে একটু মাত্র শৌচাগার, তাও এটার যে দূরাবস্থা, তাতে এটা পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী। এব্যাপারে কতৃপক্ষকে কয়েকবার অবগত করেও কোনো সমাধান পায়নি।'
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার সার্বিক দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস শাখার।
এসকল বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (এস্টেট শাখা) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু বলেন, 'প্রত্যেকটি অনুষদের ডীনের অধীনে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী দেয়া আছে। এর বাইরে তাদের অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়োজন হলে তারা এস্টেট অফিসে আবেদন করলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. হারুন-উর-আশকারী বলেন, আমাদের পুরো অনুষদ ভবনে মাত্র একজন সুইপার। লোকবল সংকটের কারণে একজন সুইপারের একার পক্ষে প্রতিদিন এতগুলো শৌচাগার পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয়ে উঠেনাহ। লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে ইতোপূর্বে কয়েকবার এস্টেট অফিসে আবেদন করেও কোনো সমাধান পায়নি। আমরা পুনরায় আবেদন জমা দিবো, আশা করি তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।'
গরীব ও দুস্থদের মাঝে বেরোবি ছাত্রলীগের কম্বল বিতরণ

বেরোবি প্রতিনিধি: দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখার আয়োজনে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল চত্বরের সামনে এ শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, প্রচন্ড শীতে সমাজের পিছিয়ে পড়া গরিব ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাঁচশত পিছ কম্বল বিতরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান শামীমের সঞ্চালনায় ও পোমেল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে শীত সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি লুবনা হক মিমি,রেজওয়ান উল আনম তন্ময়,তানভীর আহমেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগরসহ শতাধিক ছাত্রলীগের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল বিতরণ কর্মসূচিকে সফল করতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নামে ক্যাম্পাসে।জানা গেছে, হাতে টোকেন থাকলেও পর্যাপ্ত কম্বল থাকা সত্বেও কম্বল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কাসেম বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিবে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ।এছাড়া তিনি সংগঠনকে শক্তিশালি করতে নানা দিকনির্দেশনা দেন।
বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন,এই ক্যাম্পাসকে এমনভাবে উর্বর করে তুলতে চাই যা আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য গত বছর ৩১ জুলাই পোমেল বড়ুয়াকে সভাপতি ও মাহফুজার রহমান শামীমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার পর থেকে ক্যাম্পাসে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে ছাত্রলীগ।সকাল সন্ধ্যা জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় বেরোবি ক্যাম্পাস।
নাতির ছেলের সঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছেন বৃদ্ধ মান্নান: রোল নং ৩৭

৬৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান। পারিবারিক অভাবের কারণে কোনোদিনও স্কুলে যাওয়া না হলেও এখন তিনি ভাবছেন শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই বৃদ্ধ বয়সে নাতির ছেলে কাওসারের (৫) সঙ্গে স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন তিনি। আর এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে চোখে পড়ে সহপাঠী শিশুদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে আছেন আব্দুল মান্নান। শিক্ষকরাও তাকে আন্তরিকতার সঙ্গে সবকিছু শেখাচ্ছেন। প্রথম শ্রেণিতে তার রোল নম্বর-৩৭। বই হাতে নাতি মাহফুজারের ছেলে কাওসারের হাত ধরে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করেন আব্দুল মান্নান।
জীবনের এই সময়ে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে ছয় ভাই, এক বোনের মধ্যে আমি ছিলাম তৃতীয়। সংসারে সব সময় অভাব লেগেই থাকতো। অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। কখনো লেখাপড়ার সুযোগ পাইনি। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে চোখে পানি চলে আসে। বৃদ্ধ বয়সে জীবিকার তাগিদে নিরুপায় হয়ে কিশোরগাড়ি বাজারে ছোট দোকানে পান বিক্রি শুরু করি।
তিনি বলেন, গ্রাম অঞ্চলে দোকানগুলোতে বেশিরভাগ বিক্রি হয় বাকিতে। বয়স হওয়ার কারণে, কে কত টাকার খরচ নিলো হিসাব মেলাতে পারি না। তাছাড়া মনেও থাকে না বেশিক্ষণ। শুধু ইচ্ছে হতো, আমি যদি লিখতে পারতাম তাহলে হিসাব খাতায় লিপিবদ্ধ করতাম। মূলত বাকি লেনদেনের হিসাব লিখে রাখার প্রয়োজনীয়তা থেকেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। পরে কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সবার সঙ্গে কথা বলে আমাকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে নেন। এই বয়সে স্কুলে ভর্তি হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। সকালে পুতির সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসি। স্কুল ছুটির পর দোকানে বসে ব্যবসা করি।
কিশোর বয়সে বিয়ে করেন আব্দুল মান্নান। ব্যক্তি জীবনে মালেকা ও জান্নাতী নামে দুই মেয়ে ও মমিরুল নামে এক ছেলেসহ তিন সন্তানের জনক তিনি। অনেক আগেই মেয়েদের বিয়ে হলেও ছেলে মমিরুল পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষার্থী। বড় মেয়ের ছেলে মাহফুজার বড় হয়ে বিয়ে করেছেন। তার ছেলের নাম কাওসার। যে সম্পর্কে আব্দুল মান্নানের পুতি। সেই পুতির সঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন আব্দুল মান্নান।
এছাড়াও সদ্য শেষ হওয়া বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন আব্দুল মান্নান। সেখানে এই বয়সে মঞ্চে দাড়িয়ে মাইকে বলেছেন একটি কবিতা।
বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানের শ্রেনী শিক্ষিকা সুরভী আকতার বলেন, আমার ১২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এত বেশি বয়সী কাউকে আমি শিক্ষা দেয়নি। তাছাড়া আব্দুল মান্নান চাচার শেখার আগ্রহ অনেক। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন। একজন বৃদ্ধ মানুষকে শেখাতে পেওে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মিথুন মন্ডল জানান, আব্দুল মান্নান চাচা বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করে আসছিলেন। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে চলতি বছর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে শিশুদের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছেন। তার ব্যবহার খুব ভালো। তার ক্লাসের অনান্য শিশুরাও কোন ভয় পাচ্ছে না। সবাই মজা করে ক্লাশ করছে।
নোবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী

নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে নতুন করে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমেে এ বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী-কে সাময়িক সময়ের জন্য নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে নোবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
এছাড়া পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ দিনের অবস্থান কর্মসূচীর মুখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন রেজিস্ট্রার পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
মন্তব্য