প্রথম বিসিএসেই বন ক্যাডারে প্রথম বাকৃবির মাহদী

আমান উল্লাহ, বাকৃবিঃ ৪১তম বিসিএসে বন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান। এটি তার প্রথম বিসিএস। প্রথম বিসিএসেই বন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মাহদী। তিনি বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশের দিন কাক্সিক্ষত বন ক্যাডারে নিজের রোল প্রথমে দেখতে পাই। অনুভূতি ছিল শুন্য হাতে পুন্য পাওয়ার মত।’
মাহদী হাসানের জন্ম খুলনায়। তিনি খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে ২০১২ সালে এসএসসি এবং ২০১৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বাবা কাষ্টমস অফিসার ছিলেন আর মা গৃহিনী। মূলত বাবার থেকেই সিভিল সার্ভিসের নাম শুনে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন মাহদী।
অনার্স শেষ করেই বিসিএস প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন তিনি। প্রিলিমিনারির জন্য তিনি তেমন ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করেন নি। মাহদী বলেন, ‘প্রিলিতে বরাবরের মতই আমি দূর্বল ক্যান্ডিডেট। প্রিলি পরীক্ষা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ ও শঙ্কাজনক।’ তবে তিনি লিখিত পরীক্ষার জন্য খুবই ভালোভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। তিনি জানতেন লিখিত যত ভালো হবে বিসিএস ক্যাডার হওয়া তত সহজ হবে। এজন্য তিনি লিখিত ভালো করার চেষ্টা করতেন। তিনি মনে করেন ভাইবা বোর্ড সামলানো পুরোটাই নসিবের বিষয়। তবে ভাইবা বোর্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখাতে কনফিডেন্সের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মাহদীর স্বপ্ন ছিলো, তিনি জীবনে এমন কাজ করবেন যেখানে তিনি কথা বলে ২০-২৫ জন মানুষ শুনবে, আমলে নিবে। এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি সর্বদা চেষ্টা করতেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ তাকে সফল হবার প্রেরণা দিয়েছিলো। মাহদী ভবিষ্যতে দেশের সীমিত বনজ সম্পদের টেকসই আহরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবেন।
বিসিএস দিতে ইচ্ছুকদের উদ্দেশ্যে মাহদী বলেন, প্রিলির প্রস্তুতি অল্প নিলেও লিখিততে যত পারা যায় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন পরীক্ষার আগে আগে পূর্বের পড়াগুলো রিভিশন দিয়ে যাওয়া যায়। এজন্য আগে থেকেই গুছিয়ে পড়া ভালো। ভালো ক্যাডার পেতে হলে মূল পরীক্ষা হলো লিখিত। শুরুতেই ২৮-৪৪তম লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। ইংরেজিতে বেশি জোর দিতে পারেন। এই বিষয়েই অধিকাংশ পরীক্ষার্থী দুর্বল হয়ে থাকে। পাশাপাশি ২০০ মার্কের বিষয়গুলো (ইংরেজি, বাংলা ও বাংলাদেশ) ভালো করার বিকল্প নেই। স্ট্রং জোনে আরও স্ট্রং হতে হবে। যত পারা যায় পাশাপাশি দুর্বল সাবজেক্টে যাতে একদম ধস না হয়ে এভারেজ মার্ক পাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডাটা ও এক্সক্লুসিভ তথ্যগুলো আলাদা ছোট করে লিখে নিতে হবে। রিটেনে প্রশ্ন কমন পাওয়া টার্গেট না করে টপিক বুঝে কালেক্টেড তথ্য সুবিধামতো জায়গায় দিতে পারলে ভালো হয়। সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তাকে স্বরণ করতে হবে আর রিজিকে বিশ্বাস রাখতে হবে।
ডুসার ট্যালেন্ট হান্ট সিজন -০১ বাছাই পর্বে হাজার শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণ

রায়পুর ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ডুসার ট্যালেন্ট হান্ট সিজন -০১ এর বাছাই পর্বের পরীক্ষা ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
আবহাওয়ার প্রতিকূলতা স্বত্তেও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
এই আয়োজন সম্পর্কে অভিভাবকদের মতামত জানতে চাইলে তারা জানান, এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকলে ছাত্রসমাজ উপকৃত হবে।
তারা আরও বলেন এই সময়ে কিশোর গ্যাং এবং মাদক সহ নানাবিধ সমস্যা থেকে উত্তরণেও এই রকম আয়োজন সামাজিক বিপ্লব হিসেবে কাজ করবে।
ডুসার ট্যালেন্ট হান্ট সিজন -০১ আয়োজকরা বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের যে অংশগ্রহণ ছিলো তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এরকম শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অভিভাবক এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের যে ভালোবাসা আমরা পাচ্ছি তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ আগস্ট, রোজ শুক্রবার এই ট্যালেন্ট হান্ট এর ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রিভেট ২০ মনোনীত হলেন খুবি শিক্ষার্থী ইউসুফ

খুবি প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক যুব দিবসকে সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১২ জন উদ্ভাবনী সামাজিক উদ্যোক্তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিভেট। এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ মুন্না।
ইউসুফ মুন্নার সংগঠন "রিফ্লেকটিভ টিনস" কিশোর-কিশোরীদের সৃজনশীলতার বিকাশ ও পরিচর্যা নিয়ে গত দশ বছর ধরে কাজ করে আসছে। তার সংগঠনের কাজের জন্য এই স্বীকৃতির অংশ হিসেবে কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে আর্থিক অনুদানেরও ঘোষণা দিয়েছে রিভেট।
এছাড়াও ডিজনি চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে সি আন্ডারকাভার’ এর জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও হলিউড তারকা ট্রিনিটি স্টোকস-এর সাথে তার একটি সাক্ষাৎকারও নেয়া হয়েছে যেটা দ্রুত প্রকাশিত হবে।
এই বিষয়ে শিক্ষার্থী ইউসুফ বলেন, আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতির জন্য মনোনীত হয়েছি জেনে খুব ভালো লাগছে। কার্যক্রম প্রসারের জন্য রিভেটের নানা মাতৃক সহযোগিতা অনেক কাজে লাগবে। করার অনেককিছুই আছে আমাদের। দেশের সামগ্রিক কল্যানে সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
মর্যাদাপূর্ণ ‘রোবোসাব ২০২৩’ এ রানার আপ ব্র্যাকইউ ডুবুরি

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রোবোটিকস প্রতিযোগিতা রোবোসাব ২০২৩ এ রানার আপ হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত স্বয়ংক্রিয় ডুবোযান ব্র্যাকইউ ডুবুরি। সেই সাথে এই প্রতিযোগিতায় ইনজেনুইনিটি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে দলটি।
রোবোনেশন এর পৃষ্টপোষকতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার সেন্টার প্যাসেফিক এর সহ পৃষ্টপোষকতায় এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রান্সডেকে অবস্থিত অফিস অফ নেভাল রিসার্চ এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি মেরিটাইম ইন্ড্রাস্ট্রিকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় সেগুলোর সমাধান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩১ জুলাই থেকে ৬ আগস্টে অনুষ্ঠিত এবছরের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৩৪টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগতায় প্রথম হয়েছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা।
বাংলাদেশে পানির নিচে গবেষণার ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় বলে পরিচিত ব্র্যাকইউ ডুবুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির নিচে চলাচলে এবং মেশিন লার্নিং দ্বারা উপাত্ত সংগ্রহে সক্ষম। এটি পানি দূষণ হ্রাস, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে টেকসই সমাধান প্রদান করতে পারে এবং সেই সাথে মানুষের জন্য অভিযান পরিচালনা করা দূরহ এমন ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে ব্র্যাকইউ ডুবুরির ক্যামেরা দ্বারা অপেক্ষাকৃত কম আলো এবং ঘোলা পানিতেও ভালোমতো দেখা যায়। স্রোতযুক্ত পানিতে যাতে ভালোমতো কাজ করতে পারে সে জন্য এতে আছে আটটি অত্যাধুনিক থ্রাস্টার।
ব্র্যাকইউ ডুবুরি দলটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. মো. খলিলুর রহমান এবং সহ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রিসার্চ অ্যাসিসটেন্ট সায়ন্তন রায় অর্ক এবং মো. নাইম হোসেন সৈকত। ব্র্যাকইউ ডুবুরি দলটিতে রয়েছেন প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী। দলনেতার দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম মাসুম বিল্লাহ মিশু এবং সহ দলনেতা হিসেবে রয়েছেন মো. মাহফুজুল হক। উপদলগুলোর নেতৃত্ব দিয়েছেন এসএম মিনুর করিম, নাজমুল হক অমি, শাওনক মো. ইবনে শাহরিয়ার তালুকদার, পার্থ প্রতিম সরকার জয়, সামিয়া আবদুল্লাহ এবং উমামা তাসনুভা আজিজ। দলটিতে কার্যকরী সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন মাহদি উদ্দিন আহমেদ, সৌমিক হাসান শ্রান্ত, মো. মুশফিক বিল্লাহ এবং মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।
অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ রোবোসাব ২০২৩ এ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিক সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রোবোটিকস ক্লাবের ডুবুরি দলটি অনেক উজ্জ্বল সম্ভাবনার প্রতিশ্রুতি রেখে চলেছে। রোবোটিকসে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা এবং এই ধরণের সাফল্যই বলে দিচ্ছে যে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিও এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।’
হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ চেয়ার হলেন ঢাবি অধ্যাপক সোনিয়া

জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ চেয়ার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ) নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন। বিশ্ববিদ্যালয়টির দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে (এসএআই) চলতি উইন্টার সেমিস্টারে (অক্টোবর ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত) তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে পাঠদান করাবেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ এর জন্য গঠিত কমিটির এক সভায় তাকে নির্বাচিত করা হয়। সোমবার (৭ আগস্ট) জুম প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির মডার্ন ইনডোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হান্স হার্ডার, এসএআইর নির্বাহী সচিব ড. মার্টিন গিজেলম্যান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক উইলিয়াম স্যাক্স, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার কাজী মোহাম্মদ জাবেদ ইকবালসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপের মাধ্যমে ড. সোনিয়া নিশাত আমিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব, কর্ম ও আদর্শকে বহির্বিশ্বের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের সামনে উপস্থাপন করবেন। পাশিপাশি তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, বর্তমান আর্থসামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে এপ্রিল মাসের শুরুতে বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচিত করা হবে। ফেলোশিপের আওতায় অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন এসএআইর বিভাগীয় সভা, সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশ নেবেন। একইসঙ্গে তিনি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
উল্লেখ্য, হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ এর জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আবেদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে ইউজিসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ বিষয়ে মোট ১৬টি আবেদন জমা পড়ে। এসএআই কর্তৃপক্ষ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। বিস্তারিত আলোচনা শেষে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ এর জন্য গঠিত কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন-কে নির্বাচিত করে।
ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ স্থাপন করা হয়। চালু হওয়ার প্রথম দুই বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা এ ফেলোশিপের আওতায় যোগ দেন। ২০০২ সালের পর কোনো শিক্ষক এ ফেলোশিপের আওতায় যোগদান করেননি৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে সরকার পুনরায় ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০২১ সালে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ নির্বাচিত হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন- অর রশীদ।
মন্তব্য