দেশের আটটি কৃষি ও কৃষিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায়

দেশের আটটি কৃষি ও কৃষিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকা ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়সমূহের পছন্দক্রম/অপশন আগামীকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে। যা আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২১-২২ এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মধ্যে মেধাতালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়সমূহের পছন্দক্রম/অপশন প্রদান করতে হবে। যা ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
জানা গেছে, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৭৯ হাজার ১৯৫ জন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৬৫ হাজার ৩৫৪ জন। আর পরীক্ষার জন্য আবেদন করেও হলে যাননি ১৩ হাজার ৮৪১ জন। পরীক্ষায় ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। সে হিসেবে পাসকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৮৫ জন।
এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।
১০ দফা দাবি নিয়ে জবি উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক মন্তব্য করে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করেন। এর উত্তরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, তোমাদের যে দাবিগুলো আছে সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরাও চাই কাজ যেন দ্রুত হয়। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। মাস্টারপ্লান হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর কাছে যেন হস্তান্তর করা যায়, তার জন্য কথা বলেছি।
উপাচার্য আরো বলেন, ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয় ও সেসকল সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমরা গত আগস্টে চিঠি দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবির পর আবারও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সামনের বিদেশ সফর শেষে আমরা আগামী অক্টোবর ৩ তারিখের পর দেখা করার সুযোগ পাব। সেখানে প্রথম প্রাধান্য থাকবে সেনাবাহিনীকে যেন প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করা যায়। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ যেন দ্রুত হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যেদিনই ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে যাওয়া হবে, তখন শিক্ষার্থীরা চাইলে যেতে পারবে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা নতুন ক্যাম্পাসে থানার জন্য আবেদন করেছি। প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত থানার জন্য আলোচনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে যাদের কাজের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়, তাদের যেন টেন্ডার না দেয়া হয়। আমরা তাই করেছি। এটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয়, সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হবে।
এদিকে ১০ দফা দাবির বিষয়ে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবরের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবির কথা তুলে ধরবেন। তিনি শিডিউল নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীরাও সেই বৈঠকে থাকতে চাই, সেটা জানিয়েছি। এছাড়া সেই বৈঠকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অগ্রগতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা আবার কঠোর আন্দোলনে যাবো।
৪১তম বিসিএস ফল আজ কি না, জানাল পিএসসি

৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে কি না, তা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে গুজব ছড়ানো হলে প্রথম আলো পিএসসির কাছে পরীক্ষার ফল কবে, তা জানতে যোগাযোগ করে।
একাধিক পরীক্ষার্থী কার্যালয়ে ফোন করে বলেন, ফেসবুকে জাকিরস বিসিএস ও আরও কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে আজ বৃহস্পতিবার ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে বলে পোস্ট দেওয়া হয়। আসলে আজ ফল প্রকাশ করা হবে কি না, এটি জানতে তাঁরা প্রথম আলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী সপ্তাহে হবে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্ভুল ফল প্রকাশের জন্য পিএসসি সময় নিচ্ছে। এটি চাকরিপ্রার্থীদের ভালোর জন্য। ফেসবুকের গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। তবে কোনো ফেসবুক পেজ গুজব ছড়ালে পিএসসি সেই পেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে।
পরীক্ষকদের ভুলের কারণে ফল প্রকাশে দেরি হওয়া ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার পর প্রার্থীদের দেরির কথা বিবেচনা করে পিএসসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষকদের ভুলে ফল দিতে দেরি হয়ে গেল। এই সময় কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পিএসসি ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের খুব বেশি দিন অপেক্ষা করাবে না। দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করে দেবে। কারণ, মৌখিক পরীক্ষাতেও অনেক সময় লাগে।
এদিকে পরীক্ষকদের সবার ভুল সংশোধিত হলেই ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করবে পিএসসি। পিএসসি বলছে, কিছুটা দেরি হলেও তারা নির্ভুল ফল প্রকাশ করতে চায়। এ জন্যই কিছুটা দেরি হচ্ছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে ৩১৮ পরীক্ষক দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। তাঁদের ভুলের কারণে পিএসসি এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করতে পারেনি। নিয়ম অনুসারে এই পরীক্ষকদের সশরীর পিএসসিতে আসতে হচ্ছে ও ভুল সংশোধন করে তাঁদের সই করতে হচ্ছে। এভাবে একে একে সব পরীক্ষকের আসতে সময় লাগায় ফল প্রকাশে সময় লাগছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, পরীক্ষকদের ভুল সংশোধন করলেই পিএসসি পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, ৮৮ হাজার খাতা। সেখান থেকে ভুল খাতা বের করা সহজ ব্যাপার নয়। আবার পরীক্ষক সশরীর এসে সংশোধন না করলে ফলও প্রকাশ করা যাবে না। এই কর্মকর্তা বলেন, পিএসসির খাতা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। খাতা যেকোনো সময় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সে জন্য সেখানে ভুল রাখা সম্ভব নয়। এতে পিএসসির সম্মান ক্ষুণ্ন হবে। তাই এগুলো নির্ভুল করতেই সব পরীক্ষককে ডাকা হচ্ছে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে। একই সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরাও যাতে সঠিক মূল্যায়ন ও ন্যায়বিচার পান, সে জন্য পিএসসি কাজ করছে।
৯ মাস আগে শেষ হয়েছে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। তবে এখনো ফল পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। পিএসসি বলছে, তিন শতাধিক পরীক্ষকের অবহেলার জন্য ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।
পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, ফল প্রকাশে দেরির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ৩১৮ পরীক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুরুতর অবহেলাকারী পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। এত দিনেও ফল প্রকাশিত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থীরা।
পিএসসি সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশের লক্ষ্যে পিএসসির বিশেষ সভায় আলোচনা হয়েছে। এমন তিনটি সভায় ফল প্রকাশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ দেরি হবে বলে জানায়। পরে দেরির কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করে পিএসসি। কমিটি তদন্ত শেষ করে ফল প্রকাশে দেরির বেশ কিছু কারণ তুলে ধরে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেউ কেউ পরীক্ষার্থীর কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য নম্বরই দেননি। অনেকে খাতার শেষে থাকা প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন। কোনো কোনো খাতায় পরীক্ষক নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। অনেকে আবার এমনভাবে নম্বর দিয়েছেন, যা পুনর্মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়েছে।
ত্রুটিপূর্ণ খাতার ব্যাপারে পিএসসির করণীয় জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, কোনো খাতায় ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষককে ডেকে এনে সংশোধন করিয়ে তাঁর সই নেওয়ার নিয়ম। এখন একে একে ৩১৮ পরীক্ষককে ডাকতে হচ্ছে।
কৃষি গুচ্ছের ফল প্রকাশ

দেশের আটটি কৃষি ও কৃষিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মেধাতালিকায় ৩ হাজার ২৩০ জনকে রাখা হয়েছে। বুধবার রাতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি প্রক্রিয়ার সময়সূচি এবং ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের করণীয়
১) ১৬-০৯-২০২২ থেকে ২০-০৯-২০২২ তারিখের মধ্যে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়সমূহের পছন্দক্রম/অপশন প্রদান করতে হবে।
২) ৩০-০৯-২০২২ তারিখ মেধা তালিকার প্রার্থীদের প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
৩) ১-১০-২০২২ থেকে ১০-১০-২০২২ তারিখ পর্যন্ত মেধা তালিকার প্রার্থীদের অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এর যে কোন একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
৪) ১৬-১০-২০২২ তারিখ অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের (যদি থাকে) জন্য অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
৫) ১৭-১০-২০২২ থেকে ২১-১০-২০২২ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এর যে কোন একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
৬) ২৬-১০-২০২২ তারিখ দ্বিতীয় অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের (যদি থাকে) জন্য অবশিষ্ট অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
৭) ২৭-১০-২০২২ থেকে ৩১-১০-২০২২ তারিখ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার অপেক্ষমান তালিকা হতে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এর যে কোন একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
৮) ০৬-১১-২০২২ থেকে ১০-১১-২০২২ তারিখ ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করা প্রার্থীদেরকে অটোমাইগ্রেশনের পর প্রাপ্ত নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য ভর্তি ফি এর সাথে পূর্বে জমাকৃত ১০ হাজার টাকা সমন্বয় করা এবং মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিয়ে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে হবে। এর কোনরূপ ব্যত্যয় হলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
৯) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরুর তারিখ স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করবে।
১০) ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট acas.edu.bd এ পাওয়া যাবে।
এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।
১১টায় শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা, পরীক্ষার্থী ২০ লাখ

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার এ পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। যানজট এড়াতে এবছর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি-সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গত ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে যানজট এড়াতে এসএসসি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে সবার সুবিধা হবে।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। সারাদেশে তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৫৯১টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তার মধ্যে নয়টি সাধারণ বোর্ডের আওতায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের আওতায় দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৬৮ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য ৭১৫টি কেন্দ্রে নয় হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের আওতায় এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। মোট ৮২৮টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৮১৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া দেশের বাইরে আটটি দেশে ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
২০২১ সালের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি। বৈশ্বিক অতিমারির কারণে পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না।
এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেউ দেরি করলে তার কারণ গেটে রেজিস্ট্রার খাতায় উল্লেখ করে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সে তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
শুধু কেন্দ্র সচিব বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার সইয়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পাবলিক পরীক্ষায় বে-আইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে। দোষী শিক্ষক ও কর্মচারীদের (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে) চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের এমপিওভুক্তি বাতিল করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে। অন্যদিকে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য