জবি মনোবিজ্ঞান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সাকিবুল ইসলাম, জবিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) জবি মনোবিজ্ঞান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সমরেশ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৩মার্চ সদস্যদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জবি মনোবিজ্ঞান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাইদুর রহমান (কাইয়ুম), এরশাদ আলী রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবিহা সুলতানা, সুজা উল ইসলাম, অ্যালেক্স আকন্দ, শাকিল চৌধুরী, শাহিন আলম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন রাসেল আহম্মেদ, মাহবুবুর রহমান সুমন, মোমেন খান, কাইউম মিয়া টিপু, ফজলে এলাহি, জেরিন রহমান সানি, আরমান আলী, মনিরুজ্জামান তুফান। এছাড়া আরও ১৫জন কার্য নির্বাহী সদস্যসহ আরও ৩০জনকে উপ সম্পাদক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছে ইয়াছিন মোল্লা আরাফাত, নাজনিন সরকার সুরভী, শামীম রেজা, মহব্বত হোসেন বাবু, মহিউদ্দিন মাহি, পূর্নেন্দু পাল বাপ্পি, ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ, মিথুন বাড়ৈ, দপ্তর সম্পাদক বিজন বাড়ৈ, অর্থ সম্পাদক সায়মা রহমান রথি, প্রচার সম্পাদক অমিতাভ রায় প্রমুখ।
শীঘ্রই উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে সমরেশ মণ্ডল বলেন, দেশ ও দশের কল্যাণে মনোবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানীরা যাতে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানবিক সেবা প্রদান করতে পারে এজন্য আমাদের এসোসিয়েশন অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে।’
সাধারণ সম্পাদক এইচ এম কিবরিয়া বলেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সকল অ্যালামনাইকে ডিজিটাল ডাটাবেজের মাধ্যমে যুক্ত করে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো।
তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে তাওসিফ-নিশাদ

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির (সতিকসাস) ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহী কমিটির নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ মার্চ) সরকারি তিতুমীর কলেজ পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের ৩য় তলায় শিক্ষক মিলাতায়ন কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত সাংবাদিক সমিতির (সতিকসাস) এর ভোট গ্রহণের অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিবার্চনে নতুন সভাপতি পদে নিবাচিত হয়েছেন দৈনিক দেশ রুপান্তর এর স্টর্ফ রিপোর্টার তাওসিফ মাইমুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিবাচিত হয়েছেন দেশ টেলিভিশন এর রিপোর্টার শাহাদাত হোসেন নিশাদ।
এছাড়াও সহ- সাভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন এমপি নিউজের এর তুহিন ভূঁইয়া, সাংগঠানিকতা সম্পাদক পদে ঢাকা ১৮.কম এর মার্জিয়া আফরোজ মিলি, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে স্বদেশ প্রতিদিন এর সাব এডিটর এইচ.এম ইমরান হোসাইন, অর্থ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রায়হান এবং বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় দপ্তর সম্পাদক পদে সংবাদের মামুনুর রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিন কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টুয়েন্টিফোর লাইভ এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মোঃ আজাদ হোসেন, সোনালী নিউজ ডট কম এর মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মোঃ সাব্বির হোসেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির এ নিবার্চনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন এবং পর্যবেক্ষণ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশানর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এশিয়ান টেলিভিশনের প্লানিং এডিটর রফিকুল ইসলাম রলি, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সিনিয়র রিপোটার মানিক মুনতাসির ও এশিয়ান টেলিভিশন যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মাহবুব জুয়েল এবং নির্বাচন সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সংগনটির সদ্য সাবেক সভাপতি সাব্বির আহমেদ।
প্রসঙ্গত, তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির (সতিকসাস) ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটিতে। এবার গনতান্ত্রিক নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয়বারের মতো কোনো সহ- শিক্ষামূলক সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
নবীনদের বরণ করে নিলো জবিস্থ নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

রিদুয়ান ইসলাম, জবিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে 'জবিস্থ নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ'। নরসিংদী জেলা থেকে আগত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ভর্তিকৃত প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ নেয়া হয়।
সোমবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
রুবেল নিরব এর সভাপতিত্বে এবং বিশ্বজিৎ পাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. হারুনুর রশিদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
নবীনদের উদ্দেশ্যে অতিথিরা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানান ৷ এ সময় নবীন শিক্ষার্থীরাও প্রত্যেকে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্ মো. আরিফুল আবেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আয়েশা হক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জবি শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন, এবং সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান মিশু, নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণের সাবেক সভাপতি মো. মাহবুবুল হক অনন্য, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া আফরিন রাহা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা৷
এরপরে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল তিনটায়। এসময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাবিতে আগুন, প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রোববার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের তিনটি দোকানে য়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্লাবের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। এ পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সভা ডেকেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আলি কাউসার বলেন, কাল রাত ১১টার পর হঠাৎ আগুন লেগে যায়। তখন দোকানে কেউ ছিল না। আমাদের দোকান থেকেই সম্ভবত আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দোকান থেকে কোনো কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। পাঁচটা ফ্রিজসহ সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি। না হয় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।
হেলথ মার্ট স্টোরের কর্মচারী নাইম হাওলাদার বলেন, আগুনে আমাদের ৪০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে পানিতে আরও ৩০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এসি ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
ক্লাব সেলুনের এক কর্মচারী বলেন, আমাদের প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্ভবত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা আজ মিটিং ডেকেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রশিদ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রশিদ।
রবিবার (১৯ মার্চ) রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে সুপ্রীমকোর্ট অব বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং ৬৩৯৬/২০২১ এ মাননীয় বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদের এবং মাননীয় বিচারপতি মোহাম্মদ আলী-এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চের ১৬-০৩-২০২৩ তারিখে প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর প্রথম সংবিধির ৯ (১) ধারা অনুযায়ী উক্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রশিদকে ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের জন্য ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। এ সময় তিনি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সুযোগ সুবিধাদি ভোগ করবেন।"
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রশিদ জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ১৯৮৯ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যের ডুরহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৫ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় জার্নালে তার ১৫০টির বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত), সিন্ডিকেট সদস্য, সিনেটর, জাবি শিক্ষক সমিতির ইসি সদস্য, আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণের জন্য ইউএনসিএলওএস টিমের অন্যতম প্রধান বিশেষজ্ঞ হিসেবেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনীত করেছিলেন। তিনি মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন সংস্থার পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিবিএস-এ জিআইএস এবং রিমোট সেন্সিং বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করছেন।
মন্তব্য