জাবির গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা জোয়ার

উচ্চ মাধ্যমিকের পর কয়েক বছর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এই শিক্ষার্থীরা । আজ সবাই গ্র্যাজুয়েট। তাদের বিদায় জানাতেই আয়োজন করা হয়েছে স্বপ্নের সমাবর্তন উৎসবের । মাথায় হ্যাট আর গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে চলছে গ্র্যাজুয়েটদের সমাবর্তন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা । গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় ক্যাম্পাস জুড়ে সাজসাজ রব। এ যেন উৎসবের আমেজ। আর এ অর্জনের আনন্দে উচ্ছ্বসিত প্রায় ষোল হাজার গ্র্যাজুয়েট।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের শেষ লগ্নটুকু নিজের মুঠোফোনে ধরে রাখার চেষ্টা সব গ্র্যাজুয়েটদের। স্বপ্নের সেই সমাবর্তনকে আরেকটু স্মৃতিময় করে রাখতে দূরদূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। কেউবা আবার তার প্রেয়সি ও আদরের সন্তানকে সঙ্গে এনেছেন ঐতিহাসিক মুহূর্তটাকে আরো রঙিন করতে। প্রিয় বাবা-মা, সন্তানকে গাউন, টুপি পড়িয়ে ছবি তুলছেন অনেকে। কেউবা উপরে টুপি ছুড়ে নিজেকে করছেন ফ্রেমবন্দি ।
কালো গাউনপরা গ্র্যাজুয়েটরা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্বরে চত্বরে । দেখা হচ্ছে নবীন-প্রবীন সকলের সঙ্গে। বন্ধুত্বের টানে সাড়া দিতেই পুরনো ক্লাসরুম, পুরনো হলের বারান্দা, চিরচেনা প্রিয় ক্যাম্পাসে পা রেখেছেন সাবেকরা । আনন্দ-উৎসব, আড্ডায় মেতে উঠছেন গ্র্যাজুয়েটরা। পুরনো দিনের বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠছেন তারা।
তারা হরেকরকম পোজে ছবি তুলছেন । উড়ন্ত গ্র্যাজুয়েট, রিকশাওয়ালা গ্র্যাজুয়েট, ভূত গ্র্যাজুয়েট, শ্রমিক গ্র্যাজুয়েট,গাছধরা গ্র্যাজুয়েট, কাপল গ্র্যাজুয়েট, বিবাহিত গ্র্যাজুয়েটসহ বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছেন তারা । সমাবর্তন উৎসবে রাষ্ট্রপতি ও গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করতে পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন এটি। শেষ দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের ঠিক তেমনি বেদনার। ছেড়ে যেতে হবে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ । স্কুল আর কলেজ পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার সোপানে পা রাখা শিক্ষার্থীদের আত্ম প্রতিষ্ঠা অর্জনের পরম ঠিকানা হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা । অধ্যয়ন আর জ্ঞান আহরণ শেষে সমাপ্তি ঘটে মধুর এই জীবনের। বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় সনদ প্রাপ্তির এই আয়োজনই হলো সমাবর্তন।
সমাবর্তন প্রতিটি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান বটে । জীবনের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন একজন শিক্ষার্থী। এজন্য বিদায়ের মুহূর্তটাকে একটু আনন্দময় করতেই আয়োজন করা হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ।
সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা । আজ শনিবার সমাবর্তনের দিনক্ষণ হলেও আগে থেকেই কালো গাউন,ক্যাপ,টাই সংগ্রহ করে আনন্দে মেতেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে যত স্মৃতি রয়েছে তা রোমন্থন করছেন বিদায়ী শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সবখানেই যেন তাদের সরব উপস্থিতি।
এই সমাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে কর্মজীবনের পথে পা বাড়াবে গ্র্যাজুয়েটরা। আর এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত জ্ঞানকে ধারন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় তাদের ।
একদল গ্র্যাজুয়েট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, সমাবর্তন ব্যাপারটা সত্যি আমাদের জন্য অনেক গর্বের এবং অনেক আনন্দের । বেশ মজার সময় পার করছি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মা-বাবা, শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এতো দিনের অর্জনটা শুধু আমাদের একার না, আমাদের সবার বাবা-মায়ের অর্জন। সেটা ভেবে একদিকে যেমন ভালো লাগছে তেমনি আবার খারাপও লাগছে যে, শেষ হয়ে গেল ছাত্র জীবন।
ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে সমার্বতনের প্যান্ডেল , অভ্যন্তরীন বিভিন্ন সড়ক যেন গ্র্যাজুয়েটদের দখলে। এদিকে বসন্তের বিভিন্ন ধরনের ফুল শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে । মূল ফটক থেকে শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনগুলো, আবাসিক হলগুলোতে যেন সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের এক মিলনায়তনে পরিণত হয়েছে ।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ষষ্ঠ সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর জনাব মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.নূরুল আলম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন । সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সমাবর্তনে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ১৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
সমাবর্তনে একদিকে আছে স্বপ্ন জয়ের আনন্দ অন্যদিকে বাজছে প্রিয় বিদ্যাপিঠ থেকে বিদায়ের সুর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মধুর স্মৃতি অমলিন থাকবে সারাজীবন। জীবনের প্রতি বাঁকে হয়ে থাকবে সুখস্মৃতি । এমনটাই প্রত্যাশা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের।
লেখক: ইমন ইসলাম, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনঃ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির প্রতিবেদন জমা

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলে র্যাগিং এর নামে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আইন বিভাগের সভাপতি ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান ৫০০৯ নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম.আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার এবং তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান ৫০০৯ নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে গত ১২ ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধ্র এক নবীন শিক্ষার্থীর উপর রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে হল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট এবং শাখা ছাত্রলীগের মোট ৪ টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী আজকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান জানান, আমরা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদি যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। এবং আজ তা রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছি।
এই প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম. আলী.হাসান বলেন, ছয় কর্ম দিবসেই জমা দিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে পাঠাবো। সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশনা দিবেন তা আমরা এক্সিকিউট করবো। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যাকেটটি সম্পূর্ণ ইন্টেক ছিলো আর আমরা অবস্থাতেই পাঠিয়ে দিয়েছি।
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা

নিয়ামতুল্লাহ, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহকর্মীদের দ্বারা ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন সবকিছু বলা যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, সকালে আমার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। এটি উপাচার্য ও হাইকোর্টের কাছে পাঠানো হবে।'
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট হয় ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী

বিএসএস স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেতে যাচ্ছেন। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ডিনস অ্যাওয়ার্ড বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
এ বছর অনুষদের ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সনের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ-প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীরা এ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন।
ইবিতে বিচারকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

নিয়ামতুল্লাহ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিচারকদের নিয়ে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জজ'স অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় দায়িত্বরত বিচারকরা মিলনমেলায় অংশ নেয়। তারা সকলেই আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এতে প্রায় ৬৫ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মিলনমেলায় আইন অনুষদের তিনটি বিভাগ আইন, আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ও আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ও কুষ্টিয়া জেলা জজ হাবিবুর রহমান, কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বদরউদ্দিন আনসারী, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দা সিদ্দিকা, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান, আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতারসহ তিন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় জজ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মনজুর হোসেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।
অনুষ্ঠানে বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম বলেন, 'পেশাগত জীবনে আপনাদেরকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে। বিচারিক ও আইনী পেশাসহ সকল সেক্টরে সততার পরিচয় বহন করতে হবে। সততা না থাকলে আপনার কাছে কোনো ক্লায়েন্টও আসবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'বিচারক এবং আইনজীবী পেশার ক্ষেত্রে আপনার যদি আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি ছিটকে যাবেন। কাজেই আপনাদের যদি সংগ্রাম করার মানসিকতা থাকে, আর্থিক ও শারীরিকভাবে যদি নিজেকে ফিট মনে করেন, তাহলে আইন পেশার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশায় আপনি যেতে পারেন।'
মন্তব্য