ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

সভা সমাবেশ থেকে দেশ, জাতি, সমাজ ইতিবাচক কল্যাণকর কিছু কি পাচ্ছে, আদৌ পেয়েছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
সভা সমাবেশ থেকে দেশ, জাতি, সমাজ ইতিবাচক কল্যাণকর কিছু কি পাচ্ছে, আদৌ পেয়েছে?

গোলাম রাব্বানী, সাবেক জিএস, ডাকসুঃ বছরের পর বছর ধরে আমাদের দেশের মূল রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনসমূহ গড়ে বছরে শতাধিক সভা, সমাবেশ, আলোচনা সভা করে আসছেন। দুই একটি ব্যতিরেকে প্রায় সব সেইম মডেল, সেইম স্ট্রাকচার, সেইম সাবজেক্ট ম্যাটার। ২০-৪০% নিজেদের সুনাম, ৬০-৮০% প্রতিপক্ষের সমালোচনা, গীবত, কুৎসা রটনা।

স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাভিত্তিক ও দেশব্যাপী জাতীয় জীবনে গণমানুষের নানাবিধ সমস্যা, সম্ভাব্য সমাধান, একান্ত প্রয়োজন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্ত আলোচনা, মত বিনিময়, পয়েন্ট নোট ডাউন, ফলোআপ কিছুই নেই।

লাখো লাখো মানুষের সমাবেশ করছেন। ছবির ফ্রেমে কানায় কানায় পূর্ণ। দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর বাইরে সাধারণ মানুষ কয়জন? কতজন সেখানে এই ভেবে গিয়েছেন যে, আজকে নেতাদের কাছে দেশ ও দশের কল্যাণে দিক নির্দেশনা মিলবে, অমুক তমুক সমস্যার সমাধান পাবো, নতুন আশার বাণী শুনবো, উন্নয়ন পরিকল্পনা জানবো।

নিজদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার জানান দিচ্ছেন বেশ ভাল, কিন্তু সেই সভা সমাবেশ থেকে দেশ, জাতি, সমাজ ইতিবাচক কল্যাণকর কিছু কি পাচ্ছে, আদৌ পেয়েছে? ভেবে দেখেছেন?
মেধা-মনন, ইতিবাচকতা, সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতার অভাবে দিন দিন রাজনৈতিক দল ও নেতা-কর্মীরা যে 'মাস পিপল' থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্রেফ নিজেদের ভেতর একটা নির্দিষ্ট আদর্শিক বলয় ও গন্ডীতে আড়ষ্ট হচ্ছেন, এটা কি তারা অনুধাবন করতে পারছেন? আলোচনা সভা কমান, কর্ম সভা বাড়ান। [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]

 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    কাতার বিশ্বকাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওজিল

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:১৩
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    কাতার বিশ্বকাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওজিল

    কাতারে চলমান ফুটবল বিশ্বকাপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক সেরা ফুটবলার মেসুত ওজিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই সাথে বিশ্বমঞ্চে কাতার ও তুরস্ককে দেখার আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই চলছে বেশ তর্ক-বিতর্ক। এসব কিছুই আমলে নিতে নারাজ মেসুত ওজিল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির আয়োজনে তিনি দেখছেন না কোনো ভুলত্রুটি। তাছাড়া দেশটির আতিথিয়েতারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এ জার্মান তারকা।

    বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ওজিল লেখেন, ‘কাতারের ফিফা বিশ্বকাপ আসরে উপস্থিত হতে পেরে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আয়োজকদের নিখুঁত আয়োজন ও আতিথেয়তার জন্য। এখানে থাকতে পারা সব সময় আনন্দের। টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্যেও শুভ কামনা।’

    একই পোস্টে তিনি দোয়ার ইমোজির সঙ্গে তুরস্ক ও কাতারের পতাকা যুক্ত করে লেখেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমরা আবার আমাদের দেখতে পাব।’

    তার এ বার্তা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, আগামী বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রতিযোগিতায় তিনি তুরস্ক ও কাতারকে দেখতে চান। যদিও কাতার স্বাগতিক হিসেবে এবার খেলার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে আসর থেকে ছিটকে গেছে তারা।

    জার্মানিতে জন্ম নেয়া ওজিল ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৪ সালে জার্মানদের হয়ে জেতেন বিশ্বকাপ শিরোপা। তবে নিজের পোস্টে আজ কোস্টারিকার বিপক্ষে জার্মানির ম্যাচ নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। তুরস্ককে নিয়ে ওজিলের মাতামাতির আছে যৌক্তিক কারণ। তার দাদার জন্মস্থান তুরস্ক। যেখান থেকে পরবর্তীতে তারা জার্মানিতে স্থায়ী হন। ২০১৮ সালে সবশেষ জার্মানির হয়ে খেলা ওজিল বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব ইস্তাম্বুল বাসাকসেহিরে খেলছেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বন্ধুরা কেউ যেতে পারবেনা তাই ক্যাম্পাসেই গায়ে হলুদ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বন্ধুরা কেউ যেতে পারবেনা তাই ক্যাম্পাসেই গায়ে হলুদ

      জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মিশকা জান্নাত মীম এর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের একজন সাধারণ মেয়ে।

      জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের পাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর হতে একজন দুইজন করে বন্ধুরা জমা হতে থাকেন মিশকার সহপাঠীরা। বিকেল হলে মিশকা এলে তার হাতে ও মুখে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। এছাড়াও কেউ গান গেয়ে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেখানে। দৃশ্যটি ছিল দেখার মত।

      মিশকা জান্নাত মীমের (কনে) সহপাঠীরা জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর পারিবারিক ভাবে সিরাজগঞ্জের হাসিববুর রহমান হৃদয়ের সাথে বিয়ে হচ্ছে তাদের। হাসিববুর রহমান হৃদয় পেশায় সিনিয়র আর্টিস্ট ডিজাইনার। বর্তমানে ক্লাস ও পরিক্ষার চাপ অনেক বেশি তাই সবার পক্ষে বিয়েতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব না এজন্য কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী মিলে একটা ছোট পরিসরে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করেছি। তাছাড়া ক্যাম্পাসের গায়ে হলুদটা একটা ভিন্ন রকম আনন্দের বিষয়। এছাড়াও বান্ধবীর বিয়ের স্বরণীয় ও স্মৃতিময় রাখতে ক্যাম্পাসে এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে হতবাক অনেকেই। দর্শনার্থীরাও সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছেন, আসলে কী চলছে! কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা খুব অল্পই হয়।

      এ বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মিশকা জান্নাত মীম (কনে) বলেন, আমার বন্ধুদের এত সুন্দর আয়োজনে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবেনি আমার বিয়ের জন্য আমার বন্ধুরা এত কষ্ট করে দিনটা স্মরণীয় করে রাখবে।আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি স্মরণীয় দিন হল এটা। তাদের এ আয়োজনে আমি বাকরুদ্ধ শুধু এতটুকুই বলবো।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        খুবিতে প্রশাসনিক কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:২৩
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        খুবিতে প্রশাসনিক কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ

        খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

        গত ২৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

        সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে নিয়ে যেতে বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত নানামুখী প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নিয়েছেন। যার ফলে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গতি পেয়েছে। নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় প্রতিমাসে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠানসহ বেশকিছু প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

        মতবিনিময় সভায় অংশ নেন প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মুজিবুর রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, শাখা প্রধান (সেন্ট্রাল স্টোর) অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার টিপু সুলতান, শাখা প্রধান (প্রশাসন) উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মণ্ডল, শাখা প্রধান (সংস্থাপন-১) উপ-রেজিস্ট্রার মো. শহিদুল আলম হাওলাদার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক এইচ এস শাহরিয়ার কামাল রানা, রেজিস্ট্রারের সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভায় বিভিন্ন বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইবিতে পাইলিং এর আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ইবিতে পাইলিং এর আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

          ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ১০ তলা দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে পাইলিং এর আঘাতে ওবাইদুল নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

          প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাইলিং মাটিতে পোতার পর সাধারণত অবশিষ্টাংশ কেটে ফেলা হয়। আজকেও পাইলিং শেষে তিন ফুটের মতো কেটে ফেলে সড়িয়ে নেয়ার সময় পাইলিং গাড়ির নিচে থাকা ওবাইদুল ও পাপ্পুকে কন্ট্রোলার সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তবে পাপ্পু সরে যেতে পারলেও নিহত ওবাইদুল সরতে না পারায় পাইলিং এর আঘাতে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় ইবি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে রেফার করে দেয়। আহত ওবাইদুলকে বহনকারী এম্বুল্যান্স চালক আনিস জানায় কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বিত্তিপাড়া নামক স্থানে মারা যায় ওবায়দুল। নিহত ওবাইদুলের বাড়ী পাবনা জেলায়।

          প্রশাসন ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা এম জামান এন্ড কোং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রাসেল জানায়, আমি বিষয়টি আমাদের হেড অফিসে জানিয়েছি। এখন তারা নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের সাইটগুলোতে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি নেই। তবে ব্যাপারটি একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটণা।

          এ বিষয়ে ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শোনামাত্রই মেডিক্যালে ফোন দিয়েছি। আমাদের মেডিক্যালের এম্বুলেন্স দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া নেয়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি পুরোটাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো দায়দায়িত্ব নেই। কারণ লেবার তারাই নিয়োগ করে আর আমাদের চুক্তি কন্ডাক্টারদের সাথে।

          জানা যায়, নিহত নির্মাণশ্রমিকের নাম ওবায়দুর রহমান (৩২)। তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্বে দিয়ারবাকল গ্রামে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত