ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের এ তারিখ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি। সেখানে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন প্রয়োজন হবে। কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত প্রত্যয়নপত্র লাগবে। অবশ্য কেউ অতীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে থাকলে এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী— গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। যার ফলে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    জনবান্ধব সেবায় চেহারা বদলে গেছে কয়রা ভূমি অফিসের

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    জনবান্ধব সেবায় চেহারা বদলে গেছে কয়রা ভূমি অফিসের

    মিনহাজ দিপু, (কয়রা) প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন উপকূলের জনপদ কয়রা উপজেলায় জনবান্ধন সেবায় বদলে গেল উপজেলা ভূমি অফিস। বর্তমান সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের, অফিসে কর্মকর্তাদের দেখা মিললেও একটা কথার জায়গায় দুইটা কথা বলা যায় না। ভূমি সেবা নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের।

    সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী কয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান। তাঁর নানামুখী পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে কয়রা উপজেলা ভূমি অফিস একটি জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিসকে অনিয়ম,দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত সেবা সহজ করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান কাজে যোগদানে পর থেকেই ভূমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব কমেছে।  জনগণের ভোগান্তি লাগবে সেবার সবকিছু এখন অনলাইনে। উপজেলা ভূমি অফিসে কোন আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। বর্তমান সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ব্যবস্থা শতভাগ অনলাইন আপডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র অনলাইনে আপলোড, বাদি-বিবাদীর সরাসরি শুনানি আর দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমির নামজারিসহ নানামুখী সেবায় পাল্টে গেছে কয়রা উপজেলা ভূমি অফিস। সেবা নিতে নেই আগের মতো তৃতীয় পক্ষ কিংবা দালালের দৌরাত্ম। কোনো হয়রানি ছাড়াই মিলছে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ভূমি অফিসের নানামুখী সেবা পেয়ে খুশি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। যারা এক সময় তৃতীয়পক্ষের সহায়তা ছাড়া জমির কোনো কাজই করতে পারতেন না, তাঁরাই এখন নিজের সমস্যার কথা নিজেরাই ভূমি অফিসে এসে বলতে পারছেন এনিল্যান্ড কে।

    সরেজমিন কয়রা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, এসিল্যান্ড অফিসে বসে আছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশ থেকে বাইশ জন সেবা প্রার্থী। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেই প্রত্যেকের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন। দিচ্ছেন সমাধানও। জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজ অফিস রুমে প্রতি সপ্তাহের গণশুনানি করেন।

    উপজেলার সাধারণ মানুষেরা জানান, ‘বর্তমান এসিল্যান্ডের সৃজনশীল কাজ করার মানসিকতা আছে বলেই জনগণ সেবা পাচ্ছে। মূলত এ কারণেই ভূমি অফিসের সেবার মান পরিবর্তন হয়েছে। সেবাপ্রার্থীরা জানান, বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসার পর থেকে মানুষের দোড়গোড়ায় ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। যেকোনো মানুষ যেকোনো সময় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে কথা বলতে পারছেন।

    সেবা গ্রহীতা কয়রা সদরের গোবরা গ্রামের মো.হাফিজুর রহমান বলেন, আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের সেবা ও আচরণে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।একজন কর্মকর্তা আমার সাথে এত সময় দিয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবেন তা আগে ভাবেনি।তিনি সব কথা শুনলেন এবং পরামর্শ দিলেন। এসিল্যান্ড সাহেব অনেক ভালো মানুষ।খুব ভালো লাগছে। উনার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করছি।

    ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সেলিম হোসেন বলেন, অতিরিক্ত টাকা-পয়সা দেওয়া লাগে না। সরকারি খরচ যা তাই দিতে হচ্ছে। হয়রানি ছাড়াই সব কাজ করে দিয়েছে।

    কয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান বলেন,জনবান্ধব জনসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। একজন মানুষও যাতে ভোগান্তির স্বীকার না হয় সেজন্য ভূমি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তৎপর রয়েছে। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সেবা দিতে।

    তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,বাজার মনিটরিং, খাদ্যে ভেজাল বন্ধে ব্যবস্থা,ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা,অপরিছন্ন হোটেল, প্রতারকদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কয়রায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:২১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কয়রায় হাতের টানে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ ঢালাই

      কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে গোবরা সড়কের এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই উঠে যাচ্ছে পিচ। এ সড়ক নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

      এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে নির্মাণ কাজ চলাকালে ভূর্তপূর্ব ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার ভূমি বি.এম তারিক উজ জামান সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয়ার পাঁচ দিন পরেই সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে।

      সরেজমিনে মঙ্গলবার গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটার সড়কের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ রাস্তায় পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের তিন দিনের মাথায় রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে, সরে যাচ্ছে খোয়া। স্থানীয়রা সড়কের পিচ-খোয়া হাত দিয়েই উঠিয়ে ফেলছেন।

      জানা গেছে, সুমনা এন্টারপাইজের মাধ্যমে ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার মূল্যে গোবরা এলাকার ১ কি.মি সড়ক কাজ জুন ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও সড়কের কাজ শেষ হয়নি।

      স্থানীয় গোবরা গ্রামের বাসিন্দা তৈমুর হাসান বলেন, রাস্তা নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার ওই ঠিকাদারকে জানালেও তিনি তাদের অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করেন। রাস্তার কিছু কাজ শেষ হওয়ার ৫ দিন পর থেকেই পিচ উঠে যাচ্ছে। হালকা যানবাহনের চাপেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ।

      এলাকাবাসী জানায়, পাঁচ দিন আগে পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে নতুন এ সড়কটিতে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় পিচ ঢালাইয়ের পাঁচ দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পিস। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

      কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। রাস্তা দেখতে প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে পাঠিয়েছি, দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        আগামীকাল ২ হাজার নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:১২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        আগামীকাল ২ হাজার নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

        সারাদেশে আগামীকাল মঙ্গলবার ২ হাজার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া এদিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নবনির্মিত ভবন, কক্সবাজার লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টার, ৪টি মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন হবে।

        অনুষ্ঠানটি সব জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি লাইভ প্রচার হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সুপারিন্টেনডেন্ট, পিটিআইয়ের কর্মকর্তাদের লাইভে যুক্ত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনসারুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সব শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

        চিঠিতে বলা হয়, ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নবনির্মিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ভবন, কক্সবাজার লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টার, ৪টি মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম এবং ২০২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (মোট ২০২৯টি ভবন) শুভ উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সব জেলার জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।

        সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সুপারিন্টেনডেন্ট, পিটিআইকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য উপাত্ত ও আওতাধীন কর্মকর্তা/প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম ফলক স্থাপন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ‘একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম’

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:৪২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ‘একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম’

          কক্সবাজার যুক্ত হলো রেলের সাথে। এখন থেকে দেশেরে যে কোন প্রান্ত থেকে রেলেই কক্সবাজার যেতে পারবেন পর্যটকরা। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হলো আজ।

          উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

          শনিবার দুপুরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

          তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্রসৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি, তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ।

          তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়। অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল।

          অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

           

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত