কোনও রাজনৈতিক দলকে ধরে নির্বাচনে আনার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

কোনও রাজনৈতিক দলকে ধরে বেঁধে নির্বাচনে আনার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে জনগণ তাদের প্রাধান্য দেয় না। আমরা চাই আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। তবে কোনও দল নির্বাচনকে প্রশবিদ্ধ করতে অংশগ্রহণ না করলে তাদের ধরে বেঁধে নিয়ে আসার সুযোগ নেই।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, ‘সময়, নিয়ম ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বাংলাদেশে যদি সঠিকভাবে নির্বাচন হয়, তাহলে মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যারা বিরোধিতা করবেন বলেই বিরোধিতা করেন, তাদের যুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আশা করি আগামী নির্বাচনে যোগ্য সব দল নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে। সব ব্যবস্থা থাকার পরও যদি কেউ নির্বাচন অংশ না নেয়, সেটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে আমরা সবসময়ই চাই সবার অংশগ্রহণ নির্বাচনে হোক।’
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪১তম বিসিএস লিখিতের ফল শিগগিরই: চেয়ারম্যান

৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আলাপকালে এসব কথা জানান সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
তিনি জানান, পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু পরীক্ষক নির্ধারিত সময়ে খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ করতে পারেনি। এছাড়া অনেকগুলো খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছিল। সেজন্য ফল প্রকাশ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে আমরা এই ভুলগুলো চিহ্নিত করেছি।
কবে নাগাদ ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, ফল প্রকাশের কাজ প্রায় শেষ। সহসাই ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন চার লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এ বিসিএসে ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে দুই হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
শিক্ষার হার ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার হার ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন জাতির পিতা। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সীমিত আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। করোনার মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন এবং শিক্ষার গুণগত-মান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।
নতুন ১৩ হাজার সরকারি পদ সৃষ্টি হচ্ছে, সিদ্ধান্ত আজ

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১২ হাজার ৮৪২ নতুন পদ সৃষ্টি ও স্থায়ীকরণ হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠছে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে জুমে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেঠছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে পদ সৃষ্টির জন্য বড় প্রস্তাব এসেছে। করোনাকালে রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য দুই ধাপে ১০ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দেয় সরকার। এসব পদ সৃষ্টির ভূতাপেক্ষ অনুমোদনে সচিব কমিটিতে উঠছে। প্রথম ধাপে ছয় হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ২২ জেলায় ৮৮ পদ অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে সৃজন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩ ক্যাটাগরিতে ৭৬৬ পদ অনুমোদন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ১০ পদ সৃজন, স্থাপত্য অধিদপ্তরের ১৭ পদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ২১ অস্থায়ী পদ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে ১৪১ পদের ভূতাপেক্ষ ও ১৬ পদ রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে সৃজন, স্র্রেডার ১৫ পদ রয়েছে।
এ ছাড়া শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘরের অস্থায়ী হিসাব সহকারীর পদ, ১৪ সরকারি মেডিকেল কলেজের ২৮ পদ, ২৩ সরকারি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজ এবং আট বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটের মেডিসিন বিভাগের জন্য ১৮৩ পদ সৃজন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামোয় টেলিফোন প্রকৌশলীর সাত পদের নাম সংশোধন প্রস্তাব বৈঠকে উঠবে।
এর বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের আগে কর্মরতদের আত্তীকরণের লক্ষ্যে ২৮ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬৫ পদ, দুটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৪, দুটি কলেজের ৪৯ পদসহ ৭৪৮ পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সরকারি সংস্থায় চাকরির সুযোগ, পদ ৪৬, আবেদন ফি ১০০

বাংলাদেশ সরকারের অধীন একটি অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ১৬তম গ্রেডে ৪৬ জন গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: গাড়িচালক পদসংখ্যা: ৪৬ যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। হালকা/ ভারী গাড়ি চালনার বৈধ হালকা/ ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকেরা অগ্রাধিকার পাবেন। বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড–১৬) যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, যশোর, ভোলা, পিরোজপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। তবে এতিম কোটার উপযুক্ত যেকোনো জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সাধারণ প্রার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি–নাতনি, এতিম, নারী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যের কোটার প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।
আবেদন যেভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
আবেদন ফি অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর ২০২২, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মন্তব্য