ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবিঃরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। চলবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

রাকসু ও সিনেট কার্যকর, ভর্তুকিসহ খাবারের মান বৃদ্ধি, বাসের ট্রিপ বৃদ্ধি, মেডিকেলের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, সার্বক্ষনিক লাইব্রেরি খোলা রাখা, আবাসন সংকট নিরসন করা, বিভাগগুলোতে অতিরিক্ত ফি বাতিল করা, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা,পোষ্য কোটা বাতিল করা,রোল নং বাতিল করে কোডের মাধ্যমে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন, গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধিকর সহ ১৬ দফা দাবিতে তাদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।

এতে একাত্মতা পোষণ করে দু'দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন। শিক্ষার্থীদের এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সিনিয়র শিক্ষককেও স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ পাটোয়ারী বলেন, "আমরা ১৬ দফা দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেছি। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সবগুলো দাবি যৌক্তিক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। এ দাবিগুলো আমাদের সকলেরই চাওয়া। শুধু আমি না এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সকলেই গণস্বাক্ষর করে এতে একাত্মতা পোষণ করা উচিত বলে আমি মনে করছি।"

রাকসু নির্বাচন দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিনেট কার্যকরসহ ১৬ দফা দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।

তিনি বলেন, ১৬ দফা দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি। সেটার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। এভাবে আমরা রাকসুর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে সেমিনার করব এবং মাসের শেষে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করব। কেননা রাকসু নির্বাচন একটি যৌক্তিক দাবি। তাই প্রশাসন অবিলম্বে এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকিব। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকদিন যাবত রাকসু কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ছাত্রদের হয়ে কথা বলার কোনো মাধ্যম নেই। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এমন কর্মসূচির যথার্থতা রয়েছে বলে তিনি জানান।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, নাইমুল ইসলাম ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মেহেদি মুন্না, আশিকুল্লা মুহিব, রুদ্র আল মুত্তাকিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিনেট কার্যকর করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের নেতারা। এসময় ১৬-দফা দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির ডাক দেন তারা।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    জাবিতে নভেম্বরে চালু হচ্চে দুটি হল, থাকছে যেসব সুবিধা

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৪৯
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    জাবিতে নভেম্বরে চালু হচ্চে দুটি হল, থাকছে যেসব সুবিধা

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন দুইটি হল চলতি মাসেই (নভেম্বর) উদ্বোধন করা হবে। এসব হলে  থাকবে আধুনিক সুযোগসুবিধা । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ছাত্র ও ছাত্রীদের তিনটি করে মোট ছয়টি হলের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে। এসব হলের প্রতিটিতে ১ হাজার জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ১৪টি ভবন নির্মাণ করা হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬টি আবাসিক হল রয়েছে। তবে সেসব হলে সব শিক্ষার্থীর আসন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীগণ গণরুমে থাকতে বধ্য হন। তবে এই আসন সংকট নিরসন করার লক্ষ্যে চলতি মাসেই ছাত্রদের জন্য একটি ও ছাত্রীদের আরেকটি নতুন হল উদ্বোধন করা হবে বলে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।

    উপাচার্য আরো বলেন, হলগুলো থেকে গণরুম সংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে আপাতত আগামী নভেম্বর মাসে দুটি হলের উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবগুলো হলের কাজই প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। তবে পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় শুরুতে ছাত্রদের ১টি ও ছাত্রীদের ১টি মোট দুটি হল উদ্বোধন করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি চারটি হলও উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্যে হলগুলোর নামকরণ এবং উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।

    এদিকে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উদ্বোধনের জন্য নির্মাণাধীন হলগুলোতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। এ মাসের মধ্যেই নতুন দুটি হল উদ্বোধন করার জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন হলগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংযুক্ত করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাও থাকবে। যা বর্তমান অন্য ১৬টি হলে নেই।

    নতুন প্রতিটি হলে রাখা হয়েছে ছয়টি করে লিফট। প্রতিবারে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী লিফটে চলাচল করতে পারবে। হলের প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে থাকবে বারান্দা ও করিডোর। হলের মধ্যে বিনোদনের জন্য থাকবে তিনটি করে কমন রুম, পড়ালেখার জন্য উন্নত লাইব্রেরি, হল ছাত্র সংসদ ও একটি ক্যান্টিন। এছাড়া হলগুলোর ডাইনিংয়ে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী একত্রে খাবার খেতে পারবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যেন নিজেরাও রান্না করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সেজন্য প্রতি তলায় থাকবে গ্যাসের চুলা। শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামের জন্য হলের মধ্যেই জিমনেশিয়ামের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া হল থেকেই ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগের সুবিধা থাকবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য আবরার ফাহাদের নামে স্কলারশিপ চালু

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য আবরার ফাহাদের নামে স্কলারশিপ চালু

      আলোচিত আবরার ফাহাদের নামে একটি স্কলারশিপ চালু করেছে বুয়েটিয়ান ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্ক(বিআইএন)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বুয়েটিয়ান ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্কের (বিআইএন) প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল হান্নান পরাগ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সাইন্স ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।

      বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চলমান সব ডিপার্টমেন্ট ও সব ব্যাচের (L4-T1 এবং L4-T2) শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুয়েট ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্যাতনমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক হিসেবে এ বৃত্তি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

      বিআইএন বলছে বৃত্তি পেতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু মানদন্ডে সামনে রেখে বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচন করা হবে। যথাঃ

      ০১. শহীদ আবরার ফাহাদের চেতনা এবং দেশপ্রেমকে সমুন্নত রাখতে হবে। এ’ছাড়াও তারা একাধিক উপায়ে বৃত্তির জন্য মনোনীত করবে। ক্যাম্পাসে এবং আবাসিক হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি, ভিন্ন মতামতের সাথে শিক্ষার্থীদের আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা নির্মূলের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা এবং দেশের সমর্থনে জাতীয় সমস্যাগুলির জন্য আন্দোলন  করার মানসিকতা থাকতে হবে।

      ০২. পাশাপাশি, প্রার্থীর পুরো বুয়েট জীবনে কোন প্রকার হয়রানি, সহিংসতা, র‌্যাগিং, ডান বা বাম রাজনীতি ইত্যাদির সাথে জড়িত থাকতে পারবে না।

      ০৩. এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য কোন ন্যূনতম সিজিপিএ এর প্রয়োজন নেই, তবে আবেদনকারীর সিজিপিএ ২.৭৫ থাকবে বলে আশা বিআইএন’র। বৃত্তির পরিমাণ, প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ডলার সমপরিমাণ টাকা দেয়া হবে। পাশাপাশি, বিজয়ীদের যেকোনো সামাজিক প্রকল্পে অর্থায়ন সহ ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেবে তারা।

      ০৪. প্রার্থীকে তাদের ইমেলের (BinTradingLLC@gmail.com)মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক তথ্য প্রদান, বুয়েটে ছাত্রত্বের প্রমাণ এবং এই বৃত্তির জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য তারা কী করেছে তার ব্যাখ্যা। একটি সংবাদপত্রের প্রকাশনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য সম্পূরক তথ্য হিসাবে জমা দিতে হবে আবেদনের সাথে।

      ০৫. বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমান শিক্ষক, বর্তমান ছাত্র ইত্যাদির সমন্বয়ে একটি বেনামী বাছাই কমিটি থাকবে যারা শুধুমাত্র নির্বাচনের মানদণ্ডের ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।

      ০৬. বাছাই কমিটি সমস্ত আবেদন পর্যালোচনা করবে, শীর্ষ ৩ প্রার্থীকে সিলেক্ট করবে এবং পুরস্কার প্রদানকারী প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বিআইএন এ পাঠাবে।

      ০৭. প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করতে নির্বাচিত শীর্ষ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারও নিবে বিআইএন।

      ০৮. প্রতি বছর শুধুমাত্র একটি বৃত্তি দেওয়া হবে। যদি দুইজন প্রার্থী উল্লেখযোগ্য যোগ্যতা দেখায়, উভয়কেই নির্বাচিত করা হবে এবং বৃত্তির অর্থ ভাগ করে নেওয়া হবে। কোন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন না হলে ওই বছর কোন বৃত্তি প্রদান করা হবে না। যা জমা থাকবে ভবিষ্যতে পুরস্কারের জন্য তহবিলে।

      ০৯. বাছাই কমিটি এবং বিআইএন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং সিদ্ধান্ত আপিল বা বিরোধ করতে পারবে না আবেদনকারীরা।

      ১০. ক্ষেত্রবিশেষে এই বৃত্তি বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত এবং সক্রিয় একটি সংস্থাকে প্রদান করা হবে।

      ১১. বৃত্তির অর্থ যেকোনো উপায়ে ব্যয় করতে পারবে বিজয়ীরা। তবে বুয়েটিয়ানদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত কিংবা হয়রানি, ধমক, র‌্যাগিং বা রাজনৈতিক বিষয়ে ব্যয় করতে পারবে না।

      আরো পড়ুনঃ যমজ তিন ভাই-বোনের কৃতিত্বঃ সব পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তারা

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        যমজ তিন ভাই-বোনের কৃতিত্বঃ সব পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তারা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৪
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        যমজ তিন ভাই-বোনের কৃতিত্বঃ সব পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তারা

        সম্প্রতি এবছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভোলায় চমক সৃষ্টি করেছিলেন মো. মিয়াদ হাসান সান, মো. মেহেদী হাসান ও মুশফিকা জাহান মুন নামে যমজ তিন ভাই-বোন। তারা তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

        যমজ এই তিন ভাই-বোন ভোলার দৌলতখান পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মো. মোসলেহ উদ্দিন ও বিবি খাতেমা বেগমের সন্তান। মো. মোসলেহ উদ্দিনের ভোলার বাংলাবাজারে টিভি ও ফ্রিজের শো-রুমের ব্যবসা রয়েছে ও মা বিবি খাতেমা বেগম দৌলতখান উপজেলার ৫৬নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

        মো. মোসলেহ উদ্দিন ও বিবি খাতেমা বেগম  জানান, ২০০৪ সালের ১৫ই মে সকাল ৭ টায় বাসায় তাদের প্রথম সন্তান মুশফিকা জাহান মুন জন্মগ্রহণ করে। পরে সমস্যা দেখা দিলে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মো. মিয়াদ হাসান সান ও দুপুর ১২টার দিকে মেহেদী হাসান জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ওরা তিন ভাই-বোন পড়াশুনায় খুবই মনোযোগী। ২০১৩ সালে দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিন ভাই-বোন সর্বপ্রথম পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে দৌলতখান সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় দুই ছেলে ও দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেয়ে জিপিএ-৫ পায়। ২০১৯ সালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তারা এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

        চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় দুই ছেলে দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে ও মেয়ে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

        তাদের এমন ধারাবাহিক কৃতিত্বে এই দম্পতি উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। মেয়ের স্বপ্ন রয়েছে বিসিএস ক্যাডার হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবে আর ছেলে মো. মিয়াদ হাসান সানের স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট ছেলের স্বপ্ন পাইলট হওয়ার। আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করে যাবো ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। এজন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি।’

        দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ গোবিন্দ সরকার জানান, মো. মিয়াদ হাসান সান ও মো. মেহেদী হাসান দুই ভাই পড়াশুনায় অনেক মনোযোগী। তারা অনেক মেধাবীও।

        দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. তারেক হাওলাদার জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় যমজ তিন ভাই-বোনের সফলতা দৌলতখান উপজেলার জন্য গর্বের বিষয়। তাদের কোনো সহযোগিতা লাগলে উপজেলা প্রশাসন থেকে করার প্রতিশ্রুতিও তিনি তখন প্রদান করেন।

        আরো পড়ুনঃ বাবা দিনমজুর, ছেলে ২ কোটির স্কলারশিপ পেয়ে পাড়ি দিচ্ছে আমেরিকা

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          চলতি মাসে শুরু হতে যাচ্ছে বেরোবির মূল ফটকের নির্মাণ কাজ

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:১৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          চলতি মাসে শুরু   হতে যাচ্ছে  বেরোবির মূল ফটকের নির্মাণ কাজ

          পুলক আহমেদ, বেরোবি প্রতিনিধি:চলতি মাসেই শুরু হবে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত মূল ফটক নির্মাণের কাজ । তিন তলা ভবনের সমান উচ্চতা বিশিষ্ট গেটের সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ২৮ফুট ১১ইঞ্চি এবং ৮১ফুট১১ ইঞ্চি প্রশস্ত ।

          আজ বুধবার( ২ নভেম্বর২০২২) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আকিফ। তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসেই গেটের টেন্ডার পাস হয়ে যেত । কিন্তু গেটের বাস্তব রুপ দেওয়ার জন্য নকশার অভ্যন্তরীণ পরিমাপগত কিছু পরিবর্তন আনার কারণে এটা সম্ভব হয়নি ।গেটের চূড়ান্ত নকশার সফট কপি আমরা পেয়েছি । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নকশার হার্ড কপি পেয়ে যাব। এরপর এতে উপাচার্য স্বাক্ষর দিলে চলতি মাসেই টেন্ডার পাশের মাধ্যমে গেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

          তিনি আরও বলেন,কাজ শুরুর ৪থেকে সাড়ে ৪ মাসের মধ্যেই গেটের নির্মাণ কাজ শেষ করে আমরা শিক্ষাথীদের প্রত্যাশিত একটা পূর্ণাঙ্গ গেট উপহার দিতে পারব ।

          বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ত পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সাদ সিদ্দিকের পাঠানো প্রধান ফটকের নকশার আইডিয়া অবশেষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।

          এর আগে প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নকশা সম্পর্কে মতামত চাওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠানো আইডিয়া থেকে দেশের বিশিষ্ট স্থপতিদের নিয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে ২৭টি নকশা যাচাই-বাছাই শেষে নকশা এটি চূড়ান্ত করা হয়।

          ৪জুলাই২২( সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধান ফটক নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

          মূল ফটকের ফোকাস প্রসঙ্গে নকশাকারী বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আর্কিটেকচার আব্দুল্লাহ সাদ সিদ্দিক দ্যা রাইসিং ক্যাম্পাসকে বলেন,এই মূল ফটকটির দুটি সমান ট্র্যাপিজয়েডাল অংশটি নারী এবং পুরুষ সমঅধিকার এবং মর্যাদার প্রতিনিধিত্ব করে। যা বেগম রোকেয়ার আজীবন সংগ্রাম ও অপরিসীম অবদানকে ইঙ্গিত করে।

          তিনি আরও বলেন ,মূল ফটকের আকারটি একটি খোলা বইয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। যেন দেশজুড়ে সকল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা জ্ঞানের গেটওয়ে হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত