ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

সংঘর্ষ-ভাঙচুরের জেরে চবির ১৭ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
সংঘর্ষ-ভাঙচুরের জেরে চবির ১৭ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

সংঘর্ষ, আবাসিক হল ভাঙচুর, সাংবাদিক হেনস্তা, শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনাম বিনষ্টসহ বিভিন্ন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জনই শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সতর্কও করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। চবি প্রোক্টর বলেন, গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত হলেন যারা:

গত বছরের ১১ আগস্ট খালেদা জিয়া হলে ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসফিয়া জাসারাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর এক কর্তব্যরত সাংবাদিককে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় দুইজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয় ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব মোহাম্মদ আতিক।

গত বছরের ৮ অক্টোবর আলাওল হলের প্রভোস্ট কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হাসান মাহমুদকে এক বছর এবং একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া গত ২ ডিসেম্বর এ এফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র হাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, হল কক্ষ ভাঙচুরসহ মূল্যবান সম্পদ বিনষ্টকরণ ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনায় ৬ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, সংস্কৃত বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন ও একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নাহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার দায়ে আরও ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আমিরুল হক চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাহিম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকরামূল হক, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন দেবনাথ।

শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনাম বিনষ্টের অভিযোগে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:২০
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ। আনন্দ র‍্যালী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কেক কেটে দিবসটি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নেতা-কর্মীরা।

    আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা মোহাইমেনুল ইসলাম নুহাশ, নাঈম রহমান, জাহিদ হাসান শুভ, আক্তারুজ্জামান জিসান এবং নজরুল ইসলাম নাঈমের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

    উল্লেখ্য, বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।

    শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      পবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৩
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      পবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

      পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

      বুধবার সকাল ১০টায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর(টিএসসি) সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

      এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ. বি. এম. মাহবুব মোর্শেদ খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ, পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

      সকাল ১০ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

      এ সময় পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবনিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন," স্মাট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ও আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে তরান্বিত করার জন্য পবিপ্রবি ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে।"

      সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক বলেন,"বাংলাদেশ ছাত্রলীগ "পবিপ্রবি শাখা" ইতিবাচক ভূমিকা রেখে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সর্বপরি দেশের স্বার্থে অবদান রাখবে।"

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৩৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা

        আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যাবৎ ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। ২০০৮ সালে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা লাভের পর থেকে এদেশের আপামর জনসাধারণের আস্থা ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে বিশ্ব দরবারে নতুনরূপে পরিচিতি দান করেছে শেখ হাসিনা সরকার। অন্যদিকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতি, হত্যা, খুন, ধর্ষণের মাধ্যমে দেশকে বিশ্ব মাঝে প্রথম স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার তথা আওয়ামী সরকারের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্ব মাঝে উন্নয়নের রোল-মডেল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ ও ভিশন-মিশন বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

        মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠছে দিন দিন। গ্লোবালাইজেশন ও প্রতিযোগিতার বিশ্বে নিজেদের সক্ষমতা অর্জনে এই সরকার অবদান অনস্বীকার্য।

        ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের ভ্রাতৃপ্রেমী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে সময়ের প্রয়োজন ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শিক্ষার্থীবান্ধব ও শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সংকট-সমস্যা সমাধানে কাজ করাই এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও এদেশের সাধারণ মানুষের যৌক্তিক দাবি ও অধিকার আদায়ে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে এদেশের ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রভাব বাংলাদেশও ছড়িয়ে পরে। করোনায় মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনরা যেখানে লাশ ধরতে সঙ্কোচবোধ করেছে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফন সম্পন্ন করেছে। অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় "জয় বাংলা অক্সিজেন " সেবা চালু করে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে থেকেছে।

        কৃষক তার পাকা ফসলী জমির ধান কাটতে শ্রমিকের অভাববোধ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের পাশে থেকে তাদের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। ইতিবাচক কাজের ব্রান্ড এম্বাসোডর হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করছে নিরবধি।

        বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন। ক্যাম্পাসভিত্তিক রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন মহানগর, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক রাজনীতির বিস্তৃতি রয়েছে। সকল ইতিবাচক কাজের ব্রান্ড এম্বাসোডর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি তথা ছাত্রলীগের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধা যাচাই-বাছাই ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে নিজের আসন নিশ্চিত করে মেধাবীরা পড়াশোনার সুযোগ পায়। বলা হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতির বিবেক। তাই ছাত্রলীগের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার স্বাক্ষর এদেশের জাতীয় রাজনীতি, প্রশাসন, বিচার, শাসন বিভাগ সহ সকল কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

        সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ অভিভাবক বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশসহ একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে নবপরিচয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিরলস ও মেধাভিত্তিক, প্রতিযোগিতামূলক কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিজের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে ১.স্মার্ট সিটিজেন ২.স্মার্ট ইকোনমি ৩.স্মার্ট গভর্নমেন্ট ৪.স্মার্ট সোসাইটি।

        চারটি শর্তের প্রথম ও প্রধান শর্ত স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন গড়ার কারখানা হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।দক্ষ,কারিগরি, সুশিক্ষা অর্জন করে পরবর্তী জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাবে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সে লক্ষ্যে গঠন করতে সহায়তা করবে। ছাত্রলীগের কর্মীরা শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্ডেই নয় বরং সর্বস্তরের পেশায় তার নৈতিক, আদর্শিক ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্মার্ট প্রত্যয়টি সাধারণ অর্থে আমরা যেমন ব্যবহার করে থাকি যে পোশাক পরিচ্ছদ বা দৈহিক চাকচিক্য বিষয়টিকে বুঝি প্রকৃত অর্থে স্মার্ট মানে হচ্ছে আচার-আচরণ, কথা-বার্তা, কর্মদক্ষতা, নৈতিকতা, চিন্তা-চেতনায়, মানসিকতায় অগ্রগামী হওয়াকে বুঝায়। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে স্মার্ট হয়ে উঠলে এর প্রভাব তার কর্মদক্ষতা বা কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে যাবে যা স্মার্ট ইকোনমি অর্জনে ভূমিকা রাখবে।কাজে-কর্মে, মানসিকতায় স্মার্ট হয়ে উঠলে এর ইতিবাচক প্রভাব সরকার ব্যবস্থায় অনন্য ভূমি রাখবে বা স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরিতে সহায়তা করবে।

        আর এর ফলে গোটা দেশে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে যা আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আর আগামীর বাংলাদেশ নির্ভর করছে বর্তমান ছাত্র ও তরুণদের উপর। তাই শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের স্ব স্ব জায়গা থেকে স্মার্ট প্রত্যয়টি ধারণ করতে হবে এবং সেলক্ষ্যে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

        লেখকঃ তুষার মাহমুদ, সভাপতি, বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগ, জবি।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম, সম্পাদক লুৎফর রহমান

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৫২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম, সম্পাদক লুৎফর রহমান

          জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠনা করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

          বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২.৩০টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল আলীম ফলাফল ঘোষণা করেন।

          প্রধান নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে নির্বাচনে মোট ৬৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

          নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সরোয়ার আলম, কোষাধ্যক্ষ পদে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মিরাজ হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. এম. এম. গোলাম আদম নির্বাচিত হয়েছেন।

          এছাড়াও সদস্য পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সৈয়দ আলম, ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা আক্তার, বায়োক্যামিস্ট্রি এন্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান পান্না, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীপিকা মজুমদার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মালেক নির্বাচিত হয়েছেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত