ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

যুদ্ধের প্রস্তুতি?

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: রাতে ব্ল্যাকআউটের মহড়া চালাবে ভারত

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ২১:৫৫
অনলাইন ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: রাতে ব্ল্যাকআউটের মহড়া চালাবে ভারত
ব্ল্যাকআউটের প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আজ রোববার (৪ মে) রাতে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস ও আশপাশের এলাকায় ব্ল্যাকআউটের মহড়া চালাবে ভারত।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই মহড়া চালানো হবে।

মহড়া যেন সফলভাবে করা যায় সেজন্য ফিরোজপুর সেনানিবাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানকার উপকমিশনার এবং স্টেশন হেডকোয়ার্টারের ‘সহায়তা এবং সহযোগিতা’ চেয়েছেন।

মহড়ার সময়টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। এছাড়া এ সময়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি ইস্যু করেছে সেনানিবাসের বোর্ড কর্মকর্তা।

মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয়েছে, “এটির লক্ষ্য হলো চলমান যুদ্ধের হুমকির সময় ব্ল্যাকআউট পদ্ধতি বাস্তবায়নে প্রস্তুতি এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।”

ব্ল্যাকআউট সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এক ব্যক্তিকে ঘোষণা দিতে শোনা গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর পেছনে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে ভারত। এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল, সীমান্ত বন্ধ ও পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলসহ কিছু ব্যবস্থা নেয় তারা। এর জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা তৈরি হয়। পাকিস্তানও সীমান্ত বন্ধ, সিমলা চুক্তি বাতিলসহ ভারতের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেয়।

হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১০দিন প্রতি রাতে সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র: এনডিটিভি

 

মন্তব্য

জম্মু ও কাশ্মীরে

ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি খাদে পড়ে নিহত ৩ ভারতীয় সেনা

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ২১:৩২
অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি খাদে পড়ে নিহত ৩ ভারতীয় সেনা

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি খাদে পড়ে তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

রোববার (৪ মে) স্থানীয় সময় সকালে অঞ্চলটির রামবান জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল গাড়িটি। এ সময় শ্রীনগর মহাসড়কের ব্যাটারি চশমামূল নামক এলাকায় দুর্ঘটনার কবলের পড়ে সেনাবাহিনীর গাড়িটি। মূল সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে পাশের ৭শ’ ফুট গভীর খাদে।

কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার ফলে গাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সেনাবাহিনী, পুলিশ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে একটি যৌথ উদ্ধার অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হয়। ঘটনাস্থলেই গাড়ির ভেতরে থাকা তিন সৈন্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পিটিআই’র তথ্য অনুসারে, নিহত তিন সেনা হলেন অমিত কুমার, সুজীত কুমার ও মান বাহাদুর। তাদের মৃতদেহ খাদ থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ২১:১৬
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করল ভারত

সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের পর পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বার্তাসংস্থা পিটিআই রোববার (৪ মে) জানিয়েছে, জম্মু কাশ্মিরের রামবনের বাগলিহার বাঁধে চেনাব নদীর পানি আটকে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কৃষ্ণগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমে ঝিলাম নদীর পানি আটকানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তোলে ভারত। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

পেহেলগাম হামলার একদিন পর জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের অধীনে হওয়া এ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে আসা তিনটি নদীর নদী পানি পাচ্ছিল পাকিস্তান। তবে চুক্তি বন্ধের পর নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এখন সেটিই করেছে নয়াদিল্লি।

ভারত ইঙ্গিত দিয়ে আসছে পেহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলাও চালানো হবে। আজ রোববারও দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন মোদি।

ভারত সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের পর পাকিস্তান সিমলা চুক্তির বাতিল করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তিটি হয়। এতে বলা হয়, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসন করবে। চুক্তিটি বাতিলের পর দুই দেশের সীমান্তে গত ১০ দিন প্রতি রাতে গোলাগুলি হচ্ছে। তবে গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

মন্তব্য

কাশ্মিরে হামলার ঘটনা মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল: পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৩:২৯
অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মিরে হামলার ঘটনা মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল: পাকিস্তান

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ভারতের মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই মন্তব্য করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পেহেলগামে হওয়া হামলাকে কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে ভারত। একইসঙ্গে এই হামলার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

রোববার (৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর — বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) — মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সূচকগুলো উন্নতির দিকে যাওয়ায় ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

আসিফ আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ভারতের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, পেহেলগাম হামলা ভারতের মোদি সরকার নিজেই সাজিয়েছে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য। তিনি বলেন, “যেকোনও মধ্যস্থতায় পৌঁছানোর আগে পেহেলগাম ঘটনার আসল সত্যতা বের করতে হবে।”

তিনি আরও জানান, পাকিস্তান শিগগিরই সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি সতর্ক করেন, যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উন্মাদনা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। আসিফ বলেন, “পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান ভারতের খারাপ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের এই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

এছাড়া ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করল ভারত, নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক সংঘর্ষ

    অনলাইন ডেস্ক
    ৪ মে, ২০২৫ ১০:৪৭
    অনলাইন ডেস্ক
    পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করল ভারত, নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক সংঘর্ষ

    ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে। তবে ওই পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা।

    এদিকে পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটকের দাবি করার পর কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ শনিবার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে। এ ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন পাকিস্তান গত ২৩ এপ্রিল বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাহুকে আটক করে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে কৃষকদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন সাহু।

    এদিকে আটক হওয়া পাকিস্তানি রেঞ্জারের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের হেফাজতে আছেন।

    ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে ভুল করে পার হওয়া সৈন্যদের ফেরত দেওয়ার একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তান সাহুকে ফেরত দিচ্ছে না, ফলে ভারতও পাকিস্তানি রেঞ্জারের ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

    এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রেঞ্জারকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এটি ১০ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের ধারাবাহিকতার অংশ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মিরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টর জুড়ে এই হামলা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ, যেখানে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি পোস্ট অংশ নেয়। অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিএসএফ সদস্য সাহুর মুক্তির জন্য একাধিক বৈঠক হলেও পাকিস্তান এখনও কোনও সময়সীমা বা অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

    এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

    সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

    এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

    এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত