ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮৩ জন বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। একই বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বেশি ছিল ৭৮৩ জন।

গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ১৫৫০ জন। ২০১৯ সালে ছিল ১৪৬৭ জন। আবার ২০২০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৭৬৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানায়, প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ডিজিটালাইজেশনের কারণে উচ্চশিক্ষার কোর্স কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখেই তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহ পাচ্ছেন বেশি। অনলাইনের মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশের ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২৬টি দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। দেশগুলো হচ্ছে—ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, সাউথ কোরিয়া, কানাডা, মৌরিতানিয়া, তানজানিয়া, অস্ট্রিয়া, রোয়ান্ডা, জিবুতি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, সাউথ সুদান ও বাহরাইন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, কানাডা থেকেও শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছিল এ দেশে।

ইউজিসির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার কারণে বহির্বিশ্বে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘জবাবদিহি, দায়বদ্ধতা ও শৃঙ্খলার কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট-প্রতি টাকা পরিশোধ করছে। সেই অনুযায়ী ক্লাসও বুঝে নিচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা কো-অর্ডিনেশন করছেন তারাও বেশ যত্নশীল।’

ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ‘একাডেমিক ক্ষেত্রেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশি যত্নশীল। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে কাজ করছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবে করছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনেও আপডেট থাকে।’

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং চালুর পরামর্শ ইউজিসিকে

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং চালুর পরামর্শ ইউজিসিকে

    বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) পরামর্শ দিয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইইই) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি অডিটোরিয়ামে কমিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অধ্যাপক সাইফুর রহমান এ পরামর্শ দেন।

    সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইউজিসি একটি স্ট্যান্ডার্ড র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করতে পারে। কিউএস র‍্যাঙ্কিং, টাইমস র‍্যাঙ্কিং, সাংহাই র‍্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন র‍্যাঙ্কিংয়ের আদলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যেতে পারে। র‍্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আউটকাম বেজড ইনভেস্টমেন্ট সিস্টেম চালু করার জন্যও তিনি ইউজিসিকে পরামর্শ দেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে গবেষণা প্রতিবেদন জমা এবং বিভিন্ন স্থানে এটি উপস্থাপনার সময় অ্যান্টি-প্লেজারিজম সফটওয়্যার দিয়ে যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে শিক্ষকদের গুণগত গবেষণা পরিচালনা ও গবেষণায় নৈতিকতা বজায় রাখার বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান এ অধ্যাপক।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘এটি খুবই ভালো একটি পরামর্শ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অভ্যন্তরীণ র‍্যাঙ্কিং হতেই পারে।’

    গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি রোধ ও সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনের জন্য ইউজিসি কার্যকর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। ইউজিসি গুণগত গবেষণা ও দক্ষতানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে আউটকাম বেজড এডুকেশন কারিকুলামের দিকে এখন বেশি নজর দিচ্ছে।’

    সভায় ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি, লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করা ও দক্ষ টেকনিশিয়ান তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      অধ্যাপক সাদেকা হালিমকে ভোটে হারিয়ে ঢাবিতে নীল দলের ডিন প্রার্থী জিয়াউর রহমান

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪৩
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      অধ্যাপক সাদেকা হালিমকে ভোটে হারিয়ে ঢাবিতে নীল দলের ডিন প্রার্থী জিয়াউর রহমান

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নীল দলের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান। নীল দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন। গত শনিবার ডিন পদের প্রার্থী বাছাইয়ে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে সমান ভোট পান জিয়াউর রহমান ও সাদেকা হালিম।

      এরপর মঙ্গলবার আবারও নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আর এই নির্বাচনে ১৯ ভোটের ব্যবধানে সাদেকা হালিমকে হারিয়ে দেন জিয়াউর রহমান। এর ফলে ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ডিন নির্বাচনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে জিয়াউর রহমানই হচ্ছেন নীল দলের চূড়ান্ত প্রার্থী। অপর দিকে দুটি অনুষদে নীল দলের সঙ্গে আঁতাত করে প্রার্থী না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের একাংশ।

      মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে নীল দলের দ্বিতীয় দফা অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটি হয়। নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নীল দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে অধ্যাপক জিয়াউর রহমান ৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অপর দিকে অধ্যাপক সাদেকা হালিম পেয়েছেন ৭০ ভোট।

      এর আগে গত শনিবার নীল দলের এক সভায় ডিন নির্বাচনে নীল দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ভোটাভুটি হয়। সেখানে সাদেকা হালিম ও জিয়াউর রহমান দুজনই ৭২টি করে ভোট পান।

      পরোক্ষ শক্তির প্রভাবের অভিযোগ অভ্যন্তরীণ ভোটে বিভিন্ন ‘পরোক্ষ শক্তির’ প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম৷ তবে হেরে যাওয়ায় নীল দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলে জানান তিনি৷

      অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘জয়লাভ করায় অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অবস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে৷ নীল দলে এখন অনেক বেশি অনুপ্রবেশকারী। জিয়াউর রহমানের পেছনে অনেক পরোক্ষ শক্তির সমর্থন ছিল, যে আশীর্বাদটি আমি পাইনি।’

      তবে পরোক্ষ শক্তির বিষয়টি খোলাসা করেননি সাদেকা হালিম। কিন্তু তাঁর সমর্থক একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, সাদেকা হালিমকে হারানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তৎপরতা ছিল। অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে ভোট দেওয়ার জন্য কনিষ্ঠ অনেক শিক্ষককে হুমকিও দেওয়া হয়েছে৷ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনটি বিভাগের পদোন্নতি বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে৷ ওই তিনটি বোর্ডেই সাদেকা হালিমের থাকার কথা ছিল৷ এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক জিয়াউর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুজনের আগের ভোটে ফলাফল ছিল ৭২-৭২, এখন ৮৯-৭০৷ এটা একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে৷’

      নীল দলের সঙ্গে সাদা দলের আঁতাতের অভিযোগ

      ডিন নির্বাচনে আটটি অনুষদে প্রার্থী দিলেও দুটি অনুষদে প্রার্থী দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল৷ ওই দুটি অনুষদ হলো আইন ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস৷ কিন্তু এই দুটি অনুষদে সাদা দলের অবস্থান ভালো হলেও নীল দলের সঙ্গে আঁতাত করে প্রার্থী দেয়নি বলে অভিযোগ করেছে সাদা দলের একাংশ।

      নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুটি অনুষদের সাদা দল সমর্থক একাধিক শিক্ষক বলেন, আইন অনুষদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একজন প্রভাবশালী নেতা এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ‘আঁতাত’ করেছেন সাদা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ নীল দলের ওই দুই প্রভাবশালী শিক্ষকের সঙ্গে সমঝোতা করেই তাঁরা সেখানে প্রার্থী দেননি৷ এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাদা দলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁর কানেও এসেছে৷ তবে এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি৷

      তবে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান অন্য কথা বলছেন। তাঁর দাবি, ওই দুই অনুষদে সাদা দলের কোনো শিক্ষক প্রার্থী হতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আইন এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদে আমাদের প্রার্থী ছিলেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা রাজি হননি৷ নতুন ভোটারদের দলীয়ভাবে চাপ দেওয়া হয়৷ এমন নানা কারণ রয়েছে।’

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ইউগ্রেড বৃত্তির আবেদন শেষ বৃহস্পতিবার

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ইউগ্রেড বৃত্তির আবেদন শেষ বৃহস্পতিবার

        গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক পর্যায়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এক সেমিস্টার পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের আবেদনের শেষ সময় ৬ জানুয়ারি।

        দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় সে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ পাবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। এটি একটি ফুল ফ্রি বৃত্তি। এই প্রোগ্রামের মেয়াদ এক সেমিস্টার। আসছে ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

        গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রামের লক্ষ্য বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পরিচয় ঘটানো, মার্কিন মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিবিনিময় এবং কমিউনিটিভিত্তিক কাজের অভিজ্ঞতা দেওয়া। গত ১৬ বছরে গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রামে বাংলাদেশের ৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

        বৃত্তির সুবিধা

        শিক্ষার্থীরা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে এক সেমিস্টারের জন্য পূর্ণ সময় পড়াশোনা করবেন।

        যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কমিউনিটিতে সেবামূলক কাজে অংশ নিয়ে নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

        যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবেন, যা তাঁদের প্রফেশনাল দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে।

        এই কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা মার্কিন সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে জ্ঞান লাভ করবেন। পরে তাঁরা বাংলাদেশে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

        আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।

        নিজ দেশে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করতে হবে।

        নিজ দেশে স্নাতক পর্যায়ে অন্তত এক সেমিস্টার শেষ হবে।

        ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।

        যুক্তরাষ্ট্রের জে-১ ভিসার নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

        প্রোগ্রাম শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।

        যেভাবে আবেদন এই ওয়েবসাইটে লগইন করে অনলাইন আবেদন ফরম পাওয়া যাবে। ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিসহ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। একই ওয়েবসাইট বা এই লিংকে গ্লোবাল ইউগ্রেড বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়া বৃত্তিসংক্রান্ত কোনো তথ্যের প্রয়োজনে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রাম ম্যানেজারের ই–মেইলে (shahidtx@state.gov) ই–মেইল করা যাবে।

        আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ জানুয়ারি, ২০২২।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          পছন্দের কলেজ নিয়ে ভাবনায় বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          পছন্দের কলেজ নিয়ে ভাবনায় বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা

          পছন্দের কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম নগরের সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায়। তবে এসব কলেজে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞানে আসন রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৮৫টি। কিন্তু এই শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৯১ পরীক্ষার্থী। ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে নগরের বেসরকারি কলেজে।

          আগামী শনিবার অনলাইনে ভর্তি আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের নাম দিতে পারবে। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম তৈরি করা হবে।

          প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি বিজ্ঞানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন পাঁচটি জেলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। এই পাঁচ জেলায় বিজ্ঞান শাখা থেকে পাস করেছে ২৯ হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৯১ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী হচ্ছে ৬ হাজার ৭৩ জন।

          পাঁচটি জেলার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরের সাতটি সরকারি কলেজ। কিন্তু কলেজগুলোতে আসন রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৮৫টি। এর বাইরে আরও একটি সরকারি কলেজ থাকলেও সেটিতে শুধু ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। এটি সরকারি কমার্স কলেজ। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজে বিজ্ঞানে আসন রযেছে ৬৫০টি করে। সরকারি মহিলা কলেজে ৪৯০টি, বাকলিয়া সরকারি কলেজে ৩৮০টি, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২৭৫টি, কলেজিয়েট স্কুলে ৯০টি আসন রয়েছে।

          শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোর দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে। বোর্ডের ফলাফলেও সব সময় সামনের দিকে থাকে। এসব কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এই কলেজগুলোর ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। অভিভাবকেরাও সন্তানদের এখানে ভর্তি করাতে চান।

          বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, এসব কলেজে প্রতিবারই আসনের তুলনায় অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ে। তখন একই জিপিএ পেলেও প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম তৈরি করা হয়।

          এবার জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ চট্টগ্রাম কলেজ ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। কিন্তু ভালো ফল করেও সেখানে ভর্তি হতে পারবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় আছে তারা।

          তারপরও খালি থাকবে আসন গত সাত বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে ভালো ফল চট্টগ্রাম বোর্ডের। পাসের হার ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। পাস করেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫০ পরীক্ষার্থী। বোর্ডের অধীন ৫ জেলার ২৭৭টি কলেজে মোট আসন রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার। অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ফলের পরও এবার খালি থেকে যাবে ১৪ হাজার ৫৫০টি আসন।

          বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মানবিক শাখায় মোট আসন ৬৮ হাজার কিন্তু পাস করেছে ৫৫ হাজার ৭৬৭ জন। আর বিজ্ঞান শাখায় ৩৪ হাজার আসন থাকলেও পাস করেছে ২৯ হাজার ৯৫৫ পরীক্ষার্থী।

          তবে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আসনের তুলনায় বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছে। এই শাখায় ৫৭ হাজার আসন থাকলেও পাস করেছে ৫৮ হাজার ৮২৮ জন।

          যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যাতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় এবং সবাই যেন কোনো না কোনো একটি কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য কলেজগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আসন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত