বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে আলাদা বুথ করার নির্দেশ

জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে জেলা পর্যায়ে থেকে ঢাকার জন্য আলাদা আলাদা বুথ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমপর্যায়ের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের (ও লেভেল/এ লেভেল) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করার নিমিত্তে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা পর্যায়ে জেলা সদর হাসপাতালে প্রত্যেকটিতে একটি করে বুথ করতে হবে। আর ঢাকা জেলার জন্য ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ নির্দিষ্ট করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র ব্যবহার করে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র না থাকলে তালিকা প্রস্তুত করে ভ্যাকসিন কার্ডের মাধ্যমে (সংযুক্ত) ভ্যাকসিন প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা নিলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না।
এসএসসি-সমমানের পুনর্নিরীক্ষার ফল ২১ জানুয়ারি

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এই ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছে। এই পুনর্নিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ন কমিটি।
গত ৩১ ডিসেম্বর এসএসসি-সমমানের ফলের পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। যা শেষ হয় গত ৬ জানুয়ারি।
গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে এবার পাসের হার ৯৩.৫৮, যা দেশে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।
গত বছর থেকে এবার সার্বিক পাসের হার বেড়েছে ১০.৭১ শতাংশ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২.৮৭ শতাংশ।
সাধারণ নয়টি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.০৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৩১২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬২৫ জন।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৯৩.২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ৩১৩ জন।
আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার ৮৮.৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১৮৭ জন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিকে নিয়মিত ক্লাস

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তা আগের মতো সীমিত আকারে চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও প্রশাসন) মনীষ চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশের মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে নতুন বছরে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আগের মতো নিয়মিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে নিয়মিত সেই আপডেট পাঠাতে বলা হয়েছে। এ সভায় জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন স্কুলপ্রধানরা শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাবেন। পঞ্চম শ্রেণিতে সপ্তাহে ছয়দিন এবং বাকিদের দুদিন করে ক্লাস হবে বলে জানান তিনি।
তবে প্রাক-প্রাথমিকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একই সময়ে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে ১৭ মাস পর স্কুল-কলেজে ক্লাস চালু হয় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের টিকার ওপর জোর দিয়েছে সরকার। আশা করা হচ্ছে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ বছরেরে ঊর্ধ্বে সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসবে। টিকা নিলে সশরীরে ক্লাস করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
গবেষণালব্ধ জ্ঞান উন্নয়ন কাজে লাগাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

গবেষণালব্ধ জ্ঞান দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণায়ও জোর দিয়ে দেশের অব্যবহৃত সম্পদ গবেষণার মাধ্যমে মানুষের কাজে লাগাতে হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। খবর বাসস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় দেশের জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার আরোপিত ১১ দফা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালনেরও পরামর্শ দেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের ওপর একটি ভিডিওচিত্র ও প্রদর্শিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশি সম্পদ যা আছে, অনেক অমূল্য সম্পদ রয়ে গেছে যা আমরা এখনো ব্যবহার করতে পারিনি বা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেগুলোও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এর ওপর গবেষণা করে সেগুলোও যাতে দেশের মানুষের কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বা খাদ্য উৎপাদন বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গবেষণা প্রয়োজন। আসলে গবেষণা ছাড়া উৎকর্ষ সাধন হয় না। আর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে আমাদের গবেষণা একান্তভাবে দরকার। সেজন্য সবাইকে গবেষণার দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য গবেষণায় এগিয়ে গেলেও আমাদের দেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় পিছিয়ে রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা কম হচ্ছে। এজন্য চিকিৎসকদের অনেকেই রোগীর সেবার পর আর গবেষণায় যুক্ত হতে না পারার প্রসঙ্গ ও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময়ই বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বহির্বিশে^র সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ স্থাপনে তাঁর সরকারের সময় অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্য হয় বাংলাদেশ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশনের উদ্বোধন করেন তিনি। তাঁর এসব পদক্ষেপ আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এ খাতের উন্নয়নে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করে। সফ্টওয়্যার, ডাটা-এন্ট্রি, ডাটা-প্রসেসিংয়ের উন্নয়নে আইটি-ভিলেজ ও হাইটেক-পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। শুল্কমুক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফ্টওয়্যার আমদানির অনুমোদন দেয় এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু সে সময় প্রায় ১০ হাজার স্কুলে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রদানে তাঁর সরকারের উদ্যোগকেও পরবর্তী বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে নস্যাৎ করে। আন্তর্জাতিক আদালতে ক্রয় চুক্তি ভঙ্গের দায়ে দেশের অর্থের ক্ষতিপূরণও গুনতে হয় তখন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে কম্পিউটার সংগ্রহের চেষ্টার পর ১০ হাজার স্কুলে ১০ হাজার কম্পিউটার প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করি এবং কম্পিউটার কেনার পদক্ষেপ নিই। উন্নয়ন সহযোগীরা এগিয়ে আসে এবং স্কুলগুলোর একটি তালিকা করা হয়। অর্ধেক মূল্যে নেদারল্যান্ডস সরকার তাদের কোম্পানির কাছ থেকে কম্পিউটার কেনার প্রস্তাব দিলে আমরা এ ভালো প্রস্তাবে রাজি হয়ে সব ধরনের পদক্ষেপ নিই। তাদের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে যায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের যে কোম্পানি থেকে কম্পিউটার নেওয়া হচ্ছে তার নাম ছিল নেদারল্যান্ডসের জাতীয় ফুলের নামে ‘টিউলিপ’। তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকেরও নাম ‘টিউলিপ’ হওয়ায় চুক্তি সম্পাদনের পর সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা বাতিল করে পরবর্তী বিএনপি সরকার। কারণ আমাদের অতি জ্ঞানী তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কেউ বোঝায় শেখ রেহানার মেয়ের নাম টিউলিপ, কাজেই নেদারল্যান্ডসের সেই কোম্পানিটাও টিউলিপের। এ কোম্পানি থেকে কম্পিউটার নেওয়া যাবে না এবং সে সেটা বাতিল করে দেয়। তিনি বলেন, এই হঠাৎ চুক্তি বাতিলের ফলে নেদারল্যান্ডসের ওই কোম্পানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলা মোকাবিলা করতে আইনজীবী ঠিক করা হয় এবং নানা কাজে অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশের সেখানে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় প্রায় ৬০ কোটি টাকা। টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকায় হাতে সময় পাওয়ার ফলে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশে ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন আমরা করছি। এসব কাজে তাঁর ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের মানুষের শিক্ষায় সে (জয়) অবৈতনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী পুনরায় গবেষণার প্রসঙ্গ টেনে আমাদের সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণ বিষয়ে গবেষণা, সুনীল অর্থনীতি জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহারের বিষয়ে গবেষণা এবং রপ্তানি পণ্যের গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য রপ্তানির সনদ প্রদানের ক্ষেত্রেও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় বিএনপি সরকারের সময় চিংড়ি মাছে লোহা ভরে রপ্তানি করায় ইউরোপে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই রপ্তানি বাজার পুনরায় চালুর কথাও উল্লেখ করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার উন্নয়নে এবং দেশে যথাযথ জ্ঞানসম্পন্ন বিজ্ঞানী-গবেষক সৃষ্টিতে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাবিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তির সময়সীমা বৃদ্ধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসন ফাঁকা থাকার কারণে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ভর্তির সময় বৃদ্ধি করা হলো। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে প্রথম দফা ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জানতে চাইলে একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটে আসন খালি থাকায় ভর্তি সময় সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে কত আসন ফাঁকা রয়েছে তা জানাতে পারেননি একাডেমিক শাখার এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য