আজ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস,মাদ্রাসা শিক্ষায় দক্ষতা কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে?

বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেখানে কারিগরি ও দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে, সেখানে মাদ্রাসাগুলোতে এই পরিবর্তন কতটা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বর্তমানে দেশের অনেক মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি বিষয়ে পাঠদান শুরু হলেও, বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ এখনো সীমিত। ছাত্ররা যেমন বলছেন, যুবসমাজের কর্মদক্ষতা ও আত্মনির্ভরতার বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা । এখানে হাজারো শিক্ষার্থী পড়ছে কামিল, অনার্স ও স্নাতক পর্যায়ে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করছেন পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় যুক্ত হলেও, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ এখনো সীমিত।
ঢাকা আলিয়ার কামিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন,আমরা যারা মাদ্রাসায় পড়ছি, তাদের একটি বড় অংশের স্বপ্ন থাকে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সমাজে অবদান রাখার। তবে এখন সময় পাল্টেছে। শুধু কুরান, হাদিস ও ফিকহ জানলেই হবে না আমাদের আইটি জানতে হবে, নেতৃত্ব দিতে জানতে হবে, এমনকি আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
ইমরান মনে করেন, পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় থাকলেও বাস্তবে সেই শিক্ষার প্রয়োগ বা চর্চা খুবই সীমিত। আমরা কম্পিউটার শিক্ষা বই হিসেবে পড়ি, কিন্তু হাতে কম্পিউটার ব্যবহার করার সুযোগই নেই অনেক সময়। এই গ্যাপ থাকলে বাস্তব জগতে টিকে থাকা কঠিন।
এ প্রতিষ্ঠানের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল আমিন জানান,আমি চাই উদ্যোক্তা হতে। একটা স্টার্টআপ দিতে চাই প্রযুক্তি নিয়ে। কিন্তু যেই জায়গায় আমরা পড়ছি, সেখানে এই ধরনের চিন্তা বা প্রস্তুতির সুযোগ খুব সীমিত। কারিগরি বা সফট স্কিল শেখানো হয় না, অথচ বাস্তব জীবনে সেটাই দরকার।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেখানে স্টার্টআপ বা ফ্রিল্যান্সিং করছে, আমরা তখনো টাইপ শেখার জায়গা খুঁজি। অনেকেই বাইরে গিয়ে নিজের খরচে কোর্স করে, কিন্তু সবাই তো পারে না। আমরা যদি মাদ্রাসা থেকেই অন্তত মৌলিক দক্ষতা পেতাম তাহলে পিছিয়ে পড়তাম না।
আল আমিন মনে করেন, মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে ইসলামি আদর্শের সঙ্গে আধুনিক বাস্তবজ্ঞান ও উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা একসঙ্গে থাকতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের আদর্শ শেখায়, কিন্তু জীবনের প্রয়োগ শেখায় দক্ষতা। এই দুইয়ের সমন্বয়ই দরকার।
তিনি বলেন, ঢাকা আলিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ থাকা উচিত কোডিং শেখার, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো ট্রেনিংয়ের। মাদ্রাসা শিক্ষাকে যদি সমান গুরুত্ব দিতে চাই, তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আধুনিক দক্ষতায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
এ ধরনের মতামত এখন শুধু ছাত্রদের মধ্যে নয়, সকলের মনে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উচ্চশিক্ষিত হলেও, তারা নানা কারণে প্রতিযোগিতামূলক চাকরি ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণ প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ঘাটতি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সম্প্রতি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় যুক্ত করেছে যেমন, কম্পিউটার শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় উদ্যোগ। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে চ্যালেঞ্জের মুখে।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য যুবদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা অর্জন এই প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা শিক্ষাকে নতুন করে ভাবার সুযোগ তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উঠে আসা এই চাহিদা যদি নীতিনির্ধারকরা শোনেন তবে বদলে যেতে পারে একটি বড় জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ।
ঢাকা আলিয়া থেকে শুরু, প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাওয়া এক চিন্তার কণ্ঠস্বর

বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)। আজ ২৫ জুন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী, যিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি জীবন জুড়ে জ্ঞান ও শিক্ষা ছড়িয়ে প্রজন্মের পথে আলোর দিশা দেখিয়েছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুখিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি ইসলামি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করেন।
১৯৫১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম এবং ১৯৫৩ সালে ফাজিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস ও ফিকহে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। ‘সাপ্তাহিক নয়া জামানা’, ‘মাসিক দিশারী’ এবং দৈনিক ‘আজ’-এর ইসলামি পাতা তিনি সম্পাদনা করেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান শুধু লেখক ও চিন্তাবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকও। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ইসলামি ও সামাজিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ করেছেন। পরে তিনি মাসিক মদীনা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করে বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তাঁর লেখা ছিল গভীর ও প্রাঞ্জল, যা বাংলা ইসলামি সাহিত্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো মাদ্রাসায় স্থায়ী শিক্ষকতা করেননি, তার মাসিক মদীনা পত্রিকা ও অসংখ্য গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠশালা ছিল।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জীবন ও কর্ম আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর শিক্ষা ও চিন্তা বাংলা ভাষায় ইসলামি জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।
আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি: শান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ দিন ধরে আইসিসির ইভেন্টগুলো খেললেও এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশের শিরোপা জেতার কথা ভাবাও বিলাসিতা। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে দেশে হওয়া শেষ সংবাদ সম্মেলনে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত কোনো আইসিসি ইভেন্টে এটিই বাংলাদেশের সেরা অর্জন। এবার সেমিফাইনাল নয়, টাইগার অধিনায়ক শান্ত বললেন, এবার ফাইনাল জয়ের লক্ষ্য নিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, 'আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।'
তবে এজন্য কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করছেন না শান্ত। তিনি বলেন, 'আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। ৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না। সবাই এটাই (চ্যাম্পিয়ন হতে) চায় মনেপ্রাণে, বিশ্বাস করে নিজেদের সামর্থ্য আছে।'
সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রেখে অধিনায়ক জানান, 'আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন জানি না। আমরা মেহনত করছি, সততার সাথে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।'
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, হট ফেবারিট ভারত ও শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে টাইগাররা।
আবারও চোট পেলেন সৌম্য, অনিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ডেস্ক রিপোর্ট: সদ্য সমাপ্ত বিপিএলেও চোটের কারণে শুরুর দিকের বেশিরভাগ ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন সৌম্য সরকার। তবুও তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী ছিলেন নির্বাচকরা। সে কারণে তাকে রেখেই টাইগারদের স্কোয়াড সাজানো হয়েছিল। তবে আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টের অনুশীলন শুরু হতেই ফের চোটে পড়েছেন সৌম্য।
গত শনিবার থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুশীলন শুরু করেছে নাজমুল হোসেন শান্ত’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় আজও (সোমবার) ক্রিকেটাররা মিরপুর শের-ই বাংলায় অনুশীলনে নামেন। সেখানেই নতুন করে চোটে পড়েছেন সৌম্য। সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর একটি বল তার ডান হাতের আঙুলে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যথায় মাঠে লুটিয়ে পড়েন সৌম্য।
পরবর্তীতে বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের প্রাথমিক শুশ্রূষা দিয়েছেন। কিছুক্ষণ বাদে সৌম্য সোজা হাঁটা ধরেন ড্রেসিংরুমে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সৌম্যের এমন আঘাত নিশ্চিতভাবে চিন্তা বাড়াবে বাংলাদেশের। কেননা এই ডান হাতের আঙুলের ইনজুরি থেকেই সেরে উঠার পর তিনি মাঠে নেমেছিলেন। যদিও তার নতুন এই চোট কতটা গুরুতর সেটি এখনও জানা যায়নি।
এবারের বিপিএলে এলিমিনেটর–সহ মোট ১৩টি ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স। এর মধ্যে সৌম্য খেলতে পেরেছেন মোটে ৪ ম্যাচ। ব্যাট হাতে তিনি ছন্দেও ফিরতে শুরু করেছিলেন। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে রংপুরের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার দিনে একাই রান করেছেন তিনি। ৪৮ বলে খেলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস। যদিও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেদিন হার এড়াতে পারেনি রংপুর।
এ ছাড়া এলিমিনেটর ম্যাচে কোনো বল মোকাবিলা করার আগেই রানআউটে কাঁটা পড়েন সৌম্য। ফলে তার দলও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে বিদায় নেয় বিপিএল থেকে। এরপর জাতীয় দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ থাকলেও, সেটি এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টটির নবম আসরের। যেখানে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করবে।
হামজাকে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী মাসে এএফসি এশিয়ান কাপ-২০২৭ কোয়ালিফায়ার্স-এর ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৫ মার্চ খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে ভারতের শিলংয়ে। তার আগে ৩৮ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দলে আছেন হামজা চৌধুরীসহ আরও প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফাহামিদুল ইসলাম ফেনীর ছেলে। ইতালিয়ান ফোর্থ ডিভিশনের ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিওর হয়ে খেলেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ফুটবল দল ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। ক্যাম্প শুরুর সময় প্রাথমিক তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রদবদল হতে পারে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৩৮ সদস্যের প্রাথামিক দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। প্রকাশিত ৩৮ ফুটবলারের মধ্যে নতুন একটি প্রবাসী ফুটবলারের নাম যুক্ত হয়েছে। ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম ফরোয়ার্ড হিসেবে ইতালিয়ান ক্লাব ওলবিয়া কালসিও এফসিতে খেলেন। বাফুফের কাছ থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
যে ৩৮ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করেছে বাফুফে, তার মধ্যে ১৪ জন ফুটবলারই বসুন্ধরা কিংসের। আবাহনীর ফুটবলার আছেন ৮ জন। তবে জামাল ভূঁইয়াকেও দলে রেখেছেন কোচ। চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতায় লিগের প্রথম পর্বে খেলতে পারেননি জামাল ভূঁইয়া। দ্বিতীয় পর্বে তার খেলার কথা রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারও আছেন দলে।
অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে। চলতি মৌসুমে এই ডিফেন্ডারের মাঠে নামা নিয়েই আছে প্রবল শঙ্কা। কাবরেরার প্রাথমিক দলে অনুমিতভাবেই জায়গা হয়নি বিশ্বনাথের।
বাংলাদেশের ৩৮ সদস্যের প্রাথমিক দল: গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবন, আনিসুর রহমান জিকো ও সাকিব আল হাসান।
ডিফেন্ডার: হাসান মুরাদ, শাকিল আহাদ তপু, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, মোহাম্মদ শাকিল হোসেন, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইয়াসিন খান ও জাহিদ হোসেন শান্ত।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম, পাপন সিংহ, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রায়, মজিবর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরী।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাব্বি হোসেন রাহুল, শাহরিয়ার ইমন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফ হোসেন, আল আমিন, পিয়াস আহমেদ নোভা ও ফাহমেদুল ইসলাম (ইতালি প্রবাসী)।
মন্তব্য