সাত দফা দাবিতে ঢাকা আলিয়া শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ঢাকা, ২৭ জুলাই ২০২৫ সাত দফা দাবিতে আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম আবাসন সংকটে ভুগছে। এই সমস্যা সমাধানে নতুন হল নির্মাণের প্রকল্প আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ক্যাম্পাসের মূল্যবান মাঠ জুড়ে এখনো অস্থায়ী আদালত দখল করে আছে, যা ছাত্রদের চলাফেরার স্বাধীনতা ও ক্যাম্পাস পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।অবিলম্বে অস্থায়ী আদালত অপসারণ ও নতুন হল নির্মাণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো:
১. শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হিসেবে পর্যাপ্ত আবাসনের নিশ্চয়তা।
২. স্থায়ীভাবে আবাসন সঙ্কট নিরসনে নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণ।
৩. প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত বিকল্প আবাসন ও ভর্তুকির ব্যবস্থা।
৪. ক্যাম্পাসে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া।
৫. ঢাকা আলিয়া মাঠ উন্মুক্ত করে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর জন্য ব্যবহারের উপযোগী করা।
৬. মাঠ ও স্থাপনা দখলের অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
৭. এসব দাবি বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়সীমা ঘোষণা ও তা ছাত্রসমাজের সামনে উপস্থাপন।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল সহকারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অভিমুখে যাত্রা করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে
ঢামেকে হামলার ভিডিও ভাইরাল,ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের বরকত ও হাসিবকে গ্রেফতারের দাবি

১৫ জুলাই ২০২৪ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আন্দোলনকারী রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর নতুন করে হামলার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল শিক্ষাঙ্গনে। অভিযোগ উঠেছে, হামলায় সরাসরি অংশ নেন ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বরকত ও তার অনুসারীরা।
এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বরকত তার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করেন, যেখানে ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই হামলার দৃশ্য স্পষ্ট হয়।ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থী হাসান বলেন, আন্দোলন নয়, জীবন বাঁচাতে গিয়েছিলাম ।
জুলাই আন্দোলনে আমরা রাস্তায় ছিলাম আমাদের অধিকার নিয়ে। যারা আহত হয়েছিল, তারা স্রেফ আন্দোলনের কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে এসে নিরাপদ থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে গিয়ে আবারও ছাত্রলীগের হামলার শিকার এটা তো অপরাধ।
তিনি আরও বলেন,
ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বরকতের উপস্থিতি স্পষ্ট। আমরা বরকতকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলনের নামে যদি হামলা বৈধ হয়, তাহলে আমরা কাদের ওপর ভরসা করব।
আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন,মেডিকেলে হামলা রাষ্ট্রের এটা ব্যর্থতা ছিল।
জুলাই আন্দোলন ছিল একটি গঠনমূলক দাবি আদায়ের প্রচেষ্টা। মেডিকেলে যারা চিকিৎসাধীন ছিল, তারা জীবনের জন্য লড়ছিল। সেখানে গিয়ে আবার রাজনৈতিক হামলা চালানো হয়েছে। এটা বর্বরতা ছাড়া কিছু নয়। ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত তো ভিডিওতে ছিলই, তার সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান। আমরা এই হামলার ঘটনায় বরকত ও হাসিবুর সহ হামলার ভিডিও ক্লিপ দেখে সকলকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে হামলা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ওপর সরাসরি আঘাত। শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাইয়ের এক বছর পরও যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও প্রমাণসহ হামলাকারীরা প্রকাশ্যে থেকে যায়, তাহলে শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় ?
আজ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস,মাদ্রাসা শিক্ষায় দক্ষতা কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে?

বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেখানে কারিগরি ও দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে, সেখানে মাদ্রাসাগুলোতে এই পরিবর্তন কতটা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বর্তমানে দেশের অনেক মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি বিষয়ে পাঠদান শুরু হলেও, বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ এখনো সীমিত। ছাত্ররা যেমন বলছেন, যুবসমাজের কর্মদক্ষতা ও আত্মনির্ভরতার বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা । এখানে হাজারো শিক্ষার্থী পড়ছে কামিল, অনার্স ও স্নাতক পর্যায়ে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করছেন পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় যুক্ত হলেও, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ এখনো সীমিত।
ঢাকা আলিয়ার কামিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন,আমরা যারা মাদ্রাসায় পড়ছি, তাদের একটি বড় অংশের স্বপ্ন থাকে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সমাজে অবদান রাখার। তবে এখন সময় পাল্টেছে। শুধু কুরান, হাদিস ও ফিকহ জানলেই হবে না আমাদের আইটি জানতে হবে, নেতৃত্ব দিতে জানতে হবে, এমনকি আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
ইমরান মনে করেন, পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় থাকলেও বাস্তবে সেই শিক্ষার প্রয়োগ বা চর্চা খুবই সীমিত। আমরা কম্পিউটার শিক্ষা বই হিসেবে পড়ি, কিন্তু হাতে কম্পিউটার ব্যবহার করার সুযোগই নেই অনেক সময়। এই গ্যাপ থাকলে বাস্তব জগতে টিকে থাকা কঠিন।
এ প্রতিষ্ঠানের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল আমিন জানান,আমি চাই উদ্যোক্তা হতে। একটা স্টার্টআপ দিতে চাই প্রযুক্তি নিয়ে। কিন্তু যেই জায়গায় আমরা পড়ছি, সেখানে এই ধরনের চিন্তা বা প্রস্তুতির সুযোগ খুব সীমিত। কারিগরি বা সফট স্কিল শেখানো হয় না, অথচ বাস্তব জীবনে সেটাই দরকার।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেখানে স্টার্টআপ বা ফ্রিল্যান্সিং করছে, আমরা তখনো টাইপ শেখার জায়গা খুঁজি। অনেকেই বাইরে গিয়ে নিজের খরচে কোর্স করে, কিন্তু সবাই তো পারে না। আমরা যদি মাদ্রাসা থেকেই অন্তত মৌলিক দক্ষতা পেতাম তাহলে পিছিয়ে পড়তাম না।
আল আমিন মনে করেন, মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে ইসলামি আদর্শের সঙ্গে আধুনিক বাস্তবজ্ঞান ও উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা একসঙ্গে থাকতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের আদর্শ শেখায়, কিন্তু জীবনের প্রয়োগ শেখায় দক্ষতা। এই দুইয়ের সমন্বয়ই দরকার।
তিনি বলেন, ঢাকা আলিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ থাকা উচিত কোডিং শেখার, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো ট্রেনিংয়ের। মাদ্রাসা শিক্ষাকে যদি সমান গুরুত্ব দিতে চাই, তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আধুনিক দক্ষতায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
এ ধরনের মতামত এখন শুধু ছাত্রদের মধ্যে নয়, সকলের মনে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উচ্চশিক্ষিত হলেও, তারা নানা কারণে প্রতিযোগিতামূলক চাকরি ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণ প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ঘাটতি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সম্প্রতি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে কিছু আধুনিক বিষয় যুক্ত করেছে যেমন, কম্পিউটার শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় উদ্যোগ। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে চ্যালেঞ্জের মুখে।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য যুবদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা অর্জন এই প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা শিক্ষাকে নতুন করে ভাবার সুযোগ তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উঠে আসা এই চাহিদা যদি নীতিনির্ধারকরা শোনেন তবে বদলে যেতে পারে একটি বড় জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ।
ঢাকা আলিয়া থেকে শুরু, প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাওয়া এক চিন্তার কণ্ঠস্বর

বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)। আজ ২৫ জুন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী, যিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি জীবন জুড়ে জ্ঞান ও শিক্ষা ছড়িয়ে প্রজন্মের পথে আলোর দিশা দেখিয়েছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুখিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি ইসলামি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করেন।
১৯৫১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম এবং ১৯৫৩ সালে ফাজিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস ও ফিকহে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। ‘সাপ্তাহিক নয়া জামানা’, ‘মাসিক দিশারী’ এবং দৈনিক ‘আজ’-এর ইসলামি পাতা তিনি সম্পাদনা করেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান শুধু লেখক ও চিন্তাবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকও। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ইসলামি ও সামাজিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ করেছেন। পরে তিনি মাসিক মদীনা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করে বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তাঁর লেখা ছিল গভীর ও প্রাঞ্জল, যা বাংলা ইসলামি সাহিত্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো মাদ্রাসায় স্থায়ী শিক্ষকতা করেননি, তার মাসিক মদীনা পত্রিকা ও অসংখ্য গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠশালা ছিল।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জীবন ও কর্ম আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর শিক্ষা ও চিন্তা বাংলা ভাষায় ইসলামি জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।
আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি: শান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ দিন ধরে আইসিসির ইভেন্টগুলো খেললেও এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশের শিরোপা জেতার কথা ভাবাও বিলাসিতা। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে দেশে হওয়া শেষ সংবাদ সম্মেলনে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত কোনো আইসিসি ইভেন্টে এটিই বাংলাদেশের সেরা অর্জন। এবার সেমিফাইনাল নয়, টাইগার অধিনায়ক শান্ত বললেন, এবার ফাইনাল জয়ের লক্ষ্য নিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, 'আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।'
তবে এজন্য কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করছেন না শান্ত। তিনি বলেন, 'আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। ৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না। সবাই এটাই (চ্যাম্পিয়ন হতে) চায় মনেপ্রাণে, বিশ্বাস করে নিজেদের সামর্থ্য আছে।'
সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রেখে অধিনায়ক জানান, 'আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন জানি না। আমরা মেহনত করছি, সততার সাথে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।'
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, হট ফেবারিট ভারত ও শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে টাইগাররা।
মন্তব্য