২০০ রান তাড়া করে বিনা উইকেটে জয়ের বিশ্বরেকর্ড পাকিস্তানের

রান করা ও স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই। টি-টোয়েন্টিতে তাদের উদ্বোধনী জুটি আর চলবে কি না, এ নিয়েও ছিল সংশয়।
এক ম্যাচেই সবকিছুর জবাব দিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ২০৩ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তারা, বাবর আজম পেলেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও। বৃহস্পতিবার করাচিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে বাবর ও রিজওয়ানের অনবদ্য জুটিতে ৩ বল আগেই জয় পায় স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ড। ৪২ রানের জুটির পর ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। ২১ বলে ২৬ রান করে শাহনেওয়াজ দাহানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ২৭ বলে ৩০ রান করে হারিস রউফের বলে বোল্ড হন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার ফিল সল্ট।
এরপর ডেভিড মালানকে কোনো রান করার আগেই আউট করেন দাহানি। ইংল্যান্ডের রান বড় করার মূল কৃতিত্ব অবশ্য তিনজনের। ৭ চারে ২২ বলে ৪৩ রান করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে বোল্ড হন বেন ডাকেট, ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন হ্যারি ব্রুকও।
কিন্তু শেষ অবধি অপরাজিত থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মঈন আলি। মাত্র ২৩ বল খেলে সমান চারটি করে চার ও ছক্কায় ২৩ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন তারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পান তিনি। ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৬ বলে ১১০ রান করেন তিনি। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ বলে ৮৮ রান আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে।
চ্যাম্পিয়ন সাবিনা বললেন, এই ট্রফি ১৮ কোটি মানুষের

শিরোপা জয়ের পর থেকেই ছিল অপেক্ষা, কখন দেশে আসবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে এসেছে। সাবিনা খাতুনরা ট্রফি নিয়ে পা রেখেছেন ঢাকায়। দেশে পা রেখেই বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, এই শিরোপা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।
প্রথমবারের মতো জেতা সাফ শিরোপা বাংলাদেশের সব মানুষকে উৎসর্গ করে অধিনায়ক সাবিনা বলেছেন, ‘সকলকে ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দরভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য। আমরা কৃতজ্ঞ। যদি চার-পাঁচ বছরের পরিশ্রম দেখেন তাহলে দেখবেন সেটার ফল এখন হাতে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ট্রফি আমাদের দেশের জনগণের জন্য। শেষ চার বছরে আমাদের যে সাফল্য আছে, সবকিছু এর মধ্যে।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকেও ধন্যবাদ জানান সাবিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের মেয়েদের জন্য আজকের এই রাজকীয় আয়োজন করায়। মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের এই পথচলা আসলে অনেক দিনের। ২০১২ সালে এই পরিবর্তন শুরু করেছিলেন আমাদের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, পরে তা রূপ দেন কাজী সালাউদ্দিন। সেটার প্রেক্ষিতেই আজ আমাদের এই অর্জন।’
ট্রফি নিয়ে বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সাবিনা খাতুনদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফের কর্মকর্তারা।
গত সোমবার কাঠমান্ডু দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ট্রফি নিয়ে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরেছেন চ্যাম্পিয়ন কন্যারা। গোটা দেশ বরণ করে নিচ্ছে তাদের।
নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন’ নিয়ে যা বললেন ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ

দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশ এখন সেরা। ফিফার পুরুষ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অবস্থান যখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তখন মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের শিরোপা জয়ে দেশবাসী স্বভাবতই আনন্দিত ও উল্লসিত। আসলেই এ সাফল্য গৌরবদীপ্ত। তাঁদের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বন্দনা। নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন ও ফেসবুকে উৎফুল্লদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ইসলামিক বক্তা আহমাদুল্লাহ।
নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন “মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন?
যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‘ধর্মবিদ্বেষ’ কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামে নি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন।
আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভরসার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে নামাজ-রোজা করতে বলেছেন। কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ।
তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং ‘নারীবাদ’-এর মতো বড়লোকি তত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন।
অতএব, এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দা’ওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলতঃ একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউজ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।”
আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ড সফর এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চলতি মাসে অনুশীলন ক্যাম্প চলাকালীন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বৃহস্পতিবার বলেছেন, ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হবে। ২৫ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
টি-টোয়েন্টি দলের কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের তত্ত্বাবধানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা ঢাকায় তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করেন। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে আসেনি।
বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট একটি ভালো অনুশীলন ক্যাম্প করার পরিকল্পনা করছিল। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দু‘টি ম্যাচ দলকে ভালো অনুশীলনের দারুণ সুযোগ মিলবে।’
বাংলাদেশ দল ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে এবং দুই-তিন দিনের বিরতির পর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হবে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। সিরিজে অপর দল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজের পর বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের সুপার ১২ রাউন্ডে গ্রুপ দুইয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তাদের সাথে থাকবে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি দল।
টাইগাররা তাদের প্রথম ম্যাচে ২৪ অক্টোবর মাঠে নামবে এবং তাদের অন্যান্য ম্যাচ ২৭, ৩০ অক্টোবর এবং ২ ও ৬ নভেম্বর।
সুপার ১২ রাউন্ডের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’টি দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, যা ৯ ও ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে। এই টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান।
সূত্র : ইউএনবি
আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি: সুজন

বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আত্মবিশ্বাস আমাদের অবশ্যই আছে। আমি খুব কনফিডেন্ট ছেলে সবসময়। আমি পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। পজিটিভ ছেলে আমিও। আমি জিততে চাই। আমি মনে করি যে, আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। আমি এটা মাথায় নেই।’
তবে এটি যে খুব সহজ নয় তাও মনে করিয়ে দিলেন সুজন। বলেন, ‘তারপরও রাস্তাটা সহজ হবে না, কঠিন হবে হয়তো- ছয় মাস বা এক বছর। এর মধ্যে যে অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা বলবো না। কিন্তু আমাদের মানসিকতা যদি বদলায়, সেটাতে আমি খুব খুশি হবো।’
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব বলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
এদিকে, এশিয়া কাপে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সাকিব আল হাসানদের। তার আগে জিম্বাবুয়ের মাঠে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। তারও আগে, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কী অবস্থা হয়েছিল সেটাও জানা আছে সবার।
বাংলাদেশ দলে নেই বিগ হিটার ,নেই ভালোমানের কোনো ফিনিশার , কোয়ালিটি ওপেনার নেই, এমনকি এশিয়া কাপে প্রমাণ হয়েছে কার্যকর ডেথ বোলারও নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিশ্বকাপও জিততে পারে।
তবে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে এমন কথা সরাসরি তিনি বলেননি। বিশ্বকাপ জিততে হলে কিছু প্রসেস দরকার। যে প্রসেসগুলো অনুসরণ করলে বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে হয়তো।
মন্তব্য