বিএসএফ স্নাইপার ন্যান্সি কর্তব্যরত অবস্থায় গর্ভবতী, তদন্ত কমিটি গঠন!

দুঃখিত! আপনি হয়ত বুঝতে ভুল করছেন ন্যান্সি কোনও মানবীর নাম নয়। ন্যান্সি হলো একটি মাদি কুকুর। কুকুর বলে ন্যান্সিকে মোটেই অবহেলা করার সুযোগ নেই।
এটা যেন তেন কুকুর নয়! ন্যান্সি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অথবা বিএসএফের স্নাইপার ডগ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ন্যান্সি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে তিনটি কুকুর শাবকের জন্ম দিয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, বিপত্তি বাধছে অন্যত্র। বিএসএফের সারমেয় বাহিনীর সব কিছু ক্যালেন্ডার বাঁধা। তার মানে কবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে, কবে তারা কি খাবে, কবে তাদের টিকা দেয়া হবে এবং কবে তারা প্রজনন করবে- সবই একদম নিয়ম মাফিক।
নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ন্যান্সি গর্ভবতী হয়ে গেল। কিভাবে, কে সেই অর্বাচীন ন্যান্সির শাবকদের পিতা তা বের করতে বিএসএফ কোর্ট অব ইনকোয়ারি বসিয়েছে। শুধু কি তাই কুকুরগুলির দেখাশোনা করার জন্য যে হ্যান্ডলার থাকে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কিভাবে নিয়মের বাইরে গিয়ে ন্যান্সি প্রেম করল ও সন্তানের জননী হলো তা জানাটা বড় জরুরি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত বর্ডার পোস্টের।
বিশেষ করে ন্যান্সির ওপর যখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল চোরাচালান রোখার।
বাংলাদেশের মানুষ খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সুন্দরঃ দাউদ কিম

বাংলাদেশে ঘুরতে এসে দারুণ সময় পার করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ইউটিউবার দাউদ কিম। ইতিমধ্যেই রাজধানী ঢাকার অলি-গলি অনেক কিছুই ঘুরে দেখেছেন তিনি। খেয়েছেন বাঙালির পছন্দের অনেক খাবারই। এই সব কিছুই মুগ্ধ করেছে তাকে।
নিজ দেশে ইউটিউবার হিসেবে জে কিম ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। ২৮ বছর বয়সী এই কোরিয়ান যুবকের জন্ম শেওনানে। আগে গান করতেন। এখন ইউটিউব ভিডিও তৈরি করেন। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়ার মতো দেশগুলো ঘুরতে গিয়ে মুসলিম ভক্তদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তিনি ‘দাউদ কিম’ নাম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশেও অনেক ভক্ত রয়েছে দাউদ কিমের, যার ফলে সম্প্রতি বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এই কোরিয়ান। ঢাকার লালবাগ এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বেশ মজা করলেন। লালবাগে তোলা ছবি পোস্ট করে দাউদ কিম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এলাম। এরা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর। আমি যদি তাদের দিকে তাকাই তারা সব সময় হাসিমুখে উত্তর দেয়। এখানে এসে আমি খুব খুশি। তাদের আছে সুন্দর সংস্কৃতি, সুন্দর মানুষ, সুন্দর মন। আর খাবারটাও অসাধারণ। আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ। কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে লিখেছেন, ‘কাচ্চি অনেক সুস্বাদু।
সর্বশেষ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গিয়ে একটি ছবি তুলে সেটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এটা সর্বশেষ শুক্রবারে তোলা সেটি উল্লেখ করেছেন কিম। লিখেছেন, ‘ঢাকায় জুম্মা মোবারক। বাংলাদেশে সব কিছু খুব নিখুঁত, তাদের আতিথেয়তা এখনো অবিশ্বাস্য। সবাই হেসে আমাকে আশীর্বাদ করে। তারা এত খাঁটি এবং মুক্তোর মতো উজ্জ্বল। এখানে আমার প্রথমবার, কিন্তু আমি মনে করি আমি ইতিমধ্যে তাদের প্রেমে পড়েছি। আমি তোমাকে বাংলাদেশ ভালোবাসি।'
১২ স্ত্রী ও ১০২ সন্তান নিয়ে দিশাহারা উগান্ডার মুসা

অবশেষে ৬৭ বছর বয়সে এসে পরিবার পরিকল্পনার পথে হাঁটলেন উগান্ডার বুগিসা প্রদেশের বাসিন্দা মুসা। মুসা এখন পর্যন্ত বিয়ে করেছেন এক ডজন। তার সব স্ত্রীই বর্তমান।
তাদের নিয়েই মুসার বিশাল সংসার। আর এই সংসার এতো বিশাল যে, পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। যে কারণে আর যেন সন্তান না জন্ম নেয় সেজন্য স্ত্রীদের গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মুসা।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, মুসার ১২ স্ত্রীর ঘরে জন্মেছে ১০২ জন সন্তান। তার সেই সন্তানদের অনেকের বিয়ে হয়েছে। সেই প্রজন্মের সংখ্যা এখন ৫৬৮ জন। অর্থাৎ ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি মুসা হাসাইয়ার।
সবমিলিয়ে মুসার বিশালকার সংসারে সদস্যসংখ্যা এখন ৬৭০ জন। নাতি-নাতনিদের অনেকের নামও জানেন না মুসা। [দ্য মিরর]
বিয়ের পিঁড়িতে ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান, বর ১৩ বছরের ছোট

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী ব্রিটিশ সাংবাদিক রেহাম খান বেশ পরিচিত নাম। তিনি একটি বইও লিখেছেন যা তাকে আরো পরিচিত করে তোলে।
রেহাম খান আবারও শিরোনাম হয়েছেন তৃতীয়বার বিয়ে করে। শুক্রবার তিনি নিজেই গণমাধ্যমেক জানিয়েছেন, আমেরিকায় এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তিনি মডেল ও অভিনেতা মির্জা বিলাল বেগকে বিয়ে করেছেন। ৪৯ বছর বয়সী রেহাম এখন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন।
এক টুইট বার্তায় রেহাম খান লেখেন, আমরা বাবা-মা ও আমার ছেলেকে ওয়াকিলের আশীর্বাদে সিয়াটেলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছি। অবশেষে আমি এমন এক পুরুষকে খুঁজে পেয়েছি, যাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি। তৃতীয় বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ারও করেছেন।
সেই ছবিগুলিতে রেহাম খানকে একটি সাদা গাউন পরে বিয়ে করতে দেখা গেছে। আর তার নতুন স্বামী বিলাল পরেছিলেন একটি মভ রঙের স্যুট। রেহামের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট মির্জা বিলাল বেগ। বর্তমানে তার বয়স ৩৬ বছর।
এটি তারও তৃতীয় বিয়ে। এক সময় বিলাল বেগ মডেলিং এবং অভিনয় করতেন। বর্তমানে আমেরিকায় এক কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত। বিলালের আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেলিভিশন সাংবাদিক রেহাম খান বিয়ে করেন ইমরান খানকে।
তবে তাদের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। মাত্র দশ মাস পরই তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর রেহাম জানান, ইমরান খানের প্রথম স্ত্রী জেমিমার মতো তাকেও পাকিস্তানি জনতার ঘৃণার শিকার হতে হয়েছিলো। ইমরান খানের বিরুদ্ধেও প্রচুর অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
১৯৭৩ সালে লিবিয়ার আজদাবিয়াতে জন্ম রেহাম খানের। এরপর পাকিস্তানে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে। গত শতাব্দীর নব্বই দশকের মাঝামাঝি ব্রিটেনে একজন সম্প্রচার সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পাকিস্তানে ফিরে এসেছিলেন।
এক স্থানীয় টিভি শোতে ইমরান খানের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় ইমরানের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় ঘটেছিল। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। বর্তমানে ইমরান খান তৃতীয় বিয়ে করেছেন বুশরা বিবিকে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই দুজনে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন।
তালেবান আফগানিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করলো!

সংঘাতপ্রবণ মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালেবান সেখানে নারীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে। তালেবান বলছে আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে আর কোনো নারী শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফগান তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি চিঠি ইস্যু করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। প্রথমে মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে তারা। এবার বন্ধ করে দিল নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
মাত্র তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে সময় নারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ওই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়, নারীরা উদ্ভিদ বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি এবং কৃষি বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে না। আর বিশেষভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো নারী সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ পাবে না।
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদ শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে তালেবান। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নারী ও বৃদ্ধ প্রফেসররা লেকচার দিতে পারবেন এমন নিয়ম জারি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পরিচয় গোপন রেখে এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘তালেবান নারী ও তাদের শক্তিকে ভয় পায়। ভবিষ্যতের সঙ্গে আমার সংযোগ তৈরিকারী একমাত্র ব্রিজটি তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমার বিশ্বাস ছিল আমি পড়ালেখা করে আমার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন বা আমার জীবনে আলো আনতে পারব। কিন্তু তারা সব ধ্বংস করে দিল। [সূত্র: বিবিসি]
মন্তব্য