ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

চবিতে ছাত্রী হেনস্তা: আরও ৪ শিক্ষার্থী বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই, ২০২২ ১৯:২
নিজস্ব প্রতিবেদক
চবিতে ছাত্রী হেনস্তা: আরও ৪ শিক্ষার্থী বহিস্কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।

রেজিস্ট্রার বলেন, যৌন নিপীড়ন সেলে থাকা তিনটি অভিযোগের সুরাহা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অভিযোগে অভিযুক্তদের সতর্ক করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের একই বর্ষের ইমন আহাম্মেদ ও আরএইচ রাজু।

এর আগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    শ্রমিকদের টাকা নয়ছয়: ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে দুদকে আবেদন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৩ জুলাই, ২০২২ ১৯:২৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    শ্রমিকদের টাকা নয়ছয়: ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে দুদকে আবেদন

    নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

    ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০ টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।

    তবে মামলার গ্যারাকল থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলছে না নোবেল জয়ী ইউনূসের। গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। চ্যানেল 24 এর হাতে আসে সেই অভিযোগপত্র। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নীট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে।

    এতে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯ শত ৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।

    অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। এখানেও দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

    ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০ টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।

    তবে মামলার গ্যারাকল থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলছে না নোবেল জয়ী ইউনূসের। গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। চ্যানেল 24 এর হাতে আসে সেই অভিযোগপত্র। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নীট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে।

    এতে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯ শত ৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।

    অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। এখানেও দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মতে, গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমসহ বাদী বিবাদী আইনজীবীদের যোগসাজশে ১১০টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। এই সমঝোতার চুক্তি, আর্থিক অনিয়ম ও লেনদেনের বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন।

    ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আইএলওতে অর্থপাচারের অভিযোগ দিয়েছেন খোদ শ্রমিকরা। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা, অর্থপাচারের যে অভিযোগ এনেছেন তা অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

    গত ১৭ জুলাই অভিযোগ গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন চলছে যাচাই বাছাই। যদি অভিযোগ গ্রহণ করা হয় তবে এর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।

    একটি সূত্র বলছে, প্রয়োজনে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ড. ইউনূসকে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৯ জুলাই, ২০২২ ১৫:৫৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড

      করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

      আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান।

      দণ্ডিত অপর ছয় আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।

      রায় ঘোষণা উপলক্ষে সাবরিনা, আরিফুলসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

      করোনার নমুনা জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা, আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

      আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

      করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ।

      পরদিন ২৪ জুন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

      একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

      জালিয়াতির ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

      অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সব কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে হাইকোর্টের রায়

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৬ জুলাই, ২০২২ ৮:৫০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        সব কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে হাইকোর্টের রায়

        প্রকৃত আসামি শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগারে ও সব থানায় ক্রমান্বয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট বিভাগ।

        রায় প্রদানকারী বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৬ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

        রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি মঙ্গলবার বাসসকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের সকল কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করার জন্য প্রদত্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে।’

        প্রকৃত আসামি শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগারে ও সব থানায় ক্রমান্বয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার জন্য গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দেয়। একইসাথে নাশকতার মামলায় ভুল আসামি জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ ঘোষণা করে আদালত।

        অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুল যথাযথ ঘোষণা করেছে। আবেদনকারী জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা অবৈধ এবং আইনবহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। সেগুলো হলো-

        ১. বিদ্যমান ব্যবস্থার সাথে সব থানায় আসামির হাতের আঙ্গুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন করা।

        ২. গ্রেফতারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে সংরক্ষণ করা।

        ৩. দেশের সব কারাগারে আঙ্গুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা।

        এর আগে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় প্রকৃত আসামি নোয়াখালীর বসুরহাটের মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নয় মর্মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার প্রকৃত আসামি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আহসান উল্লাহর ছেলে মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস।

        গত বছরের ১০ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত করে। একইসাথে নোয়াখালীর জহির উদ্দিন ওই মামলার প্রকৃত আসামি কি না, তা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়।

        পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সারোয়ার আলমের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জহির উদ্দিনকে খিলগাঁও থানার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে চিহ্নিত করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জহির উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানাধারী ব্যক্তি নয়। প্রকৃত আসামি মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস।

        অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল দায়ের হওয়া মামলায় (নম্বর-১২(৪)১৩) পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শাহজাদপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে মোদাচ্ছের আনছারীকে গ্রেফতার করে।

        পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মোদাচ্ছের তার নাম-ঠিকানা গোপন করে নিজেকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আজগর আলী মোল্লা বাড়ি মসজিদ রোড এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে পরিচয় দেন। এরপর ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মোদাচ্ছের জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান। তিনি জহির উদ্দিন নামেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

        এদিকে, পুলিশ তদন্ত শেষে জহির উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। এরপর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ অবস্থায় জহির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

        সূত্র : বাসস

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          দক্ষিণ সিটির উপ-কর কর্মকর্তাসহ ৩২ জন চাকরিচ্যুত

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৯ জুন, ২০২২ ৭:৫৯
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          দক্ষিণ সিটির উপ-কর কর্মকর্তাসহ ৩২ জন চাকরিচ্যুত

          ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-কর কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ও করপোরেশনের সাবেক মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

          আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে মো. সেলিম খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

          মো. সেলিম খান দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৫ এর উপ-কর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে পরবর্তীতে তাকে সচিব দপ্তরে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।

          এছাড়া করপোরেশনের সচিব স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা আরও দুটি দাপ্তরিক আদেশে রাজস্ব বিভাগের ১৭ জন দক্ষ শ্রমিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ জন অদক্ষ শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা হয়েছে।

          ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে’ বলে দাপ্তরিক আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত