ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ছাত্র লাঞ্ছনার অভিযোগে জাবির দুই ছাত্রী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:০
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র লাঞ্ছনার অভিযোগে জাবির দুই ছাত্রী বহিষ্কার

এক ছাত্রকে লাঞ্ছনার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজনকে এক বছরের জন্য আরেকজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত ওই দুই ছাত্রীর নাম সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও আনিকা তাবাসসুম। তারা দুজনই নৃবিজ্ঞান বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. হানিফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্র প্রক্টরিয়াল বডির কাছে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে প্রক্টরিয়াল টিম। এর পর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়। বোর্ড তাদেরকে এই শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করে। পরে জরুরি সভা ডেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সুমাইয়া বিনতে ইকরামের শাস্তির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। আর আনিকা তাবাসসুমকে শাস্তি দেয়া হয়েছে সুমাইয়াকে সহযোগিতা করা এবং মিথ্যা অভিযোগ দাখিলের জন্য।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে জাবির বটতলায় স্নাতকোত্তর পর্বের এক ছাত্রকে থাপ্পর মারেন সুমাইয়া।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আসেন। এরপর উভয়পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা দুই–তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নেই

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা দুই–তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নেই

    হবিগঞ্জে বাড়ি সাকিব হাসানের, পড়েন রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে। স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষা শেষ করে এখন ফলের অপেক্ষায় তিনি। আগামী মাসে তাঁর স্নাতকোত্তরের ক্লাস হওয়ার কথা। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী শুরু থেকেই পুরান ঢাকার কয়েকটি জায়গায় ভাড়া বাসায় (মেস) থেকে পড়াশোনা করছেন। এখন থাকেন লক্ষ্মীবাজারের বানিয়ানগর এলাকায়।

    সাকিব হাসান জানান, মেসে থাকতে তাঁর থাকা-খাওয়াসহ মাসে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল না থাকায় বাধ্য হয়েই তিনি মেসে থাকেন। এতে পড়াশোনার খরচও বেশি হচ্ছে। হলে থাকতে পারলে সেই খরচ অর্ধেক কমে যেত।

    ২০০৫ সালে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হল নেই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে থাকা একটি পুরোনো বাড়িতে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী থাকেন। আর দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলার পর ছাত্রীদের জন্য নতুন একটি আবাসিক হল নির্মিত হলেও এখনো ছাত্রীরা সেখানে উঠতে পারেননি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ১৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর প্রায় সবাই থাকেন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। যাঁদের অধিকাংশই থাকেন ভাড়াবাড়িতে।

    ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে (৪৭তম) শিক্ষার্থীদের আবাসনব্যবস্থাসহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার নানা তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমানে সারা দেশে পাবলিক ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি পাবলিক ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কয়েকটি এখনো পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি। এ ছাড়া জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী নেই; এগুলোতে অধিভুক্ত কলেজ ও মাদ্রাসার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলে।

    বাকি ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩২টি আবাসিক হল ও ডরমিটরি রয়েছে। এগুলোতে থাকার সুবিধা আছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৮৭ জনের। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী পড়েন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৩০ জন। আবাসিক সুবিধা পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ হাজারের বেশি ছাত্র ও ৪২ হাজারের বেশি ছাত্রী।

    গত ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি হল ও ডরমিটরিতে আবাসিক সুবিধা পান ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার ২৩ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ১৯ শতাংশ। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা পান ৮১ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী। তবে আবাসিক সুবিধায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধাই নেই। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীদের নানামুখী অসুবিধা হচ্ছে। ছাত্রীরা বেশি অসুবিধায় পড়েন।

    এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী সম্প্রতি বলেন, শিক্ষার্থীদের আসনসংকট দূর করতে আরও হল নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

    গবেষণায় এগিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির তথ্য বলছে, তুলনামূলকভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বেশি হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে গবেষণা ব্যয় ছিল প্রায় ৭৩ কোটি টাকা।

    অন্যদিকে দেশের ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি গবেষণা খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।

    পাবলিকে শিক্ষার্থী বাড়ছে, কমছে বেসরকারিতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ২০২০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৮৯ জন, যা আগের বছর ছিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থী আরও বেশি ছিল (৩ লাখ ৬১ হাজারের বেশি)। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে।

    অন্যদিকে বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ সালে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৪৬ লাখের বেশি। যা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত পরীক্ষা শুরুর জন্য শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মুখে রুটিন ঘোষণা

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত পরীক্ষা শুরুর জন্য শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মুখে রুটিন ঘোষণা

      গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার সকালে স্থগিত পরীক্ষা শুরুর জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে সম্মান চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা এবং অন্যান্য পরীক্ষার রুটিন দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করেন। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলে।

      শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা মহামারির কারণে দ্বিতীয় বর্ষে তিন বছর, তৃতীয় বর্ষে তিন বছর এবং চতুর্থ বর্ষে দুই বছর ধরে বসে রয়েছেন, কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। অথচ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা গ্রহণ থেমে নেই। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা সাত কলেজও বন্ধ থাকা পরীক্ষা নেওয়ার রুটিন দিয়েছে।

      এভাবে তাঁরা একই ক্লাসে বছরের পর বছর বসে থাকলে তাঁদের চাকরির বয়স থাকবে না। এর আগে দ্বিতীয় বর্ষ ও ততৃীয় বর্ষের (সম্মান) পরীক্ষার তারিখ ২৯ জানুয়ারি ও আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের ঘোষণা করা হলেও রুটিন প্রকাশ করা হয়নি। সম্প্রতি করোনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করলে আবার শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান।

      আন্দোলনরত টঙ্গী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ (সম্মান) বর্ষের শিক্ষার্থী সজল হোসেন বলেন, ‘আমাদের চতুর্থ বর্ষের সিংহভাগ পরীক্ষা হলেও কারও দুটি, কারও তিনটি পরীক্ষা আটকে গেছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের এসব পরীক্ষা গ্রহণসহ বন্ধ থাকা সব পরীক্ষার রুটিন তথা তারিখ প্রদানের দাবি করছি।’ একই কথা জানায়, ওই কলেজের চতুর্থ বর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী আহম্মেদি নেজাত।

      শিক্ষার্থীদের ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আক্তারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ বর্ষের এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের রুটিন দেওয়ার ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

      জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মশিউর রহমান বলেন, করোনায় বড় কোনো সমস্যা না হলে ৬ ফেব্রুয়ারির পর ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থগিত সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে চতুর্থ বর্ষের পরীর্ক্ষীরা যাতে সামনে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সে ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

      জাবির স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সংশোধিত রুটিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সংশোধিত সময়সূচি আজ দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পরীক্ষা শুরু হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান জানান, সব পরীক্ষার পরিবর্তিত বিস্তারিত সময়সূচি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি করোনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ল ১ মাস

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪৫
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ল ১ মাস

        ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন এ কথা জানান। এ বিসিএসে আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি।

        আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd/) গিয়ে পিএসসির নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারছেন। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। ৪৪তম বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এ বিসিএসে নেওয়া হবে ১ হাজার ৭১০ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে ৭৭৬ জন।

        মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসির মাধ্যমে আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের যাঁরা অ্যাপেয়ার্ড পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা এই বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন।

        ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাক ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

          ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ২৮ শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। এসময় তার সঙ্গে স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকও উপস্থিত ছিলেন। ভিসি অধ্যাপক ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে মোট ২৮ শিক্ষার্থী অনশন করছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২০ অনশনকারী।

          সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল ভর্তি ২০ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থল ভিসির বাসার সামনে আনা হয়। সেখানেই অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ভোর ৪টায় ক্যাম্পাসে এসে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আমি এখানে আসতে চাইছিলাম না। কারণ তোমরা আমরা কথা না শুনলে! আমি যেহেতু এসেছি তোমাদের অনশন ভাঙায়ে তারপর এখান থেকে যাব। আমি চাই তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও। তবে আন্দোলন আর অনশন ভিন্ন জিনিস। তোমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাও।

          ড. ইয়াছমিন হক বলেন, আমার মনে হয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে নামসর্বস্ব। প্রতিটি ঘণ্টা তোমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা চাই তোমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাও। তবে তোমাদের বেঁচে থাকতে হবে।

          ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি আদায়ে সময় চাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের অ্যাকশনের পর সেই আন্দোলন ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। দাবি আদায়ে অনশন শুরু করেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। একজনের বাবা অসুস্থ হওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। পরে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনকারীদের সাথে যোগ দেন। এদিকে দফায় দফায় আলোচনা করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরাতে পারেনি সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির বারবার আশ্বাসেও মন গলেনি শিক্ষার্থীদের।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত